১৫। [ মুসা একদিন ] নগরে প্রবেশ করলো যখন উহার অধিবাসীরা সর্তক ছিলো না ৩৩৪১। এবং সে সেখানে দুইটি লোককে সংঘর্ষে লিপ্ত অবস্থায় দেখলো। একজন তার নিজ ধর্মের এবং অপরজন তার শত্রুদলের। এখন মুসার নিজ ধর্মের লোকটি তার শত্রুর বিরুদ্ধে মুসার নিকট সাহায্যের আবেদন করলো, এবং মুসা তাকে ঘুষি মারলো ৩৩৪২। ফলে তার জীবন অবসান হলো। সে [মুসা ] বলেছিলো, ” এটা শয়তানের কাজ। সে তো প্রকাশ্য বিভ্রান্তকারী শত্রু।”
৩৩৪১। মুসা যখন নগরীতে প্রবেশ করলো, সম্ভবতঃ তা ছিলো মধ্যাহ্ন কাল, যখন মিশরের ব্যবসা বাণিজ্য কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে। প্রচন্ড সূর্যতাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লোকজন গৃহের ছায়াতে আশ্রয় নেয়। অথবা সময় কালটি ছিলো রাত্রিকাল – যখন শহরের অধিবাসীরা সুপ্তির কোলে আশ্রয় গ্রহণ করে। আয়াত ১৮ এর বর্ণনা অনুযায়ী শেষের বর্ণনাটিই অধিক প্রযোজ্য মনে হয়, এর আর একটি কারণ হতে পারে মুসা রাজপরিবারে রাজপুত্রের ন্যায় প্রতিপালিত। সুতারাং একজন রাজপুরুষের যে কোনও সময়ে নাগরিক সুবিধা বঞ্চিতদের সমাজে, হীনভাবে বিবেচিতদের আবাসস্থলে যে কোনও সময়ে ভ্রমণ করা সম্ভব নয়। অবশ্যই সময়টা এমন হতে হবে, যখন তাঁকে কেউ লক্ষ্য করবে না। মুসা সেই সব কারণে প্রহরীদের ফাঁকি দিয়ে গোপনে রাতে ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিলো নিজ চোখে ইহুদীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা। ইহুদীদের প্রতি যে নিদারুণ অত্যাচার অবিচারের কাহিনী তিনি শুনেছিলেন সম্ভবতঃ তা তিনি নিজে বিচার করতে চেয়েছিলেন। আমরা ধরে নিতে পারি তিনি তাঁর মায়ের সংস্পর্শে সব সময়েই ছিলেন – যার ফলে তাঁর মধ্যে ইহুদীদের প্রতি বিশেষ এক আত্মিক সম্পর্ক অনুভব করা যায়।
৩৩৪২। সংঘর্ষ হচ্ছিল ইহুদী ও মিশরবাসীর মধ্যে। মুসার উদ্দেশ্য ছিলো মিশরবাসীকে আঘাত করে ইহুদীকে মুক্ত করা। তিনি মিশরবাসীটিকে হত্যা করতে চান নাই। কিন্তু ঘটনাচক্রে মিশরবাসীটি মুসার এক ঘুষিতেই মৃত্যুবরণ করে। সম্পূর্ণ ঘটনাটি মুসার জন্য ছিলো বহুকারণে দুর্ভাগ্যজনক। কারণ প্রথমতঃ মুসা নিয়ম বর্হিভূত ভাবে গোপনে নগরী ভ্রমণ করছিলো, দ্বিতীয়তঃ দুর্বলের পক্ষ অবলম্বন করতে যেয়ে তিনি একজন স্বাধীন মিশরবাসীর মৃত্যুর কারণ হয়েছেন। এসব কারণে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত ও অনুতপ্ত হয়ে পড়েন এবং আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং আল্লাহ্র ক্ষমা লাভ করেন।
আয়াতঃ 028.016
তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।
He said: ”My Lord! Verily, I have wronged myself, so forgive me.” Then He forgave him. Verily, He is the Oft-Forgiving, the Most Merciful.
قَالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
Qala rabbi innee thalamtu nafsee faighfir lee faghafara lahu innahu huwa alghafooru alrraheemu
YUSUFALI: He prayed: “O my Lord! I have indeed wronged my soul! Do Thou then forgive me!” So (Allah) forgave him: for He is the Oft-Forgiving, Most Merciful.
PICKTHAL: He said: My Lord! Lo! I have wronged my soul, so forgive me. Then He forgave him. Lo! He is the Forgiving, the Merciful.
SHAKIR: He said: My Lord! surely I have done harm to myself, so do Thou protect me. So He protected him; surely He is the Forgiving, the Merciful.
KHALIFA: He said, “My Lord, I have wronged my soul. Please forgive me,” and He forgave him. He is the Forgiver, Most Merciful.
১৬। সে প্রার্থনা করেছিলো, ” হে আমার প্রভু ! আমি সত্যিই নিজের আত্মার প্রতি অত্যাচার করেছি। এখন তুমি আমাকে ক্ষমা কর।” সুতারাং আল্লাহ্ তাঁকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয়ই তিনি বারে বারে ক্ষমাশীল , পরম করুণাময়।
১৭। সে বলেছিলো, ” হে আমার প্রভু! যেহেতু তুমি আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছ, সুতারাং আমি আর কখনও পাপীদের সাহায্যকারী হব না।” ৩৩৪৩
৩৩৪৩। আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য জীবন উৎসর্গ করার জন্য হযরত মুসা প্রতিজ্ঞা করেন একান্ত আন্তরিক ও অনুগত ভাবে। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন যে,তিনি ভবিষ্যতে কখনও অপরাধীদের সাহায্য করবেন না। সম্ভবতঃ ইহুদীটি ছিলো কলহপ্রিয়, সেই কারণে মুসা অনুতপ্ত অবস্থায় উপরের প্রতিজ্ঞা করেন। কিন্তু তখনও দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে নাই , যে ঘটনার পরিণামে তাঁকে মিশর ত্যাগ করতে হয়।
আয়াতঃ 028.017
তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, এরপর আমি কখনও অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না।
He said: ”My Lord! For that with which You have favoured me, I will never more be a helper for the Mujrimûn (criminals, disobedient to Allâh, polytheists, sinners, etc.)!”
قَالَ رَبِّ بِمَا أَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ أَكُونَ ظَهِيرًا لِّلْمُجْرِمِينَ
Qala rabbi bima anAAamta AAalayya falan akoona thaheeran lilmujrimeena