আয়াতঃ 069.040
নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রসূলের আনীত।
That this is verily the word of an honoured Messenger [i.e. Jibrael (Gabriel) or Muhammad SAW which he has brought from Allâh].
إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ
Innahu laqawlu rasoolin kareemin
YUSUFALI: That this is verily the word of an honoured messenger;
PICKTHAL: That it is indeed the speech of an illustrious messenger.
SHAKIR: Most surely, it is the Word brought by an honored Messenger,
KHALIFA: This is the utterance of an honorable messenger.
৪০। নিশ্চয়ই,এই [ কুর-আন ] একজন সম্মানীয় রসুলের [ বাহিত ] বার্তা ৫৬৬৬
৫৬৬৬। “সম্মানীত রাসুল ” – অর্থাৎ আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুল (সা), যার পূত, পবিত্র জীবন মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আকর্ষণ করে। যিনি প্রত্যাদেশের সত্যের মাধ্যমে পৃথিবীর সম্মুখে প্রকৃত সত্যের রূপরেখা উদ্ঘাটন করে সম্মানীত হয়েছেন।
আয়াতঃ 069.041
এবং এটা কোন কবির কালাম নয়; তোমরা কমই বিশ্বাস কর।
It is not the word of a poet, little is that you believe!
وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَاعِرٍ قَلِيلًا مَا تُؤْمِنُونَ
Wama huwa biqawli shaAAirin qaleelan ma tu/minoona
YUSUFALI: It is not the word of a poet: little it is ye believe!
PICKTHAL: It is not poet’s speech – little is it that ye believe!
SHAKIR: And it is not the word of a poet; little is it that you believe;
KHALIFA: Not the utterance of a poet; rarely do you believe.
৪১। এটা কোন কবির রচনা নয়; তোমরা অল্পই বিশ্বাস কর। ৫৬৬৭
৫৬৬৭। কবি তাঁর কাব্য রচনা করে থাকে কল্পনার সাহায্যে। তাঁর ভাষার সৌন্দর্য আমাদের যতই মুগ্ধ করুক না কেন, কবির সৃষ্টি কর্ম অলীক কল্প কাহিনীর উপরে প্রতিষ্ঠিত। কবি কখনও সত্যদ্রষ্টা হতে পারে না, কবিতা সব সময়ে মিথ্যা ও কল্পনার উপরে প্রতিষ্ঠিত। এখানেই কবিতা ও কোরাণের আয়াতের মধ্যে পার্থক্য। যদিও কোরাণের আয়াতগুলি কবিতার ছন্দে সুললিত ভাষায় প্রকাশিত। কিন্তু কোরাণের বর্ণনাতে প্রতিটি পংক্তিতে শ্বাসত সত্যকে প্রকাশিত করা হয়েছে যে সত্য অপরিবর্তনীয় ও যুগ কাল অতিক্রান্ত।
আয়াতঃ 069.042
এবং এটা কোন অতীন্দ্রিয়বাদীর কথা নয়; তোমরা কমই অনুধাবন কর।
Nor is it the word of a soothsayer (or a foreteller), little is that you remember!
وَلَا بِقَوْلِ كَاهِنٍ قَلِيلًا مَا تَذَكَّرُونَ
Wala biqawli kahinin qaleelan ma tathakkaroona
YUSUFALI: Nor is it the word of a soothsayer: little admonition it is ye receive.
PICKTHAL: Nor diviner’s speech – little is it that ye remember!
SHAKIR: Nor the word of a soothsayer; little is it that you mind.
KHALIFA: Nor the utterance of a soothsayer; rarely do you take heed.
৪২। এটা কোন গণকের কথা নয় ; তোমরা খুব কমই সাবধান বাণী গ্রহণ কর। ৫৬৬৮
৫৬৬৮। গণকেরা ভবিষ্যত বাণী করে থাকে। কোরাণের বাণীও আমাদের ভবিষ্যত জীবনের সন্ধান দান করে। তবে দুয়ের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে গণকের ভবিষ্যত বাণী আধ্যাত্মিক জগতের অন্ধকারকে দূর করতে অক্ষম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গণকের ভবিষ্যত বাণী হচ্ছে প্রতারণা। অপর পক্ষে কোরাণের বাণীর উপদেশ হচ্ছে চিরন্তন সত্য যা মানুষকে ভবিষ্যত জীবন বা পরলোকের জীবন সম্বন্ধে সাবধান করে, ইহলোকে শান্তিময় জীবনের সন্ধান দান করে এবং আধ্যাত্মিক জীবনকে সমৃদ্ধ করে।
আয়াতঃ 069.043
এটা বিশ্বপালনকর্তার কাছ থেকে অবতীর্ণ।
This is the Revelation sent down from the Lord of the ’Alamin (mankind, jinns and all that exists).
تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ الْعَالَمِينَ
Tanzeelun min rabbi alAAalameena
YUSUFALI: (This is) a Message sent down from the Lord of the Worlds.
PICKTHAL: It is a revelation from the Lord of the Worlds.
SHAKIR: It is a revelation from the Lord of the worlds.
KHALIFA: A revelation from the Lord of the universe.
৪৩। [ এটা এক ] উপদেশ, যা প্রেরিত হয়েছে জগতসমূহের প্রভুর নিকট থেকে।
৪৪। এবং রসুল যদি আমার নামে কোন কথার উদ্ভাবন করে বলতো,
৪৫। আমি অবশ্যই তার দক্ষিণ হাত ধরে ফেলতাম, ৫৬৬৯
৫৬৬৯। ‘ দক্ষিণ হস্ত ‘ বাক্যটি এখানে ব্যবহৃত হয়েছে প্রতীক অর্থে। দক্ষিণ হস্ত হচ্ছে ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও কর্মক্ষমতার প্রতীক। যদি কারও ডান হাত বেঁধে রাখা যায় বা অকর্মণ্য করে দেয়া হয়, তবে তার কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। সে তখন তার স্বাধীন ইচ্ছানুযায়ী কাজ করতে অক্ষম হয়। ঠিক সেরূপে যদি কোন প্রতারক নিজেকে রাসুল রূপে প্রচার করে এবং দাবী করে যে, সে আল্লাহ্র বাণীর ধারক বাহক ও রক্ষক, তবে সে বেশীদূর অগ্রসর হতে পারবে না। অপর পক্ষে, পৃথিবীতে আল্লাহ্ যত নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন, তাঁদের জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই, তাঁরা যত নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হয়েছেন, তত তাদের ক্ষমতা ও শক্তি খর্ব হওয়ার পরিবর্তে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের নবী হযরত মুহম্মদ (সা) এর জীবনী এর প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ। তাঁর সত্যের প্রতি আন্তরিকতা, বিশ্বস্ততা, এবং মানুষের জন্য ভালোবাসা, ধীরে ধীরে তাঁকে সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। রাসুলের (সা ) সমগ্র জীবনই হচ্ছে সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ইতিহাস।