আয়াতঃ 069.012
যাতে এ ঘটনা তোমাদের জন্যে স্মৃতির বিষয় এবং কান এটাকে উপদেশ গ্রহণের উপযোগী রূপে গ্রহণ করে।
That We might make it a remembrance for you, and the keen ear (person) may (hear and) understand it.
لِنَجْعَلَهَا لَكُمْ تَذْكِرَةً وَتَعِيَهَا أُذُنٌ وَاعِيَةٌ
LinajAAalaha lakum tathkiratan wataAAiyaha othunun waAAiyatun
YUSUFALI: That We might make it a Message unto you, and that ears (that should hear the tale and) retain its memory should bear its (lessons) in remembrance.
PICKTHAL: That We might make it a memorial for you, and that remembering ears (that heard the story) might remember.
SHAKIR: So that We may make it a reminder to you, and that the retaining ear might retain it.
KHALIFA: We rendered it a lesson for you, that any listening ear may understand.
১২। এই উদ্দেশ্যে যে, উহাকে আমি তোমাদের জন্য উপদেশ স্বরূপ করবো, ৫৬৪৬। [ এই কাহিনী শুনে ] কর্ণ তা স্মৃতিতে ধরে রাখবে, এবং [ উপদেশ হিসেবে ] স্মরণ রাখবে। ৫৬৪৭।
৫৬৪৬। হযরত নূহ্ এর কাহিনীর মাধ্যমে পৃথিবীর সর্বযুগের মানব সন্তানকে এই উপদেশ দান করা হয়েছে যে মন্দ কাজের শেষ পরিণতি সর্বদা ভয়াবহ। ভালোকে সব সময়ে আল্লাহ্ স্বয়ং উদ্ধার করেন।
৫৬৪৭। বাইবেলে একটি প্রবাদ বাক্য আছে যে, “He that hath ears to hear , let him hear.” [ Matt xi 15 ] । বাইবেলে ও কোরাণে যে ‘শ্রুতির ‘ উল্লেখ করা হয়েছে তা সাধারণ শোনা বা শ্রুতির সমপর্যায় নয়। এই শোনার ক্ষমতা হচ্ছে : আধ্যাত্মিক জগতের জ্ঞানের বার্তা হৃদয়ে বুঝতে বা অনুভব করার ক্ষমতা। যা চিরন্তন সত্য ও ন্যায়, সেই বাণীকে হৃদয়ের কন্দরে অনুভব করার ক্ষমতা, শারীরিক ভাবে শোনার ক্ষমতার বহু উর্দ্ধেলোকে যার অবস্থান। বাইবেলে যেখানে বলে ; ”সেই সত্য শোনার ক্ষমতা যার আছে তাকে সেই সত্য শুনতে দাও। সেখানে কোরাণ বলে, অনেকে জ্ঞান, প্রজ্ঞার কথা শুনতে চায় এবং শোনার সময়ে তারা ভাবে আপ্লুত হয়ে পড়ে, এ কথা সত্য। কিন্তু যদি তারা সেই সত্যকে এবং সত্যের বাণীর শিক্ষাকে তাদের অন্তরে ও জীবনে স্থায়ী ভাবে ধারণ করে রাখতে আগ্রহী না হয় তবে তারা তা ভুলে যাবে। ” কর্ণ তা স্মৃতিতে ধরে রাখবে ” – অর্থাৎ কর্ণ শুধু শোনেই না, আল্লাহ্র বাণীর মাহত্ম্য ও সত্যকে জীবনে সংরক্ষণ করে থাকে। সত্যের প্রবেশ হতে হবে অন্তরের গভীরে হৃদয়ের কন্দরে, ইন্দ্রিয়ের অগোচরে যা হৃদয়কে ভরিয়ে দেবে সত্যের আলোকে আর তাই-ই হচ্ছে আল্লাহ্র কাম্য।
আয়াতঃ 069.013
যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে-একটি মাত্র ফুৎকার
Then when the Trumpet will be blown with one blowing (the first one),
فَإِذَا نُفِخَ فِي الصُّورِ نَفْخَةٌ وَاحِدَةٌ
Fa-itha nufikha fee alssoori nafkhatun wahidatun
YUSUFALI: Then, when one blast is sounded on the Trumpet,
PICKTHAL: And when the trumpet shall sound one blast
SHAKIR: And when the trumpet is blown with a single blast,
KHALIFA: When the horn is blown once
১৩। যখন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে – একটি মাত্র ফুৎকার ৫৬৪৮, –
৫৬৪৮। এই আয়াতে অবতীর্ণ করা হয়েছে সেই অবশ্যাম্ভবী ঘটনার। সে ঘটনা হচ্ছে শেষ বিচারের দিন -যা এই সূরার বিষয়বস্তু। এই ফুৎকার হচ্ছে প্রথম ফুৎকার যার উল্লেখ করা হয়েছে সূরা [ ৩৯: ৬৮ ] আয়াতে ও টিকা নং ৪৩৪৩।
আয়াতঃ 069.014
এবং পৃথিবী ও পর্বতমালা উত্তোলিত হবে ও চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয়া হবে,
And the earth and the mountains shall be removed from their places, and crushed with a single crushing,
وَحُمِلَتِ الْأَرْضُ وَالْجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةً وَاحِدَةً
Wahumilati al-ardu waaljibalu fadukkata dakkatan wahidatan
YUSUFALI: And the earth is moved, and its mountains, and they are crushed to powder at one stroke,-
PICKTHAL: And the earth with the mountains shall be lifted up and crushed with one crash,
SHAKIR: And the earth and the mountains are borne away and crushed with a single crushing.
KHALIFA: The earth and the mountains will be carried off and crushed; utterly crushed.
১৪। এবং পৃথিবী আন্দোলিত হবে, এবং এর উপরের পর্বতসমূহ ৫৬৪৯ এক ধাক্কাতে চূর্ণবিচূর্ণ হবে,
৫৬৪৯। এই আয়াত ও পরবর্তী আয়াত সমূহে সেই অবশ্যাম্ভবী ঘটনা বা কেয়ামতের উল্লেখ করা হয়েছে, যেদিন এই চেনা পৃথিবী আমাদের সম্মুখ থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে এবং নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে। পর্বতের উল্লেখ বিশেষ ভাবে এই আয়াতে করা হয়েছে, কারণ পর্বত হচ্ছে কাঠিন্যের, বিশালত্বের ও স্থায়ীত্বের প্রতীক স্বরূপ। সেই পবর্তও সেদিন ধূলার ন্যায় হয়ে যাবে চূর্ণবিচূর্ণ” অর্থাৎ পর্বত তার আকৃতি বা গঠন হারাবে সেই ভয়াবহ ধাক্কায়।
আয়াতঃ 069.015
সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে।
Then on that Day shall the (Great) Event befall,