Site icon BnBoi.Com

সূরা আ’লা বাংলা

সূরা আ'লা

সূরা আ’লা

 

আয়াতঃ 087.001

আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন
Glorify the Name of your Lord, the Most High,

سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى
Sabbihi isma rabbika al-aAAla

YUSUFALI: Glorify the name of thy Guardian-Lord Most High,
PICKTHAL: Praise the name of thy Lord the Most High,
SHAKIR: Glorify the name of your Lord, the Most High,
KHALIFA: Glorify the name of your Lord, the Most High.

===============
সূরা আ’লা বা সুউচ্চ -৮৭
১৯ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : প্রাথমিক মক্কী সূরাগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। সম্ভবতঃ অবতরণের ক্রমপঞ্জি অনুযায়ী এটি অষ্টম। ৮১ নং সূরার পরেই এটা অবতীর্ণ হয়।

এই সূরার বিষয়বস্তু হচ্ছে, আল্লাহ্‌ মানুষকে ধীরে ধীরে আধ্যাত্মিক জগতে অগ্রসর হওয়ার ক্ষমতা দান করেছেন। আল্লাহ্‌র প্রত্যাদেশ ক্রমান্বয়ে তাকে পবিত্র থেকে পবিত্রতর ও নৈতিক দিকে উৎকৃষ্ট থেকে উৎকৃষ্টতর পরিণতির দিকে অগ্রসর করাবে।

সূরা আ’লা বা সুউচ্চ -৮৭
১৯ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

১। তুমি তোমার অভিভাবক প্রভুর নামের মহিমা ঘোষণা কর, ৬০৮০

৬০৮০। ‘Rabb’ শব্দটির অর্থ এখানে করা হয়েছে অভিভাবক যার অর্থ হবে আরও ব্যপক। শব্দটি দ্বারা মানুষের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু যিনি দান করেন তাঁকেই বুঝানো হয়। যেমন : তিনি স্বস্নেহে পালনকর্তা, অনিষ্ঠ থেকে রক্ষাকারী অভিভাবক, শক্তিদানকারী সাহায্যকারী এক কথায় জীবন যুদ্ধে জয়লাভ করে আত্মিক ও পার্থিব সমৃদ্ধির সকল সফলতার মুল শক্তিকে ‘রব’ শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে।

 

আয়াতঃ 087.002

যিনি সৃষ্টি করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
Who has created (everything), and then proportioned it;

الَّذِي خَلَقَ فَسَوَّى
Allathee khalaqa fasawwa

YUSUFALI: Who hath created, and further, given order and proportion;
PICKTHAL: Who createth, then disposeth;
SHAKIR: Who creates, then makes complete,
KHALIFA: He creates and shapes.

২। যিনি সৃষ্টি করেছেন এবং উপরন্তু সুঠাম করেছেন। ৬০৮১

৬০৮১। এই আয়াতে সৃষ্টির রহস্যকে উম্মুক্ত করা হয়েছে। সৃষ্টি প্রক্রিয়া হচ্ছে ধারাবাহিক। প্রথমতঃ স্রষ্টা আমাদের ” মাতৃ জঠরে সৃষ্টি করেন রক্ত পিন্ড আকারে ” অর্থৎ আমাদের নাস্তি থেকে অস্তিত্ব দান করেন। দ্বিতীয়তঃ তারপরে ধীরে ধীরে তিনি আমাদের মাতৃ জঠরে এবং শৈশবে, কৈশরে ও যৌবনে “সুঠাম” করেন অর্থাৎ শারীরিক ভাবে দৈহিক গঠন, আকার, আকৃতি ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সংগে মিল রেখে তাকে অস্তিত্ব দান করেছেন এবং বিভিন্ন মানসিক দক্ষতা দ্বারা সমৃদ্ধ করেন। এই মানসিক দক্ষতা সমূহ এই পৃথিবীর উপযোগী করে সৃষ্টি করা হয়েছে যেনো আমরা পরিবেশকে জয় করে দেহ থেকে দেহাতীত আধ্যাত্মিক জগতের উপযোগী হতে পারি।

 

আয়াতঃ 087.003

এবং যিনি সুপরিমিত করেছেন ও পথ প্রদর্শন করেছেন
And Who has measured (preordainments for each and everything even to be blessed or wretched); then guided (i.e. showed mankind the right as well as wrong paths, and guided the animals to pasture);

وَالَّذِي قَدَّرَ فَهَدَى
Waallathee qaddara fahada

YUSUFALI: Who hath ordained laws. And granted guidance;
PICKTHAL: Who measureth, then guideth;
SHAKIR: And Who makes (things) according to a measure, then guides (them to their goal),
KHALIFA: He designs and guides.

৩। যিনি আইন প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং পথ নির্দ্দেশ দান করেছেন। ৬০৮২

৬০৮২। তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌ বিভিন্ন বিধানের মাধ্যমে আমাদের মানসিক ও আধ্যাত্মিক জগতের সম্প্রসারণ ঘটান, যেনো আমরা তাঁর পৃথিবী সৃষ্টির বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সম্পৃক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারি। প্রত্যেক বস্তুকে আল্লাহ্‌ বিশেষ কাজের জন্য সৃষ্টি করে সে কাজের উপযুক্ত সম্পদ দিয়ে তাকে সে কাজে নিয়োজিত করেছেন। একেই বলা হয়েছে আইনের প্রতিষ্ঠা সাধন করেন। এটা কোন বিশেষ শ্রেণীর সৃষ্টির মধ্যে সীমিত নয়, সমগ্র সৃষ্ট জগত ও সৃষ্টিকেই আল্লাহ্‌ তায়ালা বিশেষ বিশেষ কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন ; বিকাশ সাধন করেছেন এবং সে কাজেই নিয়োজিত করে দিয়েছেন। প্রত্যেক বস্তু তার পালনকর্তার নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। মানুষের জন্যও এই নিয়ম প্রযোজ্য। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি ও শারীরিক ও মানসিক দক্ষতা সমূহকে আল্লাহ্‌ তাঁর বিধানের উপযোগী করে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ্‌ যে কাজের জন্য যাকে সৃষ্টি করেছেন তাকে সে কাজের পথ-নির্দ্দেশও দিয়েছেন। সত্যিকার ভাবে এ পথ নির্দ্দেশে আকাশ ও পৃথিবীর যাবতীয় সৃষ্টিই অন্তর্ভূক্ত আছে। এই পথ নির্দ্দেশের প্রভাবে আকাশ, পৃথিবী, গ্রহ,নক্ষত্র, পাহাড় -পবর্ত, নদ-নদী, সৃষ্টির আদি থেকে যে কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছে, সে কাজ হুবহু তেমনি ভাবে করে চলেছে।
চতুর্থতঃ আধ্যাত্মিক জগতের সমৃদ্ধির জন্যও পথের নির্দ্দেশ আল্লাহ্‌ মানুষকে দান করেছেন। আমরা যেনো আমাদের বিচার শক্তি, যুক্তিবোধ, প্রয়োগ করে আল্লাহ্‌ নির্দ্দেশিত পথের দিশা ও সীমানা বুঝতে পারি। আমরা যেনো শুধুমাত্র কোন যান্ত্রিক আইনের বাধ্যবাধকতা দ্বারা আত্মার স্বাধীনতাকে খর্ব না করি।

 

আয়াতঃ 087.004

এবং যিনি তৃণাদি উৎপন্ন করেছেন,
And Who brings out the pasturage,

وَالَّذِي أَخْرَجَ الْمَرْعَى
Waallathee akhraja almarAAa

YUSUFALI: And Who bringeth out the (green and luscious) pasture,
PICKTHAL: Who bringeth forth the pasturage,
SHAKIR: And Who brings forth herbage,
KHALIFA: He produces the pasture.

৪। এবং যিনি [ সবুজ ও সতেজ ] চারণভূমি উৎপন্ন করেন, ৬০৮৩

৫। পরে উহাকে ধূসর আবর্জনায় পরিণত করেন।

৬০৮৩। পঞ্চম : পৃথিবীর প্রতিটি জীবিত প্রাণ ধীরে ধীরে পূর্ণ কালপ্রাপ্ত হয় এবং শেষে একদিন মৃত্যুর মুখে পতিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। শষ্য শ্যামল ফসলের ক্ষেত ফসল কাটার পরে কর্তিত ফসলের মূলের অবশিষ্ট দ্বারা রিক্ত মাঠ বিরান পড়ে থাকে। এই উদাহরণের দ্বারা পৃথিবীর আবাহমানকালের নিয়মকে তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীর সকল জীবিত প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ন্যায় মানুষেরও পরিণতি একই। শুধু পার্থক্য হচ্ছে মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মানব আত্মা শেষ হয়ে যায় না। মানুষের জন্য আল্লাহ্‌ নির্ধারিত করেছেন মর্যদাপূর্ণ ভবিষ্যত নিয়তি।

 

আয়াতঃ 087.005

অতঃপর করেছেন তাকে কাল আবর্জনা।
And then makes it dark stubble.

فَجَعَلَهُ غُثَاء أَحْوَى
FajaAAalahu ghuthaan ahwa

YUSUFALI: And then doth make it (but) swarthy stubble.
PICKTHAL: Then turneth it to russet stubble.
SHAKIR: Then makes it dried up, dust-colored.
KHALIFA: Then turns it into light hay.

৪। এবং যিনি [ সবুজ ও সতেজ ] চারণভূমি উৎপন্ন করেন, ৬০৮৩

৫। পরে উহাকে ধূসর আবর্জনায় পরিণত করেন।

৬০৮৩। পঞ্চম : পৃথিবীর প্রতিটি জীবিত প্রাণ ধীরে ধীরে পূর্ণ কালপ্রাপ্ত হয় এবং শেষে একদিন মৃত্যুর মুখে পতিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। শষ্য শ্যামল ফসলের ক্ষেত ফসল কাটার পরে কর্তিত ফসলের মূলের অবশিষ্ট দ্বারা রিক্ত মাঠ বিরান পড়ে থাকে। এই উদাহরণের দ্বারা পৃথিবীর আবাহমানকালের নিয়মকে তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীর সকল জীবিত প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ন্যায় মানুষেরও পরিণতি একই। শুধু পার্থক্য হচ্ছে মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মানব আত্মা শেষ হয়ে যায় না। মানুষের জন্য আল্লাহ্‌ নির্ধারিত করেছেন মর্যদাপূর্ণ ভবিষ্যত নিয়তি।

 

আয়াতঃ 087.006

আমি আপনাকে পাঠ করাতে থাকব, ফলে আপনি বিস্মৃত হবেন না
We shall make you to recite (the Qur’ân), so you (O Muhammad (Peace be upon him)) shall not forget (it),

سَنُقْرِؤُكَ فَلَا تَنسَى
Sanuqri-oka fala tansa

YUSUFALI: By degrees shall We teach thee to declare (the Message), so thou shalt not forget,
PICKTHAL: We shall make thee read (O Muhammad) so that thou shalt not forget
SHAKIR: We will make you recite so you shall not forget,
KHALIFA: We will recite to you; do not forget.

৬। আমি তোমাকে [ কুর-আন ] শিক্ষা দেবো ধীরে ধীরে ৬০৮৪, যেনো তুমি ভুলে না যাও, ৬০৮৫ –

৬০৮৪। মানব আত্মা যখন আল্লাহ্‌র হেদায়েতের আলোতে ধন্য হয়, তখন আধ্যাত্মিক জগতে আলোর পথে তাঁর অগ্রগতির যাত্রা শুরু হয়। এই অগ্রগতি হয় ধীরে ধীরে ও ক্রমান্বয়ে, অন্ধকার থেকে আলোর পথে। আল্লাহ্‌ তাঁকে “শিক্ষা দেন” বা হেদায়েত করেন ক্রমান্বয়ে। এই আয়াতটিতে রাসুলকে সম্বোধন করা হলেও এর আবেদন সার্বজনীন। পবিত্র কোরাণ অবতীর্ণ হয় সুদীর্ঘ ২৩ বৎসর ব্যপী ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে। এভাবেই আল্লাহ্‌র সকল প্রত্যাদেশ সমূহ ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে অবতীর্ণ হয়। সাধারণ প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কোরাণের আয়াত সমূহের ব্যাখ্যা সমান্তরাল ভাবে দুধরণের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট, অপরটি হচ্ছে আয়াতের শিক্ষা যা সর্বযুগের সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য হয়ে থাকে। এখানে বক্তব্যকে : ১) রাসুলের (সা) জীবনের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে কোরাণ অবতীর্ণ হওয়াকে ২) পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য এটা হচ্ছে সাধারণ শিক্ষা যা সর্বযুগে প্রযোজ্য। “যেনো তুমি ভুলে না যাও।” যারাই আল্লাহ্‌র বাণী হৃদয়ে ধারণ করে বুঝতে সক্ষম হবেন, তাঁরা তা ভুলবেন না। তাঁরা তার প্রকাশ ঘটাবেন তাদের বক্তব্যে, তাদের চরিত্রে, তাদের কাজের মাধ্যমে। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের আধ্যাত্মিক বিকাশ ঘটবে ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে। এবং যে এই পথ একবার অতিক্রম করবে সে তা ভুলতে পারবে না। তার ব্যক্তিত্ব,চরিত্র,হৃদয় সেই পথের আলোকে আলোকিত হয়ে যাবে।

৬০৮৫। আলোচ্য আয়াতে রাসুলকে (সা ) আশ্বাস দিয়েছেন যে, কোরাণ মুখস্ত করানোর দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ্‌ নিয়েছেন। রাসুল (সা) ছিলেন নিরক্ষর। সুতারাং আল্লাহ্‌র বাণী তাঁর হৃদয়ে এবং আপামর মানুষের হৃদয়ে অংকিত করার দায়িত্ব রাব্বুল আলামীনের।

 

আয়াতঃ 087.007

আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। নিশ্চয় তিনি জানেন প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়।
Except what Allâh, may will, He knows what is apparent and what is hidden.

إِلَّا مَا شَاء اللَّهُ إِنَّهُ يَعْلَمُ الْجَهْرَ وَمَا يَخْفَى
Illa ma shaa Allahu innahu yaAAlamu aljahra wama yakhfa

YUSUFALI: Except as Allah wills: For He knoweth what is manifest and what is hidden.
PICKTHAL: Save that which Allah willeth. Lo! He knoweth the disclosed and that which still is hidden;
SHAKIR: Except what Allah pleases, surely He knows the manifest, and what is hidden.
KHALIFA: Everything is in accordance with GOD’s will; He knows what is declared, and what is hidden.

৭। আল্লাহ্‌ যা ইচছা করেন তা ব্যতীত ৬০৮৬। নিশ্চয় তিনি জানেন যা প্রকাশ্য ও যা গোপনীয়।

৬০৮৬। ৭নং আয়াতটি ৬নং আয়াতের ধারাবাহিকতা। ” যেনো তুমি ভুলে না যাও আল্লাহ্‌ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত।” অনেকে মনে করেন এই আয়াতটি দ্বারা কোরাণের কোন কোন আয়াতকে লোপ করা বুঝানো হয়েছে। এখানে মনে রাখা প্রয়োজন যে এই সূরাটি প্রাথমিকভাবে অবতীর্ণ সূরাগুলির অন্যতম। অবতীর্ণকালের ধারাবাহিকতায় এই সূরাটি অষ্টম স্থান অধিকার করে আছে। সুতারাং পূর্বোক্ত কোনও আয়াতের বিলোপের উল্লেখ এখানে করা হয় নাই। যুগে যুগে, কালে কালে আল্লাহ্‌র সত্যের মূলনীতি সমূহ অপরিবর্তনীয় রয়ে গেছে। এই বাণীর প্রকাশ ও প্রয়োগে বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায় যুগে যুগে যেমন : হযরত মুসা থেকে হযরত ঈসা ; এবং হযরত ঈসা থেকে হযরত মুহম্মদ (সা) পর্যন্ত। হযরত মুসা, হযরত ঈসা সকলেই আল্লাহ্‌র বাণী প্রাপ্ত ; এরা সকলেই আল্লাহ্‌র কিতাব প্রাপ্ত। তবে যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মহান আল্লাহ্‌ তাঁর প্রচারিত বাণীর কিছু কিছু অংশ মানুষের জন্য বিলোপ করে দেন। আবার কখনও কখনও মানুষ তা ভুলে যায়। প্রকৃত পক্ষে একমাত্র আল্লাহ্‌-ই জানেন যা প্রকাশ্য ও যা অপ্রকাশ্য। তাঁর ই‌চছা ও পরিকল্পনা কার্যকর হবেই এবং তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা সবকিছুকে পরিব্যপ্ত করে আছে।

 

আয়াতঃ 087.008

আমি আপনার জন্যে সহজ শরীয়ত সহজতর করে দেবো।
And We shall make easy for you (O Muhammad (Peace be upon him)) the easy way (i.e. the doing of righteous deeds).

وَنُيَسِّرُكَ لِلْيُسْرَى
Wanuyassiruka lilyusra

YUSUFALI: And We will make it easy for thee (to follow) the simple (Path).
PICKTHAL: And We shall ease thy way unto the state of ease.
SHAKIR: And We will make your way smooth to a state of ease.
KHALIFA: We will direct you to the easiest path.

৮। আমি তোমার জন্য সহজ করে দেবো সরলপথ। ৬০৮৭

৬০৮৭। ধর্ম হিসেবে ইসলাম ধর্ম হচ্ছে সহজ সরল। এই ধর্মে কোন দুর্বধ্যতা নাই; বা কঠোর কৃচ্ছসাধনার মাধ্যমে আত্ম উৎপীড়নের কোন পথ নাই। মানুষের প্রকৃতির যা সহজাত প্রবৃত্তি তারই সুস্থ ও সুন্দর বিকাশ ঘটানো হয়েছে ইসলাম ধর্মে। দেখুন সূরা [ ৩০ : ৩০ ] আয়াত। ইসলাম হচ্ছে জীবনের ধর্ম। সুস্থ, সুন্দর জীবন যাপন প্রণালীর নামই ইসলাম। তবে আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা ও সম্পূর্ণতা লাভের পথ দুর্গম। এ পথে সার্থকতা ও সফলতা লাভের প্রথম শর্ত হচ্ছে আল্লাহ্‌র ইচ্ছার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পন। আমাদের সকল কর্ম, চিন্তা, ভাবনা, ইচ্ছা সব কিছু আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য নিবেদিত হতে হবে। বান্দা যখন এভাবে নিজেকে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির লাভের জন্য নিজস্ব সব কিছু বিলিয়ে দিতে পারে তখনই আল্লাহ্‌ বান্দার জন্য তার আধ্যাত্মিক জগতের রাস্তাকে সহজ করে দেন।

আয়াতটি রাসুলকে সম্বোধন করে অবতীর্ণ হলেও এর আবেদন সার্বজনীন।

 

আয়াতঃ 087.009

উপদেশ ফলপ্রসূ হলে উপদেশ দান করুন,
Therefore remind (men) in case the reminder profits (them).

فَذَكِّرْ إِن نَّفَعَتِ الذِّكْرَى
Fathakkir in nafaAAati alththikra

YUSUFALI: Therefore give admonition in case the admonition profits (the hearer).
PICKTHAL: Therefor remind (men), for of use is the reminder.
SHAKIR: Therefore do remind, surely reminding does profit.
KHALIFA: Therefore, you shall remind; perhaps the reminder will benefit.

৯। সুতারাং উপদেশ দাও, যদি উপদেশ [ শ্রবণকারীর জন্য ] ফলপ্রসু হয়। ৬০৮৮

৬০৮৮। বাইবেলে আছে, “Cast not pearls before swine.” [ Matt vii – 6 ] । কুর-আনে এতটা কঠোর ভাষা প্রয়োগ করা হয় নাই। তবে ১০ নং আয়াতে বলা হয়েছে কাদের জন্য উপদেশ কার্যকরী এবং [ ১১ – ১৩ ] আয়াতে বলা হয়েছে কাদের জন্য উপদেশ কার্যকরী নয়। যারা আল্লাহ্‌র ভয়ে ভীত হয় তাদের জন্য ব্যক্তিগত উপদেশ ফলপ্রসু। অপরপক্ষে যারা উপদেশ থেকে দূরে সরে যায় তাদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে উপদেশ দান করা নিরর্থক। এরাই হলো হতভাগ্য যারা নিজের ধ্বংস নিজে ডেকে আনে।

 

আয়াতঃ 087.010

যে ভয় করে, সে উপদেশ গ্রহণ করবে,
The reminder will be received by him who fears (Allâh),

سَيَذَّكَّرُ مَن يَخْشَى
Sayaththakkaru man yakhsha

YUSUFALI: The admonition will be received by those who fear (Allah):
PICKTHAL: He will heed who feareth,
SHAKIR: He who fears will mind,
KHALIFA: The reverent will take heed.

১০। যারা [আল্লাহ্‌কে ] ভয় করে সে উপদেশ গ্রহণ করবে।

১১। যে নিতান্ত হতভাগ্য সে ইহা উপেক্ষা করবে,

১২। মহা -আগুনে প্রবেশ করবে, ৬০৮৯

৬০৮৯। ‘মহা অগ্নি ‘ -যার দ্বারা পরলোকের সর্বোচ্চ শাস্তিকে বুঝানো হয়েছে। মহা-অগ্নি শব্দটি দ্বারা তুলনা করা হয়েছে স্বল্প শাস্তির সাথে যা মানুষ ভোগ করবে ছোট ছোট পাপ ও ত্রুটির কারণে।

 

আয়াতঃ 087.011

আর যে, হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে,
But it will be avoided by the wretched,

وَيَتَجَنَّبُهَا الْأَشْقَى
Wayatajannabuha al-ashqa

YUSUFALI: But it will be avoided by those most unfortunate ones,
PICKTHAL: But the most hapless will flout it,
SHAKIR: And the most unfortunate one will avoid it,
KHALIFA: The wicked will avoid it.

১০। যারা [আল্লাহ্‌কে ] ভয় করে সে উপদেশ গ্রহণ করবে।

১১। যে নিতান্ত হতভাগ্য সে ইহা উপেক্ষা করবে,

১২। মহা -আগুনে প্রবেশ করবে, ৬০৮৯

৬০৮৯। ‘মহা অগ্নি ‘ -যার দ্বারা পরলোকের সর্বোচ্চ শাস্তিকে বুঝানো হয়েছে। মহা-অগ্নি শব্দটি দ্বারা তুলনা করা হয়েছে স্বল্প শাস্তির সাথে যা মানুষ ভোগ করবে ছোট ছোট পাপ ও ত্রুটির কারণে।

 

আয়াতঃ 087.012

সে মহা-অগ্নিতে প্রবেশ করবে।
Who will enter the great Fire and made to taste its burning,

الَّذِي يَصْلَى النَّارَ الْكُبْرَى
Allathee yasla alnnara alkubra

YUSUFALI: Who will enter the Great Fire,
PICKTHAL: He who will be flung to the great Fire
SHAKIR: Who shall enter the great fire;
KHALIFA: Consequently, he will suffer the great Hellfire.

১০। যারা [আল্লাহ্‌কে ] ভয় করে সে উপদেশ গ্রহণ করবে।

১১। যে নিতান্ত হতভাগ্য সে ইহা উপেক্ষা করবে,

১২। মহা -আগুনে প্রবেশ করবে, ৬০৮৯

৬০৮৯। ‘মহা অগ্নি ‘ -যার দ্বারা পরলোকের সর্বোচ্চ শাস্তিকে বুঝানো হয়েছে। মহা-অগ্নি শব্দটি দ্বারা তুলনা করা হয়েছে স্বল্প শাস্তির সাথে যা মানুষ ভোগ করবে ছোট ছোট পাপ ও ত্রুটির কারণে।

 

আয়াতঃ 087.013

অতঃপর সেখানে সে মরবেও না, জীবিতও থাকবে না।
Wherein he will neither die (to be in rest) nor live (a good living).

ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَى
Thumma la yamootu feeha wala yahya

YUSUFALI: In which they will then neither die nor live.
PICKTHAL: Wherein he will neither die nor live.
SHAKIR: Then therein he shall neither live nor die.
KHALIFA: Wherein he never dies, nor stays alive.

১৩। সেখানে সে মরবেও না, বাঁচবেও না। ৬০৯০

৬০৯০। এই আয়াতের মাধ্যমে পরলোকের যে শাস্তির ছবি আঁকা হয়েছে তা অত্যন্ত ভয়াবহ। এই শাস্তি তারাই ভোগ করবে যারা পৃথিবীর জীবনে পাপে নিমজ্জিত ছিলো এরা পৃথিবীর মাঝে সুখ ও শান্তির পরিবর্তে বিরোধ ও বিসংবাদের সৃষ্টি করেছে। এদের অতীত কুকর্ম এদের পরলোকের জীবনেও সঙ্গী হিসেবে থাকবে। ৫নং আয়াতে যে শুষ্ক খড়ের তুলনা করা হয়েছে এরা তার থেকেও নিকৃষ্ট। কারণ খড় উৎপন্ন হয় সতেজ, সবুজ তৃণভূমি যখন শুকিয়ে যায়। কিন্তু এরা ছিলো বিষাক্ত কাঁটা গাছের মত। সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এরা জাহান্নামে ” মরবেও না বাঁচবেও না।”

 

আয়াতঃ 087.014

নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়
Indeed whosoever purifies himself (by avoiding polytheism and accepting Islâmic Monotheism) shall achieve success,

قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّى
Qad aflaha man tazakka

YUSUFALI: But those will prosper who purify themselves,
PICKTHAL: He is successful who groweth,
SHAKIR: He indeed shall be successful who purifies himself,
KHALIFA: Successful indeed is the one who redeems his soul.

১৪। সেই সাফল্য লাভ করবে, ৬০৯১ যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে ৬০৯২

১৫। এবং আপন প্রভুর নাম স্মরণ করবে, এবং নামায পড়বে।

৬০৯১। “সাফল্য” – আধ্যাত্মিক জীবনে সর্বোচ্চ সমৃদ্ধিকে বুঝানো হয়েছে আত্মিক প্রশান্তি বা আধ্যাত্মিক মুক্তি। এই অবস্থা হচ্ছে ‘মহা -অগ্নিতে ” প্রবেশের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা।

৬০৯২। আধ্যাত্মিক জীবনে সফলতা লাভের সোপান হচ্ছে আত্মার পবিত্রতা অর্জন করা। এই পবিত্রতা হতে হবে ১) শারীরিক অর্থাৎ নিজস্ব দেহ এবং পারিপার্শ্বিক। ২) মানসিক অর্থাৎ চিন্তা ও কথায় পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন রীপু বা প্রবৃত্তির দমন। ৩) আত্মিক ভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে যার জন্য প্রয়োজন হবে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সৎ কাজের মাধ্যমে বা পবিত্র জীবন যাপন প্রণালীর মাধ্যমে তা অর্জন করা। অর্থাৎ আধ্যাত্মিক গুণাবলীতে সমৃদ্ধ হওয়া।

 

আয়াতঃ 087.015

এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে।
And remembers (glorifies) the Name of his Lord (worships none but Allâh), and prays (five compulsory prayers and Nawâfil additional prayers).

وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّى
Wathakara isma rabbihi fasalla

YUSUFALI: And glorify the name of their Guardian-Lord, and (lift their hearts) in prayer.
PICKTHAL: And remembereth the name of his Lord, so prayeth,
SHAKIR: And magnifies the name of his Lord and prays.
KHALIFA: By remembering the name of his Lord and observing the contact prayers (Salat).

১৪। সেই সাফল্য লাভ করবে, ৬০৯১ যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে ৬০৯২

১৫। এবং আপন প্রভুর নাম স্মরণ করবে, এবং নামায পড়বে।

৬০৯১। “সাফল্য” – আধ্যাত্মিক জীবনে সর্বোচ্চ সমৃদ্ধিকে বুঝানো হয়েছে আত্মিক প্রশান্তি বা আধ্যাত্মিক মুক্তি। এই অবস্থা হচ্ছে ‘মহা -অগ্নিতে ” প্রবেশের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা।

৬০৯২। আধ্যাত্মিক জীবনে সফলতা লাভের সোপান হচ্ছে আত্মার পবিত্রতা অর্জন করা। এই পবিত্রতা হতে হবে ১) শারীরিক অর্থাৎ নিজস্ব দেহ এবং পারিপার্শ্বিক। ২) মানসিক অর্থাৎ চিন্তা ও কথায় পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন রীপু বা প্রবৃত্তির দমন। ৩) আত্মিক ভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে যার জন্য প্রয়োজন হবে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সৎ কাজের মাধ্যমে বা পবিত্র জীবন যাপন প্রণালীর মাধ্যমে তা অর্জন করা। অর্থাৎ আধ্যাত্মিক গুণাবলীতে সমৃদ্ধ হওয়া।

 

আয়াতঃ 087.016

বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও,
Nay, you prefer the life of this world;

بَلْ تُؤْثِرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا
Bal tu/thiroona alhayata alddunya

YUSUFALI: Day (behold), ye prefer the life of this world;
PICKTHAL: But ye prefer the life of the world
SHAKIR: Nay! you prefer the life of this world,
KHALIFA: Indeed, you are preoccupied with this first life.

১৬। না, [ স্মরণ কর ] তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দাও ;

১৭। অথচ পরকাল উৎকৃষ্টতর এবং স্থায়ী।

১৮। এবং পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে এ কথা আছে, ৬০৯৩

৬০৯৩। পূত পবিত্র জীবন যাপনের উপদেশ কোন নূতন তত্ব নয়। প্রতিটি কিতাবধারী জাতির জন্য এই উপদেশ বিদ্যমান। পার্থিব জীবনের দম্ভ ও অহংকারের অসারতা এবং এই জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্বের ঘোষণা পূর্বের ধর্মগ্রন্থ সমূহেও দেয়া হয়েছে। তবুও মানুষ ভুলে যায় এবং বারে বারে তা নূতন করে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।

 

আয়াতঃ 087.017

অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।
Although the Hereafter is better and more lasting.

وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَى
Waal-akhiratu khayrun waabqa

YUSUFALI: But the Hereafter is better and more enduring.
PICKTHAL: Although the Hereafter is better and more lasting.
SHAKIR: While the hereafter is better and more lasting.
KHALIFA: Even though the Hereafter is far better and everlasting.

১৬। না, [ স্মরণ কর ] তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দাও ;

১৭। অথচ পরকাল উৎকৃষ্টতর এবং স্থায়ী।

১৮। এবং পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে এ কথা আছে, ৬০৯৩

৬০৯৩। পূত পবিত্র জীবন যাপনের উপদেশ কোন নূতন তত্ব নয়। প্রতিটি কিতাবধারী জাতির জন্য এই উপদেশ বিদ্যমান। পার্থিব জীবনের দম্ভ ও অহংকারের অসারতা এবং এই জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্বের ঘোষণা পূর্বের ধর্মগ্রন্থ সমূহেও দেয়া হয়েছে। তবুও মানুষ ভুলে যায় এবং বারে বারে তা নূতন করে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।

 

আয়াতঃ 087.018

এটা লিখিত রয়েছে পূর্ববতী কিতাবসমূহে;
Verily! This is in the former Scriptures,

إِنَّ هَذَا لَفِي الصُّحُفِ الْأُولَى
Inna hatha lafee alssuhufi al-oola

YUSUFALI: And this is in the Books of the earliest (Revelation),-
PICKTHAL: Lo! This is in the former scrolls.
SHAKIR: Most surely this is in the earlier scriptures,
KHALIFA: This is recorded in the earlier teachings.

১৬। না, [ স্মরণ কর ] তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দাও ;

১৭। অথচ পরকাল উৎকৃষ্টতর এবং স্থায়ী।

১৮। এবং পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে এ কথা আছে, ৬০৯৩

৬০৯৩। পূত পবিত্র জীবন যাপনের উপদেশ কোন নূতন তত্ব নয়। প্রতিটি কিতাবধারী জাতির জন্য এই উপদেশ বিদ্যমান। পার্থিব জীবনের দম্ভ ও অহংকারের অসারতা এবং এই জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্বের ঘোষণা পূর্বের ধর্মগ্রন্থ সমূহেও দেয়া হয়েছে। তবুও মানুষ ভুলে যায় এবং বারে বারে তা নূতন করে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।

 

আয়াতঃ 087.019

ইব্রাহীম ও মূসার কিতাবসমূহে।
The Scriptures of Ibrâhim (Abraham) and Mûsa (Moses).

صُحُفِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى
Suhufi ibraheema wamoosa

YUSUFALI: The Books of Abraham and Moses.
PICKTHAL: The Books of Abraham and Moses.
SHAKIR: The scriptures of Ibrahim and Musa.
KHALIFA: The teachings of Abraham and Moses.

১৯। ইব্রাহীম ৬০৯৪ ও মুসার গ্রন্থে ৬০৯৫।

৬০৯৪। এই আয়াতে হযরত ইব্রাহীমের গ্রন্থের উল্লেখ আছে। তিনি কিতাব প্রাপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু পৃথিবীর বুকে তা হারিয়ে যায়। ওল্ড টেস্টামেন্টে বলা হয়েছে যে হযরত ইব্রাহীম রাসুল ছিলেন [ Gen xx 7 ]| Mr. G. H . Box কর্তৃক গ্রীক ভাষা থেকে অনূদিত গ্রন্থ কে Testament of Abraham [ Published by the Society for the promotion of Christian Knowledge , London 1927 ] ইব্রাহীমের গ্রন্থ বলে মনে করা হয়। গ্রীক ভাষার এই গ্রন্থটি হীব্রু ভাষা থেকে অনূদিত। গ্রীক ভাষার এই গ্রন্থটি সম্ভবতঃ ২য় খৃষ্টাব্দে লেখা হয় মিশরে। কিন্তু বর্তমানে গ্রীক ভাষাতে লেখা যে গ্রন্থটি পাওয়া যায় তা ৯ম বা ১০ম খৃষ্টাব্দে লেখা। খৃষ্টানদের মাঝে এই গ্রন্থটির জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। সম্ভবতঃ Jewish Midrash কেও ইব্রাহীমের গ্রন্থ বলে উল্লেখ করা হয়।

৬০৯৫। বর্তমানে প্রচলিত Pentatench কে বলা হয় হযরত মুসার গ্রন্থ। তবে তা হচ্ছে সংশোধিত গ্রন্থের পরিশিষ্ট।

বাইবেলকে সম্পূর্ণরূপে হযরত ঈসার প্রণীত কিতাব বলা যায় না ; কারণ এই কিতাব তাঁর মৃত্যুর বহু পরে লেখা হয়।

Exit mobile version