২৯। ” আমার ক্ষমতা আমাকে ধ্বংস করেছে ! ” ৫৬৫৯
৫৬৫৯। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে মৃত্যু পরবর্তী আত্মার অবস্থানকে তুলে ধরা হয়েছে। সেদিন নিজের ভাবনা চিন্তা বা ব্যক্তিত্বের উপরে নিজের কোনও অধিকার বা নিয়ন্ত্রণ থাকবে না, যে অবস্থা কল্পনা করাও এ পৃথিবীতে সম্ভব নয়। পৃথিবীর জীবনের পাপ ও অন্যায় তাদের মাঝে যে প্রচন্ড দুঃশ্চিন্তা এবং যন্ত্রণার জন্ম দেবে তার উপরে তাঁর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ব্যক্তিসত্ত্বা প্রাণপণে চেষ্টা করবে নূতন পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণে আনতে, কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হবে না। প্রচন্ড অনুশোচনা, গ্লানি, পাপবোধ, সমস্ত অন্তরাত্মাকে শঙ্কা, ভয় ও দুঃশ্চিন্তাতে পরিপূর্ণ করে তুলবে। এই বোধের তীব্রতা পৃথিবীতে কল্পনা করাও অসম্ভব।
আয়াতঃ 069.029
আমার ক্ষমতাও বরবাদ হয়ে গেল।
”My power and arguments (to defend myself) have gone from me!”
هَلَكَ عَنِّي سُلْطَانِيهْ
Halaka AAannee sultaniyah
YUSUFALI: “My power has perished from me!”…
PICKTHAL: My power hath gone from me.
SHAKIR: My authority is gone away from me.
KHALIFA: “All my power is gone.”
২৮। ” আমার ধন-সম্পদ আমার কোন কাজেই এলো না !
২৯। ” আমার ক্ষমতা আমাকে ধ্বংস করেছে ! ” ৫৬৫৯
৫৬৫৯। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে মৃত্যু পরবর্তী আত্মার অবস্থানকে তুলে ধরা হয়েছে। সেদিন নিজের ভাবনা চিন্তা বা ব্যক্তিত্বের উপরে নিজের কোনও অধিকার বা নিয়ন্ত্রণ থাকবে না, যে অবস্থা কল্পনা করাও এ পৃথিবীতে সম্ভব নয়। পৃথিবীর জীবনের পাপ ও অন্যায় তাদের মাঝে যে প্রচন্ড দুঃশ্চিন্তা এবং যন্ত্রণার জন্ম দেবে তার উপরে তাঁর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ব্যক্তিসত্ত্বা প্রাণপণে চেষ্টা করবে নূতন পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণে আনতে, কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হবে না। প্রচন্ড অনুশোচনা, গ্লানি, পাপবোধ, সমস্ত অন্তরাত্মাকে শঙ্কা, ভয় ও দুঃশ্চিন্তাতে পরিপূর্ণ করে তুলবে। এই বোধের তীব্রতা পৃথিবীতে কল্পনা করাও অসম্ভব।
আয়াতঃ 069.030
ফেরেশতাদেরকে বলা হবেঃ ধর একে গলায় বেড়ি পড়িয়ে দাও,
(It will be said): ”Seize him and fetter him,
خُذُوهُ فَغُلُّوهُ
Khuthoohu faghulloohu
YUSUFALI: (The stern command will say): “Seize ye him, and bind ye him,
PICKTHAL: (It will be said): Take him and fetter him
SHAKIR: Lay hold on him, then put a chain on him,
KHALIFA: Take him and shackle him.
৩০। [ কঠোর আদেশ দেয়া হবে ] :, ” তোমরা তাকে ধর, উহার গলদেশে বেরী পরাও ৫৬৬০;
৫৬৬০। আক্ষরিক ভাবে ‘বেড়ী ‘ শব্দটি হচ্ছে শাস্তি প্রাপ্ত কয়েদীদের গলায় যে লোহার বেড়ী বেষ্টন করে শাস্তি দানকরা হয় তা বুঝানো হয়। ‘বেড়ী’ শব্দটির রূপক অর্থে এর ব্যাখ্যা হতে পারে : ” তাঁর হাতকে তার গলদেশে বেড়ীর ন্যায় বেষ্টন করে দাও, যেনো সে স্মরণ করতে সক্ষম হয় যে, এই হাত যখন পৃথিবীর জীবনে মুক্ত ছিলো ‘দান’ করার জন্য, তখন সে দান না করে হাতকে মুষ্ঠিবদ্ধ করে রাখতো।” দেখুন অনুরূপ বর্ণনা আছে সূরা [ ১৭: ২৯ ] আয়াতে। সে অর্থে কার্পণ্যকেই বেড়ী শব্দটির ব্যাখ্যা হিসেবে ধরা যায়। এর অন্য অর্থ ক্ষমতা বা শক্তি হরণ করা।
আয়াতঃ 069.031
অতঃপর নিক্ষেপ কর জাহান্নামে।
Then throw him in the blazing Fire.
ثُمَّ الْجَحِيمَ صَلُّوهُ
Thumma aljaheema salloohu
YUSUFALI: “And burn ye him in the Blazing Fire.
PICKTHAL: And then expose him to hell-fire
SHAKIR: Then cast him into the burning fire,
KHALIFA: Burn him in Hell.
৩১। ” এবং তাকে জ্বলন্ত আগুনে পোড়াও।
৩২। ” উপরন্তু তাকে শৃঙ্খলিত কর সত্তর কিউবিট দীর্ঘ শৃঙ্খলে। ৫৬৬১
৫৬৬১। পাপের পরিণতি সমূহ রূপক বর্ণনার মাধ্যমে জ্বলন্ত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, ধাপে ধাপে।
১) “ধর” – পাপীদের শাস্তির এটা হবে প্রথম ধাপ। “ধর” শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, পাপীদের আধ্যাত্মিক স্বাধীনতাকে হরণ করা হবে, ফলে তারা প্রচন্ড আবেগ, কুসংস্কার, ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসা অর্থাৎ সকল রীপুর দাসে পরিণত হবে। যারা রীপুর দাসে পরিণত হয় তারা আত্মার স্বাধীনতাকে হারায়।
২) “বেড়ী পরাও ” – অর্থাৎ পাপীদের হাতকে গলদেশে বেড়ির ন্যায় আবদ্ধ করা হবে যেনো সে তার সকল ক্ষমতা ও ভালো কাজ করার শক্তি হারায়। হাত এখানে সকল ক্ষমতার প্রতীক।
৩) “নিক্ষেপ কর জাহান্নামে ” – আত্মবিধ্বংসী আগুনে তার সর্বসত্ত্বা জ্বলতে থাকবে। যে আগুনের লেলিহান শিখার সে উপযুক্ত।
৪) ” পুণরায় তাকে শৃঙ্খলিত কর ” – অর্থাৎ পাপের পরিণতি হবে বহুবিধ। তা শাখা প্রশাখা বিস্তার করবে। যার রূপক বর্ণনা হচ্ছে ” সত্তর হস্ত এক দীর্ঘ শৃঙ্খল”, যে শৃঙ্খল তাকে আষ্টে-পৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে, তাকে ক্রীতদাসে পরিণত করে। এর উপমা হচ্ছে মাকড়সার জালে ধৃত পতঙ্গের ন্যায় – যার মৃত্যু অবধারিত। যে পাপের জাল সে বুনেছে সে জালে সে নিজেই ধরা পড়ে। ” সত্তর হাত” শব্দটি দ্বারা সুদীর্ঘ বা বহুসংখ্যক বুঝানো হয়েছে, যেরূপ ব্যবহার করা হয়েছে সূরা [৯ : ৮০ ] আয়াতে।