উপদেশ : তারা অন্যকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিলো ফলে আল্লাহ্র ক্রোধে তারা নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্থ হলো। আল্লাহ্র এই নীতি সর্বকালের সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য। সুশীল ও উন্নত সেই সমাজ যে সমাজে সকলের অধিকারকে সমুন্নত রাখা হয়। আল্লাহ্র আশীর্বাদে সেই সমাজ হয় ধন্য। সে কারণেই পাশ্চাত্য সমাজ আজ এতটা উন্নত।
আয়াতঃ 068.027
বরং আমরা তো কপালপোড়া,
(Then they said): ”Nay! Indeed we are deprived of (the fruits)!”
بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ
Bal nahnu mahroomoona
YUSUFALI: “Indeed we are shut out (of the fruits of our labour)!”
PICKTHAL: Nay, but we are desolate!
SHAKIR: Nay! we are made to suffer privation.
KHALIFA: “Now, we have nothing!”
২৭। “আমরা বঞ্চিত হয়েছি [ আমাদের ফসল ও শ্রমফল থেকে]।” ৫৬১২
৫৬১২। দেখুন অনুরূপ আয়াত সূরা [ ৫৬ : ৬৭ ] এবং উপরের টিকা।
আয়াতঃ 068.028
তাদের উত্তম ব্যক্তি বললঃ আমি কি তোমাদেরকে বলিনি? এখনও তোমরা আল্লাহ তা’আলার পবিত্রতা বর্ণনা করছো না কেন?
The best among them said: ”Did I not tell you: why do you not say: Inshâ’ Allâh (If Allâh will).”
قَالَ أَوْسَطُهُمْ أَلَمْ أَقُل لَّكُمْ لَوْلَا تُسَبِّحُونَ
Qala awsatuhum alam aqul lakum lawla tusabbihoona
YUSUFALI: Said one of them, more just (than the rest): “Did I not say to you, ‘Why not glorify (Allah)?’”
PICKTHAL: The best among them said: Said I not unto you: Why glorify ye not (Allah)?
SHAKIR: The best of them said: Did I not say to you, Why do you not glorify (Allah)?
KHALIFA: The righteous among them said, “If only you had glorified (God)!”
২৮। উহাদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিটি বলেছিলো, ৫৬১৩ “আমি কি তোমাদের বলি নাই, কেন তোমরা [আল্লাহ্র ] প্রশংসা বর্ণনা করছ না ? ”
৫৬১৩। এ সব অন্যায়কারী ফল বাগানের মালিকদের মধ্যে একজন ছিলো কম অন্যায়কারী। তাকে আমরা সৎকর্মপরায়ণ রূপে অভিহিত করবো না, কারণ সেও ঐ সব ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে যুক্ত ছিলো। তবে তার মাঝে বিবেক জাগ্রত ছিলো। সে কারণেই সে তার নিজের ভ্রান্তিকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলো। সে পূর্বেই অন্যান্যদের গরীবদের বঞ্চিত করার এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সাবধান করেছিলো সত্য। কিন্তু সে অন্যান্যদের বিরুদ্ধাচারণ না করে তাদের সাথে তাদের চক্রান্তে যোগদান করে। সুতারাং সেও ঐ একই পরিণাম ভোগ করে। একেই বলে, ” সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।”
আয়াতঃ 068.029
তারা বললঃ আমরা আমাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষণা করছি, নিশ্চিতই আমরা সীমালংঘনকারী ছিলাম।
They said: ”Glory to Our Lord! Verily, we have been Zâlimûn (wrong-doers, etc.).”
قَالُوا سُبْحَانَ رَبِّنَا إِنَّا كُنَّا ظَالِمِينَ
Qaloo subhana rabbina inna kunna thalimeena
YUSUFALI: They said: “Glory to our Lord! Verily we have been doing wrong!”
PICKTHAL: They said: Glorified be our Lord! Lo! we have been wrong-doers.
SHAKIR: They said: Glory be to our Lord, surely we were unjust.
KHALIFA: They said, “Glory be to our Lord. We have transgressed.”
২৯। তারা বলেছিলো, ” আমরা আমাদের প্রভুর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমরা পাপ করেছি।”
৩০। অতঃপর তারা একে অপরকে দোষারোপ করতে লাগলো। ৫৬১৪
৫৬১৪। মানুষের সাধারণ ধর্ম হচ্ছে যখন তাদেরকে লোভ, স্বার্থপরতা ও যে কোন অন্যায়ের জন্য শাস্তি দান করা হয়, তখন তারা নিজেদের দোষকে অপরের প্রতি আরোপ করতে সচেষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে ফল বাগানের মালিকদের মধ্যে একজন ছিলো অপেক্ষাকৃত ভালো। সে সম্পূর্ণ পরিকল্পনাটির অন্যায়কে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলো এবং অনুধাবন করেছিলো যে তা হচ্ছে আল্লাহ্র হুকুমকে প্রত্যাখান করার মত নৈতিক অপরাধ। কিন্তু যেহেতু সে বাড়তি লাভের লোভকে সংবরণ করতে পারে নাই, সুতারাং সে এই কাজের দায় দায়িত্ব এড়াতে পারে না, সেও শাস্তির যোগ্য।
উপদেশ : অন্যায়কারীরা সর্বদা ভালো কাজের সুফল ভোগে আগ্রহী থাকবে, কিন্তু বিপদে একে অপরের প্রতি দোষারোপ করবে।
আয়াতঃ 068.030
অতঃপর তারা একে অপরকে ভৎর্সনা করতে লাগল।
Then they turned, one against another, in blaming.
فَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَلَاوَمُونَ
Faaqbala baAAduhum AAala baAAdin yatalawamoona
YUSUFALI: Then they turned, one against another, in reproach.
PICKTHAL: Then some of them drew near unto others, self-reproaching.
SHAKIR: Then some of them advanced against others, blaming each other.
KHALIFA: They started to blame each other.
২৯। তারা বলেছিলো, ” আমরা আমাদের প্রভুর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমরা পাপ করেছি।”
৩০। অতঃপর তারা একে অপরকে দোষারোপ করতে লাগলো। ৫৬১৪
৫৬১৪। মানুষের সাধারণ ধর্ম হচ্ছে যখন তাদেরকে লোভ, স্বার্থপরতা ও যে কোন অন্যায়ের জন্য শাস্তি দান করা হয়, তখন তারা নিজেদের দোষকে অপরের প্রতি আরোপ করতে সচেষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে ফল বাগানের মালিকদের মধ্যে একজন ছিলো অপেক্ষাকৃত ভালো। সে সম্পূর্ণ পরিকল্পনাটির অন্যায়কে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলো এবং অনুধাবন করেছিলো যে তা হচ্ছে আল্লাহ্র হুকুমকে প্রত্যাখান করার মত নৈতিক অপরাধ। কিন্তু যেহেতু সে বাড়তি লাভের লোভকে সংবরণ করতে পারে নাই, সুতারাং সে এই কাজের দায় দায়িত্ব এড়াতে পারে না, সেও শাস্তির যোগ্য।