আয়াতঃ 068.040
আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন তাদের কে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল?
Ask them, which of them will stand surety for that!
سَلْهُم أَيُّهُم بِذَلِكَ زَعِيمٌ
Salhum ayyuhum bithalika zaAAeemun
YUSUFALI: Ask thou of them, which of them will stand surety for that!
PICKTHAL: Ask them (O Muhammad) which of them will vouch for that!
SHAKIR: Ask them which of them will vouch for that,
KHALIFA: Ask them, “Who guarantees this for you?”
৪০। তুমি তাদের জিজ্ঞাসা কর, তাদের মধ্যে এই দাবীর জিম্মাদার কে ?
৪১। অথবা তাদের কি [আল্লাহ্র সাথে ] শরীক আছে ৫৬২১ ? যদি তারা সত্যবাদী হয়, তবে তাদের শরীকদের উপস্থিত করুক।
৫৬২১। ‘দেবদেবী ‘ অর্থাৎ আল্লাহ্র সাথে অংশীদার। যেমন : খৃস্টানদের ত্রিতত্ববাদ। অর্থাৎ যে কোনও রকম আল্লাহ্র সাথে অংশীদারিত্বের কথা এখানে বলা হয়েছে। আল্লাহ্র ক্ষমতার সাথে যে কোনও শক্তিকে অংশীদার করার প্রবণতা আত্মার মাঝে আল্লাহ্র একত্বের ধারণাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়। একত্বের ধারণা হচ্ছে আত্মার মূল সঞ্জীবনী শক্তি। সুতারাং এর থেকে বিচ্যুতির ফলে আত্মা তার মূল বৈশিষ্ট্য হারায়।
আয়াতঃ 068.041
না তাদের কোন শরীক উপাস্য আছে? থাকলে তাদের শরীক উপাস্যদেরকে উপস্থিত করুক যদি তারা সত্যবাদী হয়।
Or have they ”partners”? Then let them bring their ”partners” if they are truthful!
أَمْ لَهُمْ شُرَكَاء فَلْيَأْتُوا بِشُرَكَائِهِمْ إِن كَانُوا صَادِقِينَ
Am lahum shurakao falya/too bishuraka-ihim in kanoo sadiqeena
YUSUFALI: Or have they some “Partners” (in Allahhead)? Then let them produce their “partners”, if they are truthful!
PICKTHAL: Or have they other gods? Then let them bring their other gods if they are truthful
SHAKIR: Or have they associates if they are truthful.
KHALIFA: Do they have idols? Let their idols help them, if they are truthful.
৪০। তুমি তাদের জিজ্ঞাসা কর, তাদের মধ্যে এই দাবীর জিম্মাদার কে ?
৪১। অথবা তাদের কি [আল্লাহ্র সাথে ] শরীক আছে ৫৬২১ ? যদি তারা সত্যবাদী হয়, তবে তাদের শরীকদের উপস্থিত করুক।
৫৬২১। ‘দেবদেবী ‘ অর্থাৎ আল্লাহ্র সাথে অংশীদার। যেমন : খৃস্টানদের ত্রিতত্ববাদ। অর্থাৎ যে কোনও রকম আল্লাহ্র সাথে অংশীদারিত্বের কথা এখানে বলা হয়েছে। আল্লাহ্র ক্ষমতার সাথে যে কোনও শক্তিকে অংশীদার করার প্রবণতা আত্মার মাঝে আল্লাহ্র একত্বের ধারণাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়। একত্বের ধারণা হচ্ছে আত্মার মূল সঞ্জীবনী শক্তি। সুতারাং এর থেকে বিচ্যুতির ফলে আত্মা তার মূল বৈশিষ্ট্য হারায়।
আয়াতঃ 068.042
গোছা পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা স্মরণ কর, সেদিন তাদেরকে সেজদা করতে আহবান জানানো হবে, অতঃপর তারা সক্ষম হবে না।
(Remember) the Day when the Shin shall be laid bare (i.e. the Day of Resurrection) and they shall be called to prostrate (to Allâh), but they (hypocrites) shall not be able to do so,
يَوْمَ يُكْشَفُ عَن سَاقٍ وَيُدْعَوْنَ إِلَى السُّجُودِ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ
Yawma yukshafu AAan saqin wayudAAawna ila alssujoodi fala yastateeAAoona
YUSUFALI: The Day that the shin shall be laid bare, and they shall be summoned to bow in adoration, but they shall not be able,-
PICKTHAL: On the day when it befalleth in earnest, and they are ordered to prostrate themselves but are not able,
SHAKIR: On the day when there shall be a severe affliction, and they shall be called upon to make obeisance, but they shall not be able,
KHALIFA: The day will come when they will be exposed, and they will be required to fall prostrate, but they will be unable to.
৪২। সেদিন পায়ের গোছা উন্মোচন করা হবে ৫৬২২। এবং তাদের আদেশ করা হবে সেজ্দা করার জন্য, কিন্তু তারা সক্ষম হবে না, –
৫৬২২। ” পায়ের গোছা উম্মোচিত করা।” এটি একটি আরবী বাগ্ধারা যার অর্থ চরম সংকট। কেয়ামত দিবসে যখন সকল রহস্যের অবসান ঘটবে তখনকার বর্ণনা এখানে করা হয়েছে। পায়ের গোছা যেরূপ চামড়া ও কাপড় দ্বারা ঢাকা থাকে; ঠিক সেরূপ হচ্ছে মানুষের পৃথিবীর জীবন। পৃথিবীর জীবনে মানুষ পার্থিব উন্নতির চিন্তায় বিভোর থাকে। পাপ পূণ্য,ন্যায় অন্যায়, ভালো -মন্দ তাদের চিন্তায় স্থান পায় না। তারা সুকৌশলে মনের বিকৃত বা পাপ চিন্তাধারাকে সযতনে গোপন রাখতে সক্ষম হয়। কিন্তু কেয়ামত দিবসে তাদের এই কার্যকলাপ ও চিন্তাধারা সর্ব সমক্ষে উলঙ্গভাবে প্রকাশ পেয়ে যাবে। জীবনের সকল রহস্য, সকল গোপনীয়তা উম্মুক্ত হয়ে যাবে। সেদিন প্রতিটি মানুষকে আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য বা সেজ্দার জন্য আহ্বান করা হবে। কিন্তু পার্থিব জীবনে আল্লাহ্র প্রতি অবাধ্যতা ও বিদ্রোহের যে মানসিকতা, তার থেকে তাদের মুক্তি ঘটবে না। পৃথিবীতে আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য যাদের নিকট হাসিঠাট্টার বিষয়রূপে পরিগণিত হতো, কেয়ামত দিবসে তাদের সেই মন মানসিকতা তাদের সর্বসত্তাকে গ্রাস করে থাকবে। ফলে তারা ইচ্ছা থাকলেও আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য প্রকাশে হবে অপারগ।