আমাদের পরকালের জীবনের নিরাপত্তার জন্য আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে জ্ঞান ও বুদ্ধির দ্বারা হৃদয়ঙ্গমের চেষ্টা করা উচিত। একমাত্র জ্ঞান ও বুদ্ধির প্রয়োগের মাধ্যমেই আল্লাহ্র ক্ষমতা ও দয়াকে আত্মার মাঝে অনুভব করা যায়। “ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রয়োছে প্রজ্ঞাসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য।” লাইনটি দ্বারা এ কথাকেই বোঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 030.025
তাঁর অন্যতম নিদর্শন এই যে, তাঁরই আদেশে আকাশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত আছে। অতঃপর যখন তিনি মৃত্তিকা থেকে উঠার জন্যে তোমাদের ডাক দেবেন, তখন তোমরা উঠে আসবে।
And among His Signs is that the heaven and the earth stand by His Command, then afterwards when He will call you by single call, behold, you will come out from the earth (i.e from your graves for reckoning and recompense).
وَمِنْ آيَاتِهِ أَن تَقُومَ السَّمَاء وَالْأَرْضُ بِأَمْرِهِ ثُمَّ إِذَا دَعَاكُمْ دَعْوَةً مِّنَ الْأَرْضِ إِذَا أَنتُمْ تَخْرُجُونَ
Wamin ayatihi an taqooma alssamao waal-ardu bi-amrihi thumma itha daAAakum daAAwatan mina al-ardi itha antum takhrujoona
YUSUFALI: And among His Signs is this, that heaven and earth stand by His Command: then when He calls you, by a single call, from the earth, behold, ye (straightway) come forth.
PICKTHAL: And of His signs is this: The heavens and the earth stand fast by His command, and afterward, when He calleth you, lo! from the earth ye will emerge.
SHAKIR: And one of His signs is that the heaven and the earth subsist by His command, then when He calls you with a (single) call from out of the earth, lo! you come forth.
KHALIFA: Among His proofs is that the heaven and the earth are standing at His disposal. Finally, when He calls you out of the earth, one call, you will immediately come out.
২৫। তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে আর একটি এই যে, তাঁরই আদেশে আকাশ ও পৃথিবী স্থিতি থাকে ৩৫৩১। তারপরে তিনি যখন তোমাদের একবার ডাক দেবেন, তখন তোমরা ভূমি থেকে [ অবিলম্বে ] বের হয়ে আসবে।
৩৫৩১। দৃশ্যমান জগতে আকাশ ও পৃথিবী উভয়েই তার নিজস্ব পরিমন্ডলে আত্মনির্ভরশীল। আল্লাহ্র শিল্প নৈপুন্যে আকাশ ও পৃথিবী পরস্পরের সাহায্য ব্যতীরেকেই দাড়িয়ে আছে। তারা আল্লাহ্র ক্ষমতার সাক্ষী। আমাদের পার্থিব জীবন আকাশ ও পৃথিবীর উপরে নির্ভরশীল। ভূমি আমাদের খাদ্য জোগায় ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটায় , আকাশ আমাদের বৃষ্টি দেয়, সূর্যের আলো ও তাপ দান করে – এ ভাবেই আল্লাহ্র ক্ষমতা আমাদের জীবন ধারণের একমাত্র অবলম্বন। এ কথা বোঝার পরেও কি ভাবে আমরা Ma’ad বা শেষ বিচারের দিনকে অস্বীকার করি ? যে দিন আমরা সকলে শুধুমাত্র আল্লাহ্র করুণার প্রার্থী হব?
আয়াতঃ 030.026
নভোমন্ডলে ও ভুমন্ডলে যা কিছু আছে, সব তাঁরই। সবাই তাঁর আজ্ঞাবহ।
To Him belongs whatever is in the heavens and the earth. All are obedient to Him.
وَلَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ كُلٌّ لَّهُ قَانِتُونَ
Walahu man fee alssamawati waal-ardi kullun lahu qanitoona
YUSUFALI: To Him belongs every being that is in the heavens and on earth: all are devoutly obedient to Him.
PICKTHAL: Unto Him belongeth whosoever is in the heavens and the earth. All are obedient unto Him.
SHAKIR: And His is whosoever is in the heavens and the earth; all are obedient to Him.
KHALIFA: To Him belongs everyone in the heavens and the earth; all are subservient to Him.
২৬। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর অধীনে। সকলেই একান্তভাবে তারই অনুগত ৩৫৩২।
৩৫৩২। এই আকাশ, পৃথিবী ও সারা বিশ্ব ভূমন্ডল আল্লাহ্র হুকুম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। জড় জগত ও জীব জগত সকলেই একান্ত অনুগতভাবে আল্লাহ্র হুকুম পালন করে থাকে। কারণ তাদের আল্লাহ্র হুকুম অমান্য করার সাধ্য নাই। সে ক্ষমতা তাদের দেয়া হয় নাই। আল্লাহ্ যে নির্দ্দিষ্ট ধর্ম তাদের জন্য স্থির করে দিয়েছেন, যে প্রাকৃতিক আইনের অর্ন্তভূক্ত করেছেন তার বাইরে তারা কখনও যায় না। অর্থাৎ যে জীবনকে স্রষ্টা কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন , তাকে সেই উদ্দেশ্যের প্রতি পথ প্রদর্শনও করেছেন। যেমন : মৌমাছির মধ্যে ফুল চেনা মৌচাক তৈরী করা ইত্যাদি। সেই হিসেবে তারা সর্বদা আল্লাহ্র আইন মানার মাধ্যমে আল্লাহ্র মাহাত্ম্য ঘোষণা করছে এবং আনুগত্য প্রকাশ করছে। একমাত্র মানুষকেই আল্লাহ্ “সীমিত” আকারে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দান করেছেন। যার ফলে সে ইচ্ছা করলে ভালোকে গ্রহণ ও মন্দকে বর্জন করতে পারে অথবা মন্দকে গ্রহণ ও ভালোকে বর্জন করতে পারে। আল্লাহ্ প্রদত্ত যোগ্যতাকে মানুষ নিজ ইচ্ছায় ব্যবহার করতে পারে। প্রকৃতিগতভাবে আল্লাহ্ প্রতিটি আত্মাকে সৃষ্টি করেছেন পূত ও পবিত্র রূপে। প্রতিটি আত্মার স্বভাবগত ধর্ম হচ্ছে স্রষ্টার সান্নিধ্যলাভ করার আকাঙ্খা। একমাত্র পূত পবিত্র আত্মাই স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভে সক্ষম। পৃথিবীর সকল সৃষ্টিই “তাঁর আজ্ঞাবহ”।