Site icon BnBoi.Com

সূরা ইনফিতর বাংলা

সূরা ইনফিতর

সূরা ইনফিতর

 

আয়াতঃ 082.001

যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,
When the heaven is cleft asunder.

إِذَا السَّمَاء انفَطَرَتْ
Itha alssamao infatarat

YUSUFALI: When the Sky is cleft asunder;
PICKTHAL: When the heaven is cleft asunder,
SHAKIR: When the heaven becomes cleft asunder,
KHALIFA: When the heaven is shattered.

===============
সূরা ইন্‌ফিতর বা বিদীর্ণ হওয়া – ৮২
১৯ আয়াত,১ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এই সূরার বিষয়বস্তু পূর্বের সূরার সমগোত্রীয়।

সূরা [ ৮১ : ১৩ ] আয়াতের টিকা ৫৯৮২ তে যে তিনটি যুক্তির উত্থাপন করা হয়েছে এই সূরাতেও তদ্রূপ করা হয়েছে। এগুলি হচ্ছে : ১) শেষ বিচারের দিন, ২) মৃত্যুর পরে শেষ বিচারের পূর্বে ছোট বিচার বা কবর আযাব, ৩) সাধারণভাবে আমাদের আধ্যাত্মিক জগত থাকে ঘুমন্ত আর ঘুম হচ্ছে মৃত্যুরই যমজভাই। এই ঘুমন্ত আধ্যাত্মিক জগত আল্লাহ্‌র হেদায়েতের নূরে যে কোন মূহুর্তে জাগরিত হতে পারে। অসার পার্থিব জীবনের নিমগ্ন অবস্থা থেকে আধ্যাত্মিক জগতের অন্তর্দৃষ্টি লাভকেই জাগরণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে,যে জগত হচ্ছে আত্মার প্রকৃত জগত যা অনন্ত কাল ব্যপী স্থায়ী হবে।

সূরা ইন্‌ফিতর বা বিদীর্ণ হওয়া – ৮২
১৯ আয়াত,১ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

১। যখন ৫৯৯৭ আকাশ বিদীর্ণ হবে ; ৫৯৯৮

৫৯৯৭। দেখুন সূরা [ ৮১ : ১ – ১৪ ] আয়াত ও আনুসঙ্গিত টিকা সমূহ। যে তিনটি ব্যাখ্যাকে সমান্তরালভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সে জন্য দেখুন এই সূরার ভূমিকা। এখানে ৫নং আয়াতকে উপস্থাপন করার পূর্বশর্তের বর্ণনা করা হয়েছে পূর্ববর্তী আয়াত সমূহে। ৮১ নং সূরাতে ১২ টি শর্তের আরোপ করা হয়েছে এবং এসব শর্তের শেষ পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও শেষ পরিণতি উভয় সূরাতে একই, তবে তার বর্ণনার ভাষাতে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। দেখুন নীচের [ ৮২ : ৫] আয়াতের টিকা নং ৬০০২। শেষ বিচার দিনের পূর্বে আমাদের এই চেনা জানা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে, এবং প্রকৃত সত্যের রূপ উদ্ঘাটিত হবে।

৫৯৯৮। দেখুন সূরা [ ৭৩ : ১৮ ] ও টিকা ৫৭৬৯। উম্মুক্ত অসীম নীলাকাশ আমরা জন্মাবধি পর্যবেক্ষণ করে থাকি। রৌদ্রকরোজ্জ্‌ল আকাশের নীলিমা, ঋতু ভেদে আকাশের বিভিন্নরূপ আমাদের মুগ্ধ করে আবার ভীতও করে। তবে এ সবই অস্থায়ী একদিন এই আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে এবং এর চিরাচরিত রূপ যাবে বদলে। সেদিন নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে। সেই নূতন পৃথিবীতে মানুষের নিকট অদৃশ্যের সকল রহস্যকে উম্মুক্ত করে দেয়া হবে। পৃথিবীর জীবনে দেহের বন্ধন আত্মাকে অদৃশ্য জগত বা আধ্যাত্মিক জগতের রূপ উপলব্ধিতে বাঁধার সৃষ্টি করে। নূতন পৃথিবীতে দেহের এই বন্ধন মুক্ত হয়ে, প্রতিটি আত্মা বুঝতে সক্ষম হবে প্রকৃত সত্যকে।

 

আয়াতঃ 082.002

যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে,
And when the stars have fallen and scattered;

وَإِذَا الْكَوَاكِبُ انتَثَرَتْ
Wa-itha alkawakibu intatharat

YUSUFALI: When the Stars are scattered;
PICKTHAL: When the planets are dispersed,
SHAKIR: And when the stars become dispersed,
KHALIFA: The planets are scattered.

২। যখন তারকারাজি বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে পড়েব ; ৫৯৯৯

৫৯৯৯। দেখুন [ ৮১ : ২ ] আয়াত। [ ৮২ : ২ ] আয়াতের বর্ণনা অনুযায়ী সেই দিন মহাবিশ্বের সাম্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে। “তারকারাজি বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে পড়বে” এটি একটি রূপক বর্ণনা যার মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে যে বর্তমানের যে শৃঙ্খলা আমরা নভোমন্ডল ও সৌরমন্ডলে পর্যবেক্ষণ করে থাকি,তার চিহ্ন মাত্র থাকবে না। ঠিক সেরূপ ঘটনাই ঘটবে নূতন পৃথিবী সৃষ্টির প্রাক্কালে। বর্তমান পৃথিবীর কোন নিয়মই সেখানে প্রযোজ্য হবে না।

 

আয়াতঃ 082.003

যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,
And when the seas are burst forth (got dried up);

وَإِذَا الْبِحَارُ فُجِّرَتْ
Wa-itha albiharu fujjirat

YUSUFALI: When the Oceans are suffered to burst forth;
PICKTHAL: When the seas are poured forth,
SHAKIR: And when the seas are made to flow forth,
KHALIFA: The oceans are exploded.

৩। যখন সমুদ্রকে বিষ্ফোরিত করা হবে ; ৬০০০

৬০০০। দেখুন [ ৮১ : ৬ ] আয়াত যেখানে বর্ণনা করা হয়েছে, ” সমুদ্র সকল ফুটতে থাকবে ও উথলিয়ে উঠবে।” এই আয়াতে বলা হয়েছে, ” সমুদ্র যখন বিষ্ফোরিত হবে।” ভাষার পার্থক্য সত্বেও দুটি আয়াতেই যে ভাবের প্রকাশ করা হয়েছে তা হচ্চে বর্তমান পৃথিবীর সকল নিয়মের যে ধারা সেদিন তা লন্ডভন্ড হয়ে পড়বে। এই ধারা দুভাবে হতে পারে : ১) পৃথিবীতে মিষ্টি পানি ও লবণাক্ত পানির আঁধারকে সর্বদা আলাদা রাখা হয় স্রষ্টার অপূর্ব কৌশলের মাধ্যমে। অন্যথায় পৃথিবীর সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় বাঁধার সৃষ্টি হতো। দেখুন সূরা [ ৫৫ : ২০ ] আয়াত ও টিকা ৫১৮৫ যেখানে পানির দুটি ধারার উল্লেখ আছে। ২) সমুদ্র উদ্বেলিত হয়ে সকল পৃথিবীকে গ্রাস করবে। রূপক অর্থে পার্থিব জ্ঞানের সকল ধারা – ক্ষুদ্র বা বৃহৎ সকলই সেদিন মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে। তারা হয়ে পড়বে অস্তিত্ববিহীন। একমাত্র ঐশ্বরিক জ্ঞানই সেদিন শুধুমাত্র ভাস্বর হয়ে রবে।

 

আয়াতঃ 082.004

এবং যখন কবরসমূহ উম্মোচিত হবে,
And when the graves are turned upside down (and they bring out their contents)

وَإِذَا الْقُبُورُ بُعْثِرَتْ’
Wa-itha alqubooru buAAthirat

YUSUFALI: And when the Graves are turned upside down;-
PICKTHAL: And the sepulchres are overturned,
SHAKIR: And when the graves are laid open,
KHALIFA: The graves are opened.

৪। যখন কবরসমূহকে উল্টিয়ে দেয়া হবে ৬০০১

৬০০১। সূরা [ ৮১ : ১ – ১৪ ] আয়াতগুলিতে কবর উম্মোচনের উল্লেখ করা হয় নাই। এই সূরাতে কবর উম্মোচনের উল্লেখ করা হয়েছে এই কারণে যে তা দ্বারা এই সত্যকেই প্রকাশ করা হয়েছে যে, সেদিন পৃথিবীর সকল কিছুই লন্ডভন্ড হয়ে পড়বে এমনকি যে মৃত্যুকে আমরা পৃথিবীর মানুষ মনে করি অপরিবর্তনীয়, সেই মৃত্যুর কঠিন নিয়মও পরিবর্তিত হয়ে পড়বে। যদিও আমাদের ধারণা মৃত্যুই হচ্ছে জীবনের শেষ এবং পৃথিবীর দুঃখ-যন্ত্রণার সমাপ্তির মাধ্যমে পরম শান্তি লাভ। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে মৃত্যুর মাধ্যমে আত্মা পরম শান্তি লাভ করতে পারবে না। প্রকৃত সত্য হচ্ছে মৃত্যু হচ্ছে নূতন পৃথিবীর নূতন জীবনের সিংহ দুয়ার। মৃত্যুর সিংহ দূয়ারকে অতিক্রম করেই পরলোকের জীবনে প্রবেশ করতে হবে।

 

আয়াতঃ 082.005

তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে।
(Then) a person will know what he has sent forward and (what he has) left behind (of good or bad deeds).

عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ وَأَخَّرَتْ
AAalimat nafsun ma qaddamat waakhkharat

YUSUFALI: (Then) shall each soul know what it hath sent forward and (what it hath) kept back.
PICKTHAL: A soul will know what it hath sent before (it) and what left behind.
SHAKIR: Every soul shall know what it has sent before and held back.
KHALIFA: Every soul will find out what caused it to advance, and what caused it to regress.

৫। [তখন ] প্রতিটি আত্মা জানতে পারবে [ মৃত্যুর ] পূর্বে সে কি প্রেরণ করেছে এবং [ মৃত্যুর পরে ] পিছনে কি রেখে এসেছে। ৬০০২

৬০০২। ” পূর্বে সে কি প্রেরণ করেছে এবং পিছনে কি রেখে এসেছে ” – এর অর্থ হতে পারে, যে কাজ মানুষ সম্পাদন করেছে এবং যে কাজ সে করে নাই। অর্থাৎ আধ্যাত্মিক জগতের মঙ্গলের জন্য যে সৎ কাজ সে সম্পাদন করে সে কাজই হচ্ছে ” অগ্রে পাঠানো” কাজ। এবং পার্থিব যে সব বস্তু বা কর্ম তার জন্য ছিলো গর্ব অহংকার ও দম্ভের বস্তু, সে সকল কাজ তাকে পৃথিবীতেই রেখে যেতে হবে অথবা এভাবেও বলা যায় যে, পৃথিবীর জীবনে যা কাঙ্খিত ও গুরুত্বপূর্ণ তা পরলোকের জীবনে কোন গুরুত্বই বহন করবে না বরং পৃথিবীর গুরুত্বহীন কর্ম সমূহ সেদিন বিশেষ সম্মানের সাথে বিবেচিত হবে। সেদিন সম্পূর্ণ ধারণা যাবে পাল্টে, ” প্রথম হবে সর্বশেষ এবং সর্বশেষ হবে প্রথম।”

 

আয়াতঃ 082.006

হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?
O man! What has made you careless concerning your Lord, the Most Generous?

يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ
Ya ayyuha al-insanu ma gharraka birabbika alkareemi

YUSUFALI: O man! What has seduced thee from thy Lord Most Beneficent?-
PICKTHAL: O man! What hath made thee careless concerning thy Lord, the Bountiful,
SHAKIR: O man ! what has beguiled you from your Lord, the Gracious one,
KHALIFA: O you human being, what diverted you from your Lord Most Honorable?

৬। হে মানুষ ! কি তোমাকে তোমার মহান প্রতিপালক সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করেছিলো ? –

৭। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন সুঠাম সুন্দর করে ৬০০৩ এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণতা দান করেছেন ৬০০৪।

৬০০৩। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ১৫ : ২৯]। আল্লাহ্‌ মানুষকে শুধু সৃষ্টিই করেন নাই, তিনি তাঁকে সৃষ্টি করেছেন অনুপম সৌন্দর্য মন্ডিত করে। শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যই নয়, সেই সাথে তিনি মানুষকে দান করেছেন অপার সম্ভাবনাময় মানসিক দক্ষতা, যার সাহয্যে সে তাঁর মহত্তর লক্ষ্যে উত্তীর্ণ হতে পারে, যে উদ্দেশ্যে স্রষ্টা তাঁকে সৃষ্টি করেছেন।

৬০০৪। দেখুন [ ৬ : ১ ] আয়াতের টিকা ৮৩৪। আল্লাহ্‌ মানুষকে সীমিত স্বাধীন ইচছাশক্তি দান করেছেন। আরও দান করেছেন বুদ্ধি,বিবেক, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা। একমাত্র মানুষই পারে ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে, সত্য ও মিথ্যার মধ্যে এবং ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে। মানুষের এই বিশেষ ক্ষমতার জন্যই মানুষ সুসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাণী। যদি আমরা ভুল করি তবে তা হবে আমাদেরই কৃতকর্ম বা আমাদেরই দোষ।

 

আয়াতঃ 082.007

যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন।
Who created you, fashioned you perfectly, and gave you due proportion;

الَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّاكَ فَعَدَلَكَ
Allathee khalaqaka fasawwaka faAAadalaka

YUSUFALI: Him Who created thee. Fashioned thee in due proportion, and gave thee a just bias;
PICKTHAL: Who created thee, then fashioned, then proportioned thee?
SHAKIR: Who created you, then made you complete, then made you symmetrical?
KHALIFA: The One who created you, designed you, and perfected you.

৬। হে মানুষ ! কি তোমাকে তোমার মহান প্রতিপালক সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করেছিলো ? –

৭। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন সুঠাম সুন্দর করে ৬০০৩ এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণতা দান করেছেন ৬০০৪।

৬০০৩। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ১৫ : ২৯]। আল্লাহ্‌ মানুষকে শুধু সৃষ্টিই করেন নাই, তিনি তাঁকে সৃষ্টি করেছেন অনুপম সৌন্দর্য মন্ডিত করে। শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যই নয়, সেই সাথে তিনি মানুষকে দান করেছেন অপার সম্ভাবনাময় মানসিক দক্ষতা, যার সাহয্যে সে তাঁর মহত্তর লক্ষ্যে উত্তীর্ণ হতে পারে, যে উদ্দেশ্যে স্রষ্টা তাঁকে সৃষ্টি করেছেন।

৬০০৪। দেখুন [ ৬ : ১ ] আয়াতের টিকা ৮৩৪। আল্লাহ্‌ মানুষকে সীমিত স্বাধীন ইচছাশক্তি দান করেছেন। আরও দান করেছেন বুদ্ধি,বিবেক, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা। একমাত্র মানুষই পারে ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে, সত্য ও মিথ্যার মধ্যে এবং ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে। মানুষের এই বিশেষ ক্ষমতার জন্যই মানুষ সুসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাণী। যদি আমরা ভুল করি তবে তা হবে আমাদেরই কৃতকর্ম বা আমাদেরই দোষ।

 

আয়াতঃ 082.008

যিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন।
In whatever form He willed, He put you together.

فِي أَيِّ صُورَةٍ مَّا شَاء رَكَّبَكَ
Fee ayyi sooratin ma shaa rakkabaka

YUSUFALI: In whatever Form He wills, does He put thee together.
PICKTHAL: Into whatsoever form He will, He casteth thee.
SHAKIR: Into whatever form He pleased He constituted you.
KHALIFA: In whatever design He chose, He constructed it.

৮। যে ভাবে তিনি চেয়েছেন ৬০০৫, সে ভাবেই তোমাকে গঠন করেছেন।

৬০০৫। ‘Surat’ অর্থ আকৃতি। মওলানা ইউসুফ আলীর ব্যাখ্যা অনুযায়ী “আকৃতি” শব্দটি সংঙ্কীণার্থে ব্যবহারের সুযোগ নাই। একজন ব্যক্তি পরিচিতি লাভ করে তাঁর বাহ্যিক গঠন, বুদ্ধি, চরিত্র, এবং ব্যক্তিত্বের পরিবেশ ও সামাজিক অনুশাসনের মাঝে। এসবের মাঝে ব্যক্তির বিশেষ প্রতিভা, মানসিক দক্ষতা সমূহ বিকাশ লাভ করে থাকে। এ কথা মনে রাখতে হবে যে ব্যক্তিত্ব গঠনের বিশেষ নেয়ামতসমূহ সবই আল্লাহ্‌র বিশেষ দান যা আল্লাহ্‌র জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও সদয় তত্বাবধানের স্বাক্ষর।

 

আয়াতঃ 082.009

কখনও বিভ্রান্ত হয়ো না; বরং তোমরা দান-প্রতিদানকে মিথ্যা মনে কর।
Nay! But you deny the Recompense (reward for good deeds and punishment for evil deeds).

كَلَّا بَلْ تُكَذِّبُونَ بِالدِّينِ
Kalla bal tukaththiboona bialddeeni

YUSUFALI: Day! nit ye do reject Right and Judgment!
PICKTHAL: Nay, but ye deny the Judgment.
SHAKIR: Nay! but you give the lie to the judgment day,
KHALIFA: Indeed, you disbelieve in the religion.

৯। না ! তোমরা কিন্তু সত্য ও বিচারদিবসকে অস্বীকার করে থাক। ৬০০৬

৬০০৬। মানুষ যদি প্রকৃত পক্ষে অনুধাবন করে যে, আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও কল্যাণ এবং সদয় তত্বাবধান তাঁর সৃষ্টিকে আপ্লুত করে রেখেছে, তবে তারা অবশ্যই কৃতজ্ঞ হতো। কিন্তু তারা প্রকৃত সত্যকে অস্বীকার করে এবং শেষ বিচার দিবসকে অস্বীকার করে থাকে। শেষ বিচারের দিনে পৃথিবীর সকল কাজের হিসাব নেয়া হবে এবং ভালো কাজকে পুরষ্কৃত ও মন্দ কাজকে শাস্তি দান করা হবে।

 

আয়াতঃ 082.010

অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে।
But verily, over you (are appointed angels in charge of mankind) to watch you ,

وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ
Wa-inna AAalaykum lahafitheena

YUSUFALI: But verily over you (are appointed angels) to protect you,-
PICKTHAL: Lo! there are above you guardians,
SHAKIR: And most surely there are keepers over you
KHALIFA: Oblivious to the fact that there are (invisible) keepers around you.

১০। অবশ্যই তোমাদের উপরে [ ফেরেশতা নিযুক্ত আছে ] ৬০০৭ তোমাদের রক্ষা করার জন্য, –

১১। দয়ালু এবং সম্মানিত লেখকবৃন্দ।

১২। তারা জানে [ ও বোঝে ] তোমরা যা কর।

৬০০৭। আল্লাহ্‌ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন অনুপম সৌন্দর্যের অধিকারী করে শারীরিক ও মানসিক ভাবে। শারীরিক ভাবে তাকে করেছেন সুঠাম, মানসিক ভাবে দান করেছেন বিবেক, বুদ্ধি, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা, যা তার চরিত্রকে করেছে বিশেষ সৌন্দর্যমন্ডিত, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। এভাবেই তাঁকে স্রষ্টার সান্নিধ্যে উপনীত হওয়ার যোগ্যতা দান করা হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, তাঁকে রক্ষা করার জন্য, সঠিক পথে চলার জন্য, সাহায্য সহযোগীতা স্বরূপ ফেরেশতাদের নিয়োজিত করা হয়েছে। এ সব ফেরেশতারা সর্বদা মানুষের সকল কর্মের সংরক্ষণ করে চলেছেন, যেনো শেষ বিচারের দিনে তাঁর কোনও কর্মফলই হারিয়ে না যায়, যেনো তাঁর প্রতি সঠিক ন্যায় বিচার করা হয়। এই অভিভাবক ফেরেশতাদের সম্বন্ধে দেখুন সূরা [ ৫০ : ১৭ – ১৮] আয়াত ও টিকা ৪৯৫৪।

 

আয়াতঃ 082.011

সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ।
Kirâman (honourable) Kâtibîn writing down (your deeds) ,

كِرَامًا كَاتِبِينَ
Kiraman katibeena
YUSUFALI: Kind and honourable,- Writing down (your deeds):
PICKTHAL: Generous and recording,
SHAKIR: Honorable recorders,
KHALIFA: They are honest recorders.

১০। অবশ্যই তোমাদের উপরে [ ফেরেশতা নিযুক্ত আছে ] ৬০০৭ তোমাদের রক্ষা করার জন্য, –

১১। দয়ালু এবং সম্মানিত লেখকবৃন্দ।

১২। তারা জানে [ ও বোঝে ] তোমরা যা কর।

৬০০৭। আল্লাহ্‌ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন অনুপম সৌন্দর্যের অধিকারী করে শারীরিক ও মানসিক ভাবে। শারীরিক ভাবে তাকে করেছেন সুঠাম, মানসিক ভাবে দান করেছেন বিবেক, বুদ্ধি, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা, যা তার চরিত্রকে করেছে বিশেষ সৌন্দর্যমন্ডিত, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। এভাবেই তাঁকে স্রষ্টার সান্নিধ্যে উপনীত হওয়ার যোগ্যতা দান করা হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, তাঁকে রক্ষা করার জন্য, সঠিক পথে চলার জন্য, সাহায্য সহযোগীতা স্বরূপ ফেরেশতাদের নিয়োজিত করা হয়েছে। এ সব ফেরেশতারা সর্বদা মানুষের সকল কর্মের সংরক্ষণ করে চলেছেন, যেনো শেষ বিচারের দিনে তাঁর কোনও কর্মফলই হারিয়ে না যায়, যেনো তাঁর প্রতি সঠিক ন্যায় বিচার করা হয়। এই অভিভাবক ফেরেশতাদের সম্বন্ধে দেখুন সূরা [ ৫০ : ১৭ – ১৮] আয়াত ও টিকা ৪৯৫৪।

 

আয়াতঃ 082.012

তারা জানে যা তোমরা কর।
They know all that you do.

يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ
YaAAlamoona ma tafAAaloona

YUSUFALI: They know (and understand) all that ye do.
PICKTHAL: Who know (all) that ye do.
SHAKIR: They know what you do.
KHALIFA: They record everything you do.

১০। অবশ্যই তোমাদের উপরে [ ফেরেশতা নিযুক্ত আছে ] ৬০০৭ তোমাদের রক্ষা করার জন্য, –

১১। দয়ালু এবং সম্মানিত লেখকবৃন্দ।

১২। তারা জানে [ ও বোঝে ] তোমরা যা কর।

৬০০৭। আল্লাহ্‌ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন অনুপম সৌন্দর্যের অধিকারী করে শারীরিক ও মানসিক ভাবে। শারীরিক ভাবে তাকে করেছেন সুঠাম, মানসিক ভাবে দান করেছেন বিবেক, বুদ্ধি, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা, যা তার চরিত্রকে করেছে বিশেষ সৌন্দর্যমন্ডিত, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। এভাবেই তাঁকে স্রষ্টার সান্নিধ্যে উপনীত হওয়ার যোগ্যতা দান করা হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, তাঁকে রক্ষা করার জন্য, সঠিক পথে চলার জন্য, সাহায্য সহযোগীতা স্বরূপ ফেরেশতাদের নিয়োজিত করা হয়েছে। এ সব ফেরেশতারা সর্বদা মানুষের সকল কর্মের সংরক্ষণ করে চলেছেন, যেনো শেষ বিচারের দিনে তাঁর কোনও কর্মফলই হারিয়ে না যায়, যেনো তাঁর প্রতি সঠিক ন্যায় বিচার করা হয়। এই অভিভাবক ফেরেশতাদের সম্বন্ধে দেখুন সূরা [ ৫০ : ১৭ – ১৮] আয়াত ও টিকা ৪৯৫৪।

 

আয়াতঃ 082.013

সৎকর্মশীলগণ থাকবে জান্নাতে।
Verily, the Abrâr (pious and righteous) will be in delight (Paradise);

إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِي نَعِيمٍ
Inna al-abrara lafee naAAeemin

YUSUFALI: As for the Righteous, they will be in bliss;
PICKTHAL: Lo! the righteous verily will be in delight.
SHAKIR: Most surely the righteous are in bliss,
KHALIFA: Surely, the pious have deserved bliss.

১৩। পূণ্যাত্মারা থাকবে পরম শান্তিতে।

১৪। পাপীরা থাকবে জাহান্নামে,

১৫। যাতে তারা প্রবেশ করবে শেষ বিচারের দিনে ৬০০৮

১৬। এবং তারা জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে পারবে না।

৬০০৮। মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের ধারণা মতে ১৫ নং আয়াতটি ১৪নং আয়াতের ধারাবাহিকতা। ‘যাতে’ শব্দটি দ্বারা জাহান্নামের আগুন বা শাস্তিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কর্মফল দিবসের পূর্ব পর্যন্ত পাপীদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে না। তাদের অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের সুযোগ দান করা হবে পৃথিবীর এই ‘শিক্ষানবীশ কাল ‘ পর্যন্ত। কিন্তু যে মূহুর্তে এই ‘ শিক্ষানবীশকাল’ বা পৃথিবীর জীবন অতিক্রান্ত হয়ে যাবে, সেই মূহুর্ত থেকে পাপীরা তাদের অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের সুযোগ হারাবে। কারণ মৃত্যুর পরে আর পার্থিব জীবনে ফিরে আসা যাবে না তা হবে অপরিবর্তনীয়।১৩ নং আয়াত থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পূণ্যাত্মা ব্যক্তিরা জীবনের যে কোন পর্যায়ে ব্যক্তিগত ভাবে অপার শান্তির সন্ধান লাভ করেন। হতে পারে তা এই পৃথিবীতেই, বা মৃত্যু পরবর্তী জীবনে, যদিও তা শেষ বিচারের পূর্বের সময়। শেষ বিচার হচ্ছে এই অপসৃয়মান পৃথিবীর সমাপ্তি। এর পরে যে নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে তা হবে অনন্ত জীবনের জন্য অনন্ত পৃথিবী।

 

আয়াতঃ 082.014

এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে;
And verily, the Fujjâr (the wicked, disbelievers, sinners and evil-doers) will be in the blazing Fire (Hell),

وَإِنَّ الْفُجَّارَ لَفِي جَحِيمٍ
Wa-inna alfujjara lafee jaheemin

YUSUFALI: And the Wicked – they will be in the Fire,
PICKTHAL: And lo! the wicked verily will be in hell;
SHAKIR: And most surely the wicked are in burning fire,
KHALIFA: While the wicked have deserved Hell.

১৩। পূণ্যাত্মারা থাকবে পরম শান্তিতে।

১৪। পাপীরা থাকবে জাহান্নামে,

১৫। যাতে তারা প্রবেশ করবে শেষ বিচারের দিনে ৬০০৮

১৬। এবং তারা জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে পারবে না।

৬০০৮। মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের ধারণা মতে ১৫ নং আয়াতটি ১৪নং আয়াতের ধারাবাহিকতা। ‘যাতে’ শব্দটি দ্বারা জাহান্নামের আগুন বা শাস্তিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কর্মফল দিবসের পূর্ব পর্যন্ত পাপীদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে না। তাদের অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের সুযোগ দান করা হবে পৃথিবীর এই ‘শিক্ষানবীশ কাল ‘ পর্যন্ত। কিন্তু যে মূহুর্তে এই ‘ শিক্ষানবীশকাল’ বা পৃথিবীর জীবন অতিক্রান্ত হয়ে যাবে, সেই মূহুর্ত থেকে পাপীরা তাদের অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের সুযোগ হারাবে। কারণ মৃত্যুর পরে আর পার্থিব জীবনে ফিরে আসা যাবে না তা হবে অপরিবর্তনীয়।১৩ নং আয়াত থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পূণ্যাত্মা ব্যক্তিরা জীবনের যে কোন পর্যায়ে ব্যক্তিগত ভাবে অপার শান্তির সন্ধান লাভ করেন। হতে পারে তা এই পৃথিবীতেই, বা মৃত্যু পরবর্তী জীবনে, যদিও তা শেষ বিচারের পূর্বের সময়। শেষ বিচার হচ্ছে এই অপসৃয়মান পৃথিবীর সমাপ্তি। এর পরে যে নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে তা হবে অনন্ত জীবনের জন্য অনন্ত পৃথিবী।

 

আয়াতঃ 082.015

তারা বিচার দিবসে তথায় প্রবেশ করবে।
In which they will enter, and taste its burning flame on the Day of Recompense,

يَصْلَوْنَهَا يَوْمَ الدِّينِ
Yaslawnaha yawma alddeeni

YUSUFALI: Which they will enter on the Day of Judgment,
PICKTHAL: They will burn therein on the Day of Judgment,
SHAKIR: They shall enter it on the day of judgment.
KHALIFA: Will incur it on the Day of Judgment.

১৩। পূণ্যাত্মারা থাকবে পরম শান্তিতে।

১৪। পাপীরা থাকবে জাহান্নামে,

১৫। যাতে তারা প্রবেশ করবে শেষ বিচারের দিনে ৬০০৮

১৬। এবং তারা জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে পারবে না।

৬০০৮। মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের ধারণা মতে ১৫ নং আয়াতটি ১৪নং আয়াতের ধারাবাহিকতা। ‘যাতে’ শব্দটি দ্বারা জাহান্নামের আগুন বা শাস্তিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কর্মফল দিবসের পূর্ব পর্যন্ত পাপীদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে না। তাদের অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের সুযোগ দান করা হবে পৃথিবীর এই ‘শিক্ষানবীশ কাল ‘ পর্যন্ত। কিন্তু যে মূহুর্তে এই ‘ শিক্ষানবীশকাল’ বা পৃথিবীর জীবন অতিক্রান্ত হয়ে যাবে, সেই মূহুর্ত থেকে পাপীরা তাদের অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের সুযোগ হারাবে। কারণ মৃত্যুর পরে আর পার্থিব জীবনে ফিরে আসা যাবে না তা হবে অপরিবর্তনীয়।১৩ নং আয়াত থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পূণ্যাত্মা ব্যক্তিরা জীবনের যে কোন পর্যায়ে ব্যক্তিগত ভাবে অপার শান্তির সন্ধান লাভ করেন। হতে পারে তা এই পৃথিবীতেই, বা মৃত্যু পরবর্তী জীবনে, যদিও তা শেষ বিচারের পূর্বের সময়। শেষ বিচার হচ্ছে এই অপসৃয়মান পৃথিবীর সমাপ্তি। এর পরে যে নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে তা হবে অনন্ত জীবনের জন্য অনন্ত পৃথিবী।

 

আয়াতঃ 082.016

তারা সেখান থেকে পৃথক হবে না।
And they (Al-Fujjâr) will not be absent therefrom (i.e. will not go out from the Hell).

وَمَا هُمْ عَنْهَا بِغَائِبِينَ
Wama hum AAanha bigha-ibeena

YUSUFALI: And they will not be able to keep away therefrom.
PICKTHAL: And will not be absent thence.
SHAKIR: And they shall by no means be absent from it.
KHALIFA: They never leave it.

১৩। পূণ্যাত্মারা থাকবে পরম শান্তিতে।

১৪। পাপীরা থাকবে জাহান্নামে,

১৫। যাতে তারা প্রবেশ করবে শেষ বিচারের দিনে ৬০০৮

১৬। এবং তারা জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে পারবে না।

৬০০৮। মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের ধারণা মতে ১৫ নং আয়াতটি ১৪নং আয়াতের ধারাবাহিকতা। ‘যাতে’ শব্দটি দ্বারা জাহান্নামের আগুন বা শাস্তিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কর্মফল দিবসের পূর্ব পর্যন্ত পাপীদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে না। তাদের অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের সুযোগ দান করা হবে পৃথিবীর এই ‘শিক্ষানবীশ কাল ‘ পর্যন্ত। কিন্তু যে মূহুর্তে এই ‘ শিক্ষানবীশকাল’ বা পৃথিবীর জীবন অতিক্রান্ত হয়ে যাবে, সেই মূহুর্ত থেকে পাপীরা তাদের অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের সুযোগ হারাবে। কারণ মৃত্যুর পরে আর পার্থিব জীবনে ফিরে আসা যাবে না তা হবে অপরিবর্তনীয়।১৩ নং আয়াত থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পূণ্যাত্মা ব্যক্তিরা জীবনের যে কোন পর্যায়ে ব্যক্তিগত ভাবে অপার শান্তির সন্ধান লাভ করেন। হতে পারে তা এই পৃথিবীতেই, বা মৃত্যু পরবর্তী জীবনে, যদিও তা শেষ বিচারের পূর্বের সময়। শেষ বিচার হচ্ছে এই অপসৃয়মান পৃথিবীর সমাপ্তি। এর পরে যে নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে তা হবে অনন্ত জীবনের জন্য অনন্ত পৃথিবী।

 

আয়াতঃ 082.017

আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?
And what will make you know what the Day of Recompense is?

وَمَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ
Wama adraka ma yawmu alddeeni

YUSUFALI: And what will explain to thee what the Day of Judgment is?
PICKTHAL: Ah, what will convey unto thee what the Day of Judgment is!
SHAKIR: And what will make you realize what the day of judgement is?
KHALIFA: Awesome is the Day of Judgment.

১৭। তোমাদের কি ভাবে ব্যাখ্যা করা হবে যে, শেষ বিচারের দিন কি ?

১৮। পুণরায়,কি ভাবে তোমাদের ব্যাখ্যা করা হবে যে, শেষ বিচারের দিন কি ? ৬০০৯

৬০০৯। ‘ শেষ বিচার বা কর্মফল দিবস’ – বা পুরষ্কার ও শাস্তির দিবস। যেদিন পৃথিবীর প্রতিটি কর্মের কর্মফল প্রদান করা হবে। যেদিন হচ্ছে পুণরুত্থান ও বিচারের দিবস। যেদিন সর্বস্তরে প্রকৃত সত্য ও মূল্যবোধকে পুণঃপ্রতিষ্ঠিত করা হবে এবং সকল মিথ্যাকে অপসারিত করা হবে। পৃথিবীর জীবনে মানুষ এতটাই মত্ত থাকে যে কর্মফল দিবসের ধারণা তার জীবনে খুব সামান্যই রেখাপাত করে থাকে। পুনরুত্থান ও নূতন পৃথিবী সৃষ্টির ধারণা তার নিকট খুব সুস্পষ্ট হয় না। সে কারণে গুরুত্ব বুঝানোর জন্য [ ১৭ – ১৮] নং আয়াতে পুণরাবৃত্তি করা হয়েছে এবং ১৯ নং আয়াতে খুব সহজ ভাবে উত্তর দান করা হয়েছে। দেখুন পরবর্তী টিকা।

 

আয়াতঃ 082.018

অতঃপর আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?
Again, what will make you know what the Day of Recompense is?

ثُمَّ مَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ
Thumma ma adraka ma yawmu alddeeni

YUSUFALI: Again, what will explain to thee what the Day of Judgment is?
PICKTHAL: Again, what will convey unto thee what the Day of Judgment is!
SHAKIR: Again, what will make you realize what the day of judgment Is?
KHALIFA: What a day; the Day of Judgment!

১৭। তোমাদের কি ভাবে ব্যাখ্যা করা হবে যে, শেষ বিচারের দিন কি ?

১৮। পুণরায়,কি ভাবে তোমাদের ব্যাখ্যা করা হবে যে, শেষ বিচারের দিন কি ? ৬০০৯

৬০০৯। ‘ শেষ বিচার বা কর্মফল দিবস’ – বা পুরষ্কার ও শাস্তির দিবস। যেদিন পৃথিবীর প্রতিটি কর্মের কর্মফল প্রদান করা হবে। যেদিন হচ্ছে পুণরুত্থান ও বিচারের দিবস। যেদিন সর্বস্তরে প্রকৃত সত্য ও মূল্যবোধকে পুণঃপ্রতিষ্ঠিত করা হবে এবং সকল মিথ্যাকে অপসারিত করা হবে। পৃথিবীর জীবনে মানুষ এতটাই মত্ত থাকে যে কর্মফল দিবসের ধারণা তার জীবনে খুব সামান্যই রেখাপাত করে থাকে। পুনরুত্থান ও নূতন পৃথিবী সৃষ্টির ধারণা তার নিকট খুব সুস্পষ্ট হয় না। সে কারণে গুরুত্ব বুঝানোর জন্য [ ১৭ – ১৮] নং আয়াতে পুণরাবৃত্তি করা হয়েছে এবং ১৯ নং আয়াতে খুব সহজ ভাবে উত্তর দান করা হয়েছে। দেখুন পরবর্তী টিকা।

 

আয়াতঃ 082.019

যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।
(It will be) the Day when no person shall have power (to do) anything for another, and the Decision, that Day, will be (wholly) with Allâh.

يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَيْئًا وَالْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِلَّهِ
Yawma la tamliku nafsun linafsin shay-an waal-amru yawma-ithin lillahi

YUSUFALI: (It will be) the Day when no soul shall have power (to do) aught for another: For the command, that Day, will be (wholly) with Allah.
PICKTHAL: A day on which no soul hath power at all for any (other) soul. The (absolute) command on that day is Allah’s.
SHAKIR: The day on which no soul shall control anything for (another) soul; and the command on that day shall be entirely Allah’s.
KHALIFA: That is the day when no soul can help another soul, and all decisions, on that day, will belong to GOD.

১৯। [ এটা হবে ] সেদিন যেদিন কোন আত্মার অন্যের জন্য কিছু করার ক্ষমতা থাকবে না ৬০১০। সেদিন সমস্ত কর্তৃত্ব হবে[ সম্পূর্ণ ] আল্লাহ্‌র।

৬০১০। ‘ শেষ বিচার দিবস বা কর্মফল দিবসের ‘ সম্বন্ধে যে জিজ্ঞাসা পূর্বের আয়াত সমূহে করা হয়েছে। এই আয়াতে তারই উত্তর দান করা হয়েছে। শেষের সে দিন বড়ই ভয়ঙ্কর। ” সেদিন একের অপরের জন্য কিছু করার সামর্থ্য থাকবে না। ” এই সংক্ষিপ্ত বাক্যটি যে ভয়ঙ্কর পরিবেশের উপস্থাপন করে তার প্রকাশ করা কোন লেখকের পক্ষেই সম্ভব নয়। এই সে দিন, যেদিন ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হবে। পৃথিবীর জীবনে আমরা একে অপরের উপরে নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা আছে ব্যক্তিগত, রাষ্ট্রীয়, জাতিগত ভাবে। পৃথিবীতে কেউই সম্পূর্ণ একা জীবনের পথ অতিক্রম করতে পারে না। আমাদের নির্ভর করতে হয় আত্মীয়, স্বজনের উপরে পাড়া প্রতিবেশীর উপরে, সহকর্মীদের উপরে, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের উপরে ইত্যাদি। তবে শেষ নির্ভরশীলতা হচ্ছে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র উপরে। পৃথিবীর জীবনে পিতা তাঁর সন্তানকে পৃথিবীর কর্মজীবনে অগ্রসরমান করে দিতে সাহায্য করেন, স্বামী ও স্ত্রী পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য সহযোগীতার মাধ্যমে নির্দিষ্ট

লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগীতা করেন, প্রশাসন জনসাধারণকে একই আইনের আওতাভূক্ত করে ইত্যাদি। পার্থিব জীবনের চিত্রে আমরা আরও দেখি যে, পাপী ও অন্যায়কারীরা পার্থিব জীবনে সমৃদ্ধি লাভ করে থাকে – কারণ তারা তাদের সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিকে অপব্যবহারের দ্বারা তা লাভ করে থাকে। “কর্মফল দিবসে” মানুষের সব স্বাধীনতাকে হরণ করা হবে। পৃথিবীর জীবনে যা সে লাভ করেছিলো, ” শিক্ষানবীশকালের ” যথার্থতা প্রমাণের জন্য, তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। কর্মফল দিবসের চিত্র হবে ভিন্নরূপ। সেদিন ভালো ও পূণ্যাত্মাদের বিদ্রোহী, অন্যায়কারী ও পাপীদের থেকে আলাদা করা হবে। শেষোক্তদের নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হবে। পূর্বোক্তরা আল্লাহ্‌র বিশ্বজনীন ইচ্ছার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হবেন। সমস্ত আদেশ আল্লাহ্‌র একক কর্তৃত্ব।

Exit mobile version