আয়াতঃ 068.010
যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, আপনি তার আনুগত্য করবেন না।
And obey not everyone who swears much, and is considered worthless,
وَلَا تُطِعْ كُلَّ حَلَّافٍ مَّهِينٍ
Wala tutiAA kulla hallafin maheenin
YUSUFALI: Heed not the type of despicable men,- ready with oaths,
PICKTHAL: Neither obey thou each feeble oath-monger,
SHAKIR: And yield not to any mean swearer
KHALIFA: Do not obey every lowly swearer.
১০। এসব ঘৃণ্য [ চরিত্রের ] লোকের কথা শুনো না ৫৫৯৯, যারা [ সর্বদা মিথ্যা ] শপথ করতে প্রস্তুত থাকে, ৫৬০০,
৫৫৯৯। এই আয়াতে ও পরবর্তী আয়াতে মানুষের যে সব ঘৃণ্য দোষের বিবরণ দেয়া হয়েছে তা আজকে বাংলাদেশের সমাজে খুব একটা অসাধারণ কিছু নয়। এ সব ঘৃণ্য দোষ সমূহ যখন কোনও ব্যক্তির চরিত্রে প্রকাশ পায়, তখন তাঁকে করে তোলে জঘন্য চরিত্রের ব্যক্তিরূপে। ওয়ালিদ ইবনে মুগাইর ছিলেন এরূপ একজন ব্যক্তি, যে রাসুলের (সা ) চরিত্র সম্বন্ধে মিথ্যা কলঙ্ক রটনা করার প্রয়াস পেতো। এই কলঙ্ক রটনায় তার ভূমিকা ছিলো প্রধান। তার কথাই এই আয়াতে বলা হয়েছে, ” যে ঘৃণ্য চরিত্রের।” বদরের যুদ্ধের সময়ে মুগাইর আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং তার শেষ পরিণতি হয় অত্যন্ত লাঞ্ছনাদায়ক।
৫৬০০। যারা মিথ্যাবাদী, সত্যের প্রতি যাদের সামান্যতম শ্রদ্ধাও নাই, শুধু তারাই পারে কথায় কথায় শপথ করতে। কারণ সাধারণ লোক তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুধাবন করার ফলে তাকে বিশ্বাস করে না। লোকের বিশ্বাস হারানোর ফলে তারা বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রতি কথায় শপথ বাণী উচ্চারণ করে। প্রবাদ আছে প্রকৃত সত্যাশ্রয়ী ব্যক্তির মৌখিক কথা লিখিত দলিলের থেকেও উত্তম।
আয়াতঃ 068.011
যে পশ্চাতে নিন্দা করে একের কথা অপরের নিকট লাগিয়ে ফিরে।
A slanderer, going about with calumnies,
هَمَّازٍ مَّشَّاء بِنَمِيمٍ
Hammazin mashsha-in binameemin
YUSUFALI: A slanderer, going about with calumnies,
PICKTHAL: Detracter, spreader abroad of slanders,
SHAKIR: Defamer, going about with slander
KHALIFA: A slanderer, a backbiter.
১১। কুৎসা রটনা করে, যে অপবাদ প্রচার করে,
১২। যে কল্যাণ কাজে বাঁধা দান করে, যে সীমালংঘন করে ; পাপে নিমগ্ন থাকে,
১৩। রূঢ় [ এবং নিষ্ঠুর ] স্বভাব ৫৬০১; তদুপরি কুখ্যাত ;
৫৬০১। আত্ম-প্রবঞ্চনাকারী ও যারা সহজেই কার্য উদ্ধার করতে চায়, তারা ব্যতীত অন্য আর এক দল লোকের বর্ণনা এই আয়াতগুলির মাধ্যমে করা হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণীর এই লোকেরা হয় অত্যন্ত হীন ও নীচ চরিত্রের। তাদের সত্য সম্বন্ধে কোন ধারণাই নাই। ফলে বিশ্বস্ততার অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতেও তারা অপারগ। এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা মিথ্যাবাদী, কথায় কথায় সকলের সাথে বন্ধুত্বের শপথ করে এবং সুবিধাজনক যে কোন কার্যের প্রতি বিশ্বস্ততা ঘোষণা করে। একই সাথে তারা বন্ধু ও বিশ্বস্তদের পশ্চাতে কুৎসা রটনা করে এবং পরনিন্দা করে। যার ফলে সহজ সরল মানুষের মাঝে, সহজেই অশান্তির সৃষ্টি করে থাকে। এরা কল্যাণে বাঁধা দান করে, পাপ কার্যকে এদের চক্ষে মনোহর বলে দৃশ্যমান হয়। সে শুধুমাত্র যে কল্যাণে বাঁধাই দান করবে তাই-ই নয়, সে অকল্যাণের পথে দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হবে এবং অপর লোককেও কল্যাণের পথে অগ্রসর হতে বাধা দান করবে। যদি কেউ তাকে এই কাজে বাধা দান করে তবে সে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে, তার রূঢ় স্বভাব মানুষকে আহত করে। তার স্বভাবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হবে সে অপরের ব্যাপারে নাক গলানোতে কুখ্যাতি অর্জন করবে। যেখানে তার কোনও অধিকার নাই, সেখানেও সে সম্পর্ক, অধিকার, ক্ষমতা দাবী করে। এদের প্রচুর অর্থ সম্পদ থাকতে পারে, কিন্তু এদের ধারণায় ধর্ম হচ্ছে হাসি, খেলার বস্তু, বৃদ্ধদের এবং কুসংস্কারচ্ছন্ন ব্যক্তিরাই ধর্মকে আকঁড়ে ধরে এই বিকৃত ধারণাতে তারা পার্থিব জীবনকে অতিবাহিত করবে।
আয়াতঃ 068.012
যে ভাল কাজে বাধা দেয়, সে সীমালংঘন করে, সে পাপিষ্ঠ,
Hinderer of the good, transgressor, sinful,
مَنَّاعٍ لِّلْخَيْرِ مُعْتَدٍ أَثِيمٍ
MannaAAin lilkhayri muAAtadin atheemin
YUSUFALI: (Habitually) hindering (all) good, transgressing beyond bounds, deep in sin,
PICKTHAL: Hinderer of the good, transgressor, malefactor
SHAKIR: Forbidder of good, outstepping the limits, sinful,
KHALIFA: Forbidder of charity, a transgressor, a sinner.
১১। কুৎসা রটনা করে, যে অপবাদ প্রচার করে,
১২। যে কল্যাণ কাজে বাঁধা দান করে, যে সীমালংঘন করে ; পাপে নিমগ্ন থাকে,
১৩। রূঢ় [ এবং নিষ্ঠুর ] স্বভাব ৫৬০১; তদুপরি কুখ্যাত ;
৫৬০১। আত্ম-প্রবঞ্চনাকারী ও যারা সহজেই কার্য উদ্ধার করতে চায়, তারা ব্যতীত অন্য আর এক দল লোকের বর্ণনা এই আয়াতগুলির মাধ্যমে করা হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণীর এই লোকেরা হয় অত্যন্ত হীন ও নীচ চরিত্রের। তাদের সত্য সম্বন্ধে কোন ধারণাই নাই। ফলে বিশ্বস্ততার অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতেও তারা অপারগ। এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা মিথ্যাবাদী, কথায় কথায় সকলের সাথে বন্ধুত্বের শপথ করে এবং সুবিধাজনক যে কোন কার্যের প্রতি বিশ্বস্ততা ঘোষণা করে। একই সাথে তারা বন্ধু ও বিশ্বস্তদের পশ্চাতে কুৎসা রটনা করে এবং পরনিন্দা করে। যার ফলে সহজ সরল মানুষের মাঝে, সহজেই অশান্তির সৃষ্টি করে থাকে। এরা কল্যাণে বাঁধা দান করে, পাপ কার্যকে এদের চক্ষে মনোহর বলে দৃশ্যমান হয়। সে শুধুমাত্র যে কল্যাণে বাঁধাই দান করবে তাই-ই নয়, সে অকল্যাণের পথে দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হবে এবং অপর লোককেও কল্যাণের পথে অগ্রসর হতে বাধা দান করবে। যদি কেউ তাকে এই কাজে বাধা দান করে তবে সে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে, তার রূঢ় স্বভাব মানুষকে আহত করে। তার স্বভাবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হবে সে অপরের ব্যাপারে নাক গলানোতে কুখ্যাতি অর্জন করবে। যেখানে তার কোনও অধিকার নাই, সেখানেও সে সম্পর্ক, অধিকার, ক্ষমতা দাবী করে। এদের প্রচুর অর্থ সম্পদ থাকতে পারে, কিন্তু এদের ধারণায় ধর্ম হচ্ছে হাসি, খেলার বস্তু, বৃদ্ধদের এবং কুসংস্কারচ্ছন্ন ব্যক্তিরাই ধর্মকে আকঁড়ে ধরে এই বিকৃত ধারণাতে তারা পার্থিব জীবনকে অতিবাহিত করবে।