কুণ্ডুমশাই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বললেন—আর সত্যজিৎ রায় মশাইকে ধরেটরে যদি সেটাকে ফিল্ম করা যেত—
ক্যাবলা চটে বললে– সত্যজিৎ রায় ওসব বাজে গল্প ফিল্ম করেন না। সে যাক—পচা ডিম ছুঁড়ে যে আমাদের জামা-টামা খারাপ করে দিলেন, ধোয়াবার খরচা এখন কে দেবে?
কুণ্ডুমশাই আবার দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়লেন আমিই দেব। ওহে জগবন্ধু, একখানা চকোলেট বার করো দেখি, খেয়ে মনটা ভাল করি।
জগবন্ধু বললে– চকোলেট কোথায় স্যার? পকেটে যা ছিল এরাই তো মেরে দিয়েছে।
তারপর?
তারপর আবার কী থাকবে? দুপুরে বজ্ৰবাহাদুর গাড়ি নিয়ে এল পুবং থেকে। আমরা সেই গাড়িতে চেপে তার ওখানে বেড়াতে গেলুম। তার বাড়িতে খুব খাওয়া-দাওয়া হল। তার নাম, ভাবভঙ্গি যেমনই হোক, সে ভীষণ ভালো লোক কত যে আদর যত্ন করলে সে আর কী বলব! তারপর সন্ধেবেলায় তারই মোটরে দার্জিলিঙে ফিরে এলুম। সেই স্যানিটারিয়ামে।
কিন্তু আমাদের বোকা বানিয়ে পুণ্ডরীক কুণ্ডু গোয়েন্দা গল্প লিখবেন, তা-ও কি হতে পারে? তাই তিনি তাঁর উপন্যাস ছাপবার আগেই সব ব্যাপারটা আমি সন্দেশে ছেপে দিলুম। তারপরেও যদি কুণ্ডুমশাই বইটা লিখে ফেলেন, তা হলে আমি তার নামে গল্প চুরির মোকদ্দমা করব।
আর তোমরাও তখন আমার পক্ষেই সাক্ষী দেবে নিশ্চয়!