আয়াতঃ 068.033
শাস্তি এভাবেই আসে এবং পরকালের শাস্তি আরও গুরুতর; যদি তারা জানত!
Such is the punishment (in this life), but truly, the punishment of the Hereafter is greater, if they but knew.
كَذَلِكَ الْعَذَابُ وَلَعَذَابُ الْآخِرَةِ أَكْبَرُ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ
Kathalika alAAathabu walaAAathabu al-akhirati akbaru law kanoo yaAAlamoona
YUSUFALI: Such is the Punishment (in this life); but greater is the Punishment in the Hereafter,- if only they knew!
PICKTHAL: Such was the punishment. And verily the punishment of the Hereafter is greater if they did but know.
SHAKIR: Such is the chastisement, and certainly the chastisement of the hereafter is greater, did they but know!
KHALIFA: Such was the requital. But the retribution of the Hereafter is far worse, if they only knew.
৩৩। [ এই পৃথিবীর জীবনে ] এই হলো শাস্তি। কিন্তু পরকালে রয়েছে আরও কঠিনতর শাস্তি ; যদি তারা জানতো ৫৬১৬।
৫৬১৬। যদিও আল্লাহ্র আইন প্রত্যাখানকারী, স্বার্থপর, উদ্ধত, অহংকারী এবং পাপীদের শাস্তি হঠাৎ করেই নিপতিত হয়; কিন্তু তার পরেও কেউ যদি আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়, তবে আল্লাহ্র ক্ষমার হাত তার জন্য সর্বদা প্রসারিত।
পাপীদের প্রতি প্রদত্ত ইহকালের শাস্তি তাদের হতবুদ্ধি করে থাকে। তবে পরলোকের শাস্তি যে কতটা ভয়াবহ হবে তা আমাদের কল্পনারও বাইরে। কারণ সে শাস্তি হবে অনন্ত কাল ব্যপী এবং তখন আর অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের সুযোগ পাওয়া যাবে না।
আয়াতঃ 068.034
মোত্তাকীদের জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে নেয়ামতের জান্নাত।
Verily, for the Muttaqûn (pious and righteous persons – see V.2:2) are Gardens of delight (Paradise) with their Lord.
إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّاتِ النَّعِيمِ
Inna lilmuttaqeena AAinda rabbihim jannati alnnaAAeemi
YUSUFALI: Verily, for the Righteous, are Gardens of Delight, in the Presence of their Lord.
PICKTHAL: Lo! for those who keep from evil are gardens of bliss with their Lord.
SHAKIR: Surely those who guard (against evil) shall have with their Lord gardens of bliss.
KHALIFA: The righteous have deserved, at their Lord, gardens of bliss.
রুকু – ২
৩৪। পূণ্যাত্মাদের জন্য তাদের প্রভুর নিকটে অবশ্যই রয়েছে ভোগ-বিলাসপূর্ণ জান্নাত। ৫৬১৭
৫৬১৭। বেহেশতের সুখ ও শান্তির বর্ণনা দেয়া কোনও মানব ভাষাতে সম্ভব নয় সুতারাং সেই বর্ণনাকে উপলব্ধিযোগ্য করার জন্য ইন্দ্রিয় অনুভূত ভাষার ব্যবহার করা হয়েছে এবং আধ্যাত্মিক জগতের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের যে শান্তি সেই শান্তির সাথে সমন্বিত করা হয়েছে। মনোরম সুশোভিত উদ্যান আমাদের আনন্দ দেয় সত্য; তবে আধ্যাত্মিক জগতে পরলোকের যে বেহেশতি বাগান তার আনন্দ বর্ণনাতীত, কারণ তা আল্লাহ্ নৈকট্য লাভের আনন্দ দেয়।
আয়াতঃ 068.035
আমি কি আজ্ঞাবহদেরকে অপরাধীদের ন্যায় গণ্য করব?
Shall We then treat the (submitting) Muslims like the Mujrimûn (criminals, polytheists and disbelievers, etc.)?
أَفَنَجْعَلُ الْمُسْلِمِينَ كَالْمُجْرِمِينَ
AfanajAAalu almuslimeena kaalmujrimeena
YUSUFALI: Shall We then treat the People of Faith like the People of Sin?
PICKTHAL: Shall We then treat those who have surrendered as We treat the guilty?
SHAKIR: What! shall We then make (that is, treat) those who submit as the guilty?
KHALIFA: Shall we treat the Submitters like the criminals?
৩৫। তারপরেও আমি কি বিশ্বাসীদের পাপীদের ন্যায় গণ্য করবো ? ৫৬১৮
৫৬১৮। আধ্যাত্মিক জগতের সর্বাপেক্ষা জঘন্য পাপ হচ্ছে আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করা। কারণ এই পাপে আত্মার উপরে আবরণ সৃষ্টি হয় যা ভেদ করে আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো বা আল্লাহ্র নূর প্রবেশ করে না। ফলে আল্লাহ্র অনুগ্রহের উপলব্ধি বা আল্লাহ্কে অন্তরের মাঝে উপলব্ধির ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। পরিণতিতে সত্য ও ন্যায়ের জ্যোতি তাদের অন্তরে প্রবেশ লাভে বাধা প্রাপ্ত হয়। এর উপমা হচ্ছে জলাশয়ের চর্তুপাশ্বের কাদার আস্তরণ যা শুষ্ক মাটিকে পানি শুষে নিতে বাঁধার সৃষ্টি করে। এরা আল্লাহ্র চোখে অপরাধী। এ সব আত্মা নিজেদের পাপের বন্দীশালাতে নিজেদের উপাস্য স্থির করে নেয়। হয়তো বা তা পাষাণ মূর্তি, ধর্মযাজক বা এমনও হতে পারে যে মানুষকে দেয়া আল্লাহ্র নেয়ামতসমূহকেও তারা উপাস্যের বিষয়রূপে পরিগণিত করে যেমনঃ আল্লাহ্র দেয়া মেধা, মননশক্তি, প্রতিভা, খ্যাতি, বিজ্ঞান, জাতীয় নেতা ইত্যাদি। তারা উপলব্ধিতে অক্ষম এগুলির স্রষ্টা সেই বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ্।
আয়াতঃ 068.036
তোমাদের কি হল ? তোমরা কেমন সিদ্ধান্ত দিচ্ছ?
What is the matter with you? How judge you?