Site icon BnBoi.Com

সূরা আবাসা বাংলা

সূরা আবাসা

সূরা আবাসা

 

আয়াতঃ 080.001

তিনি ভ্রূকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
(The Prophet (Peace be upon him)) frowned and turned away,

عَبَسَ وَتَوَلَّى
AAabasa watawalla

YUSUFALI: (The Prophet) frowned and turned away,
PICKTHAL: He frowned and turned away
SHAKIR: He frowned and turned (his) back,
KHALIFA: He (Muhammad) frowned and turned away.

============
সূরা আবাসা বা ভ্রুকুটি করা -৮০
৪২ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

ভূমিকা ও সারসংক্ষেপ : এটি একটি প্রাথমিক মক্কী সূরা। আল্লাহ্‌র প্রত্যাদেশের প্রতি রাসুলের (সা) আন্তরিক আনুগত্যের সাথে এ সূরাটি সম্পৃক্ত। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব ছিলেন হযরত মুহম্মদ মুস্তফা (সা)। তবুও সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক অনুভূতির বাইরে ছিলেন না। আল্লাহ্‌র প্রতি আনুগত্যের গভীর আবেগ ও উদ্দীপনা থেকে ক্ষণ কালের জন্য তিনি সাময়িক ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যা তাঁর ন্যায় সর্বোচ্চ মুল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের জন্য স্বাভাবিক ছিলো না। এই ভুলকে তিনি সানন্দে, সাগ্রহে সংশোধনে আগ্রহী ছিলেন।

একদিন রাসুল (সা) গভীর আন্তরিকতা নিয়ে কতিপয় ধনী মোশরেক কোরাইশ সরদারদের সাথে কোরাণের বাণী আলোচনা করছিলেন। তিনি যখন কোরাণের প্রত্যাদেশ সমূহ তাদের নিকট ব্যাখ্যা করছিলেন সে সময়ে আব্দুল্লা-ইবন- উমাই -ই মুকতাম নামক এক গরীব অন্ধ ব্যক্তি তাঁর নিকট ধর্মীয় উপদেশ যাঞা করেন। সম্ভ্রান্ত কোরাইশদের মজলিশের মাঝপথে এরূপ বাঁধা রাসুল (সা) পছন্দ করলেন না। সম্ভবত : রাসুলের (সা ) বিরক্ত মনোভাব অন্ধ বেচারীর অনুভূতিকে আহত করে। যে মহামানবের হৃদয় গরীব ও হতাভাগ্যদের জন্য সর্বদা সহানুভূতিতে আপ্লুত থাকতো, ক্ষণকালের এই বিভ্রান্তিতে আল্লাহ্‌ তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ নাজেল করেন। প্রত্যাদেশের আলোয় তার বিভ্রান্তি দূর হয়ে যায়, তিনি সাথে সাথে ইতঃস্তত না করে তা সর্ব সমক্ষে প্রকাশ করে দেন। আর এই প্রত্যাদেশ পবিত্র ধর্মীয় পুস্তকের অংশ হয়ে যায়, যার উল্লেখ আছে আয়াত [ ১৩ – ১৬ ]। এর পর থেকে রাসুল (সা) সর্বদা উক্ত ব্যক্তিকে উচ্চ সম্মান ও মর্যদা প্রদর্শন করতেন।

চলমান পৃথিবীতে এরূপ ঘটনা অহরহই ঘটে থাকে। রাসুলের (সা ) জীবনের মাধ্যমে এরূপ ঘটনার শাশ্বত সত্য নীতি সমূহের প্রত্যাদেশ পৃথিবীর মানুষের জন্য প্রেরণ করা হয়। এই সূরা পুণরায় স্মরণ করিয়ে দেয় মানুষের প্রতি আল্লাহ্‌র করুণা, ইহকাল ও পরকালে ভালো ও মন্দ কাজের শেষ পরিণতি।

সূরা আবাসা বা ভ্রুকুটি করা -৮০
৪২ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

১। সে [ রসুল ] ভ্রুকুটি করলো এবং মুখ ফিরিয়ে নিল, ৫৯৫০

২। কারণ তাঁর নিকট একটি অন্ধ লোক এসেছিলো।

৫৯৫০। এখানে ‘সে’ দ্বারা রাসুলুল্লাহকে (সা) বুঝানো হয়েছে। রাসুলের (সা) ভ্রুকুঞ্চানো এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়ার প্রেক্ষাপট সূরাটির ভূমিকাতে বর্ণনা করা হয়েছে। এই সূরার আয়াতগুলির দ্বারা রাসুলের (সা) জীবনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্‌ বিশ্ব মানবকে এই উপদেশ দিয়েছেন যে নৈতিক উৎকর্ষতা বা আধ্যাত্মিক পথের সাফল্য জাগতিক বিষয় বৈভব বা মান -সম্মান ও প্রভাব প্রতিপত্তির উপরে নির্ভরশীল নয়। দরিদ্র বা অন্ধ বা পঙ্গু বা সমাজে প্রতিপত্তিহীন ব্যক্তিও আল্লাহ্‌র উপদেশ গ্রহণে অধিক মনোযোগী হতে পারে ; বুদ্ধিমান, প্রতিভাবান, মানসিক দক্ষতাতে সমৃদ্ধ, সমাজে উচ্চস্থানে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ অপেক্ষা। কারণ যারা আল্লাহ্‌র এ সব নেয়ামতে ধন্য হন বিশেষতঃ তাদের মাঝে অহংকার, গর্ব দেখা যায়। তাদের নিজস্ব ক্ষমতার উপরে আত্মবিশ্বাস আল্লাহ্‌র উপরে নির্ভরশীলতা নষ্ট করে দেয়। ফলে আল্লাহ্‌র হেদায়েতের আলো ও তাদের আত্মার মাঝে এক পর্দা বা অন্তরালের সৃষ্টি হয়, যে দুর্ভেদ্দ দেয়াল ভেদ করে তাদের হৃদয়ে আল্লাহ্‌র হেদায়েতের আলো পৌঁছায় না।

 

আয়াতঃ 080.002

কারণ, তাঁর কাছে এক অন্ধ আগমন করল।
Because there came to him the blind man (i.e. ’Abdullâh bin Umm-Maktûm, who came to the Prophet (Peace be upon him) while he was preaching to one or some of the Quraish chiefs).

أَن جَاءهُ الْأَعْمَى
An jaahu al-aAAma

YUSUFALI: Because there came to him the blind man (interrupting).
PICKTHAL: Because the blind man came unto him.
SHAKIR: Because there came to him the blind man.
KHALIFA: When the blind man came to him.

১। সে [ রসুল ] ভ্রুকুটি করলো এবং মুখ ফিরিয়ে নিল, ৫৯৫০

২। কারণ তাঁর নিকট একটি অন্ধ লোক এসেছিলো।

৫৯৫০। এখানে ‘সে’ দ্বারা রাসুলুল্লাহকে (সা) বুঝানো হয়েছে। রাসুলের (সা) ভ্রুকুঞ্চানো এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়ার প্রেক্ষাপট সূরাটির ভূমিকাতে বর্ণনা করা হয়েছে। এই সূরার আয়াতগুলির দ্বারা রাসুলের (সা) জীবনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্‌ বিশ্ব মানবকে এই উপদেশ দিয়েছেন যে নৈতিক উৎকর্ষতা বা আধ্যাত্মিক পথের সাফল্য জাগতিক বিষয় বৈভব বা মান -সম্মান ও প্রভাব প্রতিপত্তির উপরে নির্ভরশীল নয়। দরিদ্র বা অন্ধ বা পঙ্গু বা সমাজে প্রতিপত্তিহীন ব্যক্তিও আল্লাহ্‌র উপদেশ গ্রহণে অধিক মনোযোগী হতে পারে ; বুদ্ধিমান, প্রতিভাবান, মানসিক দক্ষতাতে সমৃদ্ধ, সমাজে উচ্চস্থানে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ অপেক্ষা। কারণ যারা আল্লাহ্‌র এ সব নেয়ামতে ধন্য হন বিশেষতঃ তাদের মাঝে অহংকার, গর্ব দেখা যায়। তাদের নিজস্ব ক্ষমতার উপরে আত্মবিশ্বাস আল্লাহ্‌র উপরে নির্ভরশীলতা নষ্ট করে দেয়। ফলে আল্লাহ্‌র হেদায়েতের আলো ও তাদের আত্মার মাঝে এক পর্দা বা অন্তরালের সৃষ্টি হয়, যে দুর্ভেদ্দ দেয়াল ভেদ করে তাদের হৃদয়ে আল্লাহ্‌র হেদায়েতের আলো পৌঁছায় না।

 

আয়াতঃ 080.003

আপনি কি জানেন, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত,
But what could tell you that per chance he might become pure (from sins)?

وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّهُ يَزَّكَّى
Wama yudreeka laAAallahu yazzakka

YUSUFALI: But what could tell thee but that perchance he might grow (in spiritual understanding)?-
PICKTHAL: What could inform thee but that he might grow (in grace)
SHAKIR: And what would make you know that he would purify himself,
KHALIFA: How do you know? He may purify himself.

৩। কিন্তু তুমি কি ভাবে জানবে, হয়তো বা সে [ আধ্যাত্মিক ভাবে ] পরিশুদ্ধ হতে পারতো ? –

৪। অথবা হয়তো সে সতর্কবাণী গ্রহণ করতো, ফলে উপদেশ তার উপকারে আসতো ? ৫৯৫১

৫৯৫১। বাইরে সামাজিক অবস্থান থেকে কোন ব্যক্তির আধ্যাত্মিক জগতের সমৃদ্ধি পরিমাপ করা সম্ভব নয়। এই আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেছেন যে গরীব অন্ধ ব্যক্তির হৃদয় হয়তো হেদায়েতের আলো ধারণ করার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। সুতারাং হেদায়েতের দ্বারা সে তার আধ্যাত্মিক জগতের সমৃদ্ধি সাধনে সক্ষম হবে যা উদ্ধত অহংকারী ধনী কোরাইশ নেতাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, আল্লাহ্‌র নিকট পার্থিব ধন-সম্পদ, মান-মর্যদা, প্রভাব-প্রতিপত্তি, কোনও কিছুরই মুল্য নাই। আল্লাহ্‌র নিকট মূল্যবান হচ্ছে প্রকৃত হৃদয়, যে হৃদয় আল্লাহ্‌র ভালোবাসা হারানোর ভয়ে ভীত, আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য লাভের কাঙ্গাল। সেই তো সম্পদশালী, হৃদয় যার সমৃদ্ধ। এ কথা এই গরীব অন্ধ লোকটির জন্য সত্য ছিলো। পরবর্তীতে এই অন্ধ লোকটি একজন জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন মুসলমানে রূপান্তরিত হন। মনে রাখতে হবে মানুষ বই পড়ে অর্থকরী জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে পারে। কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান ও প্রজ্ঞা লাভ করা যায় আল্লাহ্‌র নিকট থেকে। এই জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করার ক্ষমতা পৃথিবীতে আর কারও নাই। আল্লাহ্‌ ও আত্মার অনুভূতির মাঝের পর্দা যখন অর্ন্তহিত হয় তখনই হেদায়েতের আলো আত্মাকে করে আলোকিত, ফলে আত্মার মাঝে প্রজ্ঞার জন্ম নেয়। এই গরীব অন্ধ ব্যক্তি পরবর্তীতে মদিনার গভর্ণর নিযুক্ত হয়েছিলেন।

 

আয়াতঃ 080.004

অথবা উপদেশ গ্রহণ করতো এবং উপদেশ তার উপকার হত।
Or that he might receive admonition, and that the admonition might profit him?

أَوْ يَذَّكَّرُ فَتَنفَعَهُ الذِّكْرَى
Aw yaththakkaru fatanfaAAahu alththikra

YUSUFALI: Or that he might receive admonition, and the teaching might profit him?
PICKTHAL: Or take heed and so the reminder might avail him?
SHAKIR: Or become reminded so that the reminder should profit him?
KHALIFA: Or he may take heed, and benefit from the message.

৩। কিন্তু তুমি কি ভাবে জানবে, হয়তো বা সে [ আধ্যাত্মিক ভাবে ] পরিশুদ্ধ হতে পারতো ? –

৪। অথবা হয়তো সে সতর্কবাণী গ্রহণ করতো, ফলে উপদেশ তার উপকারে আসতো ? ৫৯৫১

৫৯৫১। বাইরে সামাজিক অবস্থান থেকে কোন ব্যক্তির আধ্যাত্মিক জগতের সমৃদ্ধি পরিমাপ করা সম্ভব নয়। এই আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেছেন যে গরীব অন্ধ ব্যক্তির হৃদয় হয়তো হেদায়েতের আলো ধারণ করার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। সুতারাং হেদায়েতের দ্বারা সে তার আধ্যাত্মিক জগতের সমৃদ্ধি সাধনে সক্ষম হবে যা উদ্ধত অহংকারী ধনী কোরাইশ নেতাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, আল্লাহ্‌র নিকট পার্থিব ধন-সম্পদ, মান-মর্যদা, প্রভাব-প্রতিপত্তি, কোনও কিছুরই মুল্য নাই। আল্লাহ্‌র নিকট মূল্যবান হচ্ছে প্রকৃত হৃদয়, যে হৃদয় আল্লাহ্‌র ভালোবাসা হারানোর ভয়ে ভীত, আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য লাভের কাঙ্গাল। সেই তো সম্পদশালী, হৃদয় যার সমৃদ্ধ। এ কথা এই গরীব অন্ধ লোকটির জন্য সত্য ছিলো। পরবর্তীতে এই অন্ধ লোকটি একজন জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন মুসলমানে রূপান্তরিত হন। মনে রাখতে হবে মানুষ বই পড়ে অর্থকরী জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে পারে। কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান ও প্রজ্ঞা লাভ করা যায় আল্লাহ্‌র নিকট থেকে। এই জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করার ক্ষমতা পৃথিবীতে আর কারও নাই। আল্লাহ্‌ ও আত্মার অনুভূতির মাঝের পর্দা যখন অর্ন্তহিত হয় তখনই হেদায়েতের আলো আত্মাকে করে আলোকিত, ফলে আত্মার মাঝে প্রজ্ঞার জন্ম নেয়। এই গরীব অন্ধ ব্যক্তি পরবর্তীতে মদিনার গভর্ণর নিযুক্ত হয়েছিলেন।

 

আয়াতঃ 080.005

পরন্তু যে বেপরোয়া,
As for him who thinks himself self-sufficient,

أَمَّا مَنِ اسْتَغْنَى
Amma mani istaghna

YUSUFALI: As to one who regards Himself as self-sufficient,
PICKTHAL: As for him who thinketh himself independent,
SHAKIR: As for him who considers himself free from need (of you),
KHALIFA: As for the rich man.

৫। পক্ষান্তরে যে নিজেকে মনে করে স্বাবলম্বী ৫৯৫২,

৬। তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিয়েছ,

৫৯৫২। “যে নিজকে মনে করে স্বাবলম্বী” এই বাক্যটি দ্বারা মক্কার প্রভাবশালী কোরাইশ নেতাদের বুঝানো হয়েছে। এই মোশরেক প্রভাবশালী কোরাইশ নেতাদের মুসলিম ধর্মে দিক্ষীত করার জন্য আল্লাহ্‌র নবী ব্যগ্র হয়েছিলেন। তিনি ধারণা করেছিলেন যে, এর দ্বারা ইসলামের প্রচার ও প্রসারে দ্রুত গতি আনায়ন করা সম্ভব হবে। কিন্তু পৃথিবীতে এটা সত্য যে, ইসলাম বা খৃষ্ট ধর্ম প্রথমে প্রসার লাভ করে দরিদ্র প্রভাব প্রতিপত্তিহীন, সরল -সোজা জনসাধারণের মাঝে। যারা শক্তিধর তারা কখনও কোনও নূতন ভাবধারাকে গ্রহণ করে না। তারা তখনই তা গ্রহণ করে যখন তা অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হয়। পৃথিবীর এই চিরন্তন সত্যকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

 

আয়াতঃ 080.006

আপনি তার চিন্তায় মশগুল।
To him you attend;

فَأَنتَ لَهُ تَصَدَّى
Faanta lahu tasadda

YUSUFALI: To him dost thou attend;
PICKTHAL: Unto him thou payest regard.
SHAKIR: To him do you address yourself.
KHALIFA: You gave him your attention.

৫। পক্ষান্তরে যে নিজেকে মনে করে স্বাবলম্বী ৫৯৫২,

৬। তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিয়েছ,

৫৯৫২। “যে নিজকে মনে করে স্বাবলম্বী” এই বাক্যটি দ্বারা মক্কার প্রভাবশালী কোরাইশ নেতাদের বুঝানো হয়েছে। এই মোশরেক প্রভাবশালী কোরাইশ নেতাদের মুসলিম ধর্মে দিক্ষীত করার জন্য আল্লাহ্‌র নবী ব্যগ্র হয়েছিলেন। তিনি ধারণা করেছিলেন যে, এর দ্বারা ইসলামের প্রচার ও প্রসারে দ্রুত গতি আনায়ন করা সম্ভব হবে। কিন্তু পৃথিবীতে এটা সত্য যে, ইসলাম বা খৃষ্ট ধর্ম প্রথমে প্রসার লাভ করে দরিদ্র প্রভাব প্রতিপত্তিহীন, সরল -সোজা জনসাধারণের মাঝে। যারা শক্তিধর তারা কখনও কোনও নূতন ভাবধারাকে গ্রহণ করে না। তারা তখনই তা গ্রহণ করে যখন তা অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হয়। পৃথিবীর এই চিরন্তন সত্যকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

 

আয়াতঃ 080.007

সে শুদ্ধ না হলে আপনার কোন দোষ নেই।
What does it matter to you if he will not become pure (from disbelief, you are only a Messenger, your duty is to convey the Message of Allâh).

وَمَا عَلَيْكَ أَلَّا يَزَّكَّى
Wama AAalayka alla yazzakka

YUSUFALI: Though it is no blame to thee if he grow not (in spiritual understanding).
PICKTHAL: Yet it is not thy concern if he grow not (in grace).
SHAKIR: And no blame is on you if he would not purify himself
KHALIFA: Even though you could not guarantee his salvation.

৭। যদিও সে নিজে [ আধ্যাত্মিক ভাবে ] পরিশুদ্ধ হতে না চায় [ তাতে ] তোমার কোন দোষ নাই ৫৯৫৩

৫৯৫৩। আল্লাহ্‌র বাণী সকলের জন্য। যদি কেউ অন্ধ অহংকারে গর্বভরে মুখ ফিরিয়ে রাখে তবে তা ধর্ম প্রচারকের দোষ নয়। প্রচারকের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে আল্লাহ্‌র বাণী সর্বসাধারণের জন্য প্রচার করা। তিনি ধনী,গরীব সকলকে সমভাবে গ্রহণ করবেন।

 

আয়াতঃ 080.008

যে আপনার কাছে দৌড়ে আসলো
But as to him who came to you running.

وَأَمَّا مَن جَاءكَ يَسْعَى
Waamma man jaaka yasAAa

YUSUFALI: But as to him who came to thee striving earnestly,
PICKTHAL: But as for him who cometh unto thee with earnest purpose
SHAKIR: And as to him who comes to you striving hard,
KHALIFA: The one who came to you eagerly.

৮। কিন্তু যে আকুল আগ্রহে তোমার নিকটে ছুটে এলো,

৯। [ হৃদয়ে ] ভয় এবং শংকা নিয়ে ৫৯৫৪,

১০। তুমি তার প্রতি অমনোযোগী হলে।

৫৯৫৪। এখানে, ” ভয় এবং শংকা ‘ শব্দটি দ্বারা গরীব লোকটির অন্তরের চিত্র আঁকা হয়েছে। তাঁর মনের অবস্থা ছিলো দ্বিবিধ। ১) তিনি ছিলেন বিনয়ী, নম্র, এবং আল্লাহ্‌র ভয়ে ভীত। কোন অহংকার বা উদ্ধতপনার স্থান তাঁর হৃদয়ে ছিলো না। ২) দরিদ্র ও অন্ধ হওয়ার কারণে তিনি থাকতেন ভীত, যে, এত মহান নবীর দরবারে তাঁর মত লোক কিভাবে প্রবেশ করবেন ? কিন্তু আল্লাহ্‌র অমিয় বাণী কোরাণ শেখার ঐকান্তিক ইচ্ছায় তিনি সকল শঙ্কা,দ্বিধা,ভয় ত্যাগ করে সাহসের সাথে রাসুলের (সা) দরবারে গমন করেন। যদিও মনে হয় তাঁর আগমন ঘটেছিলো অসময়ে, যে কারণে রাসুল (সা) বিরক্ত হয়েছিলেন, তবুও তা ছিলো যোগ্য সাহসের কাজ। কারণ তার অন্তরের বিশুদ্ধতাই ছিলো আল্লাহ্‌র কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য বিষয়।

উপদেশ : প্রতিটি মোমেন মুসলমানের এই সূরা ও উদাহরণের মাধ্যমে শেখার বিষয় হচ্ছে, বাইরের ভনিতা, বা পার্থিব কোন বস্তুই আত্মিক সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন নাই। শুধু প্রয়োজন আল্লাহ্‌র ভালোবাসা হারানোর ভয়ে ভীত ব্যকুল হৃদয়। সেই হচ্ছে প্রকৃত মোমেন ও মুত্তাকী।

 

আয়াতঃ 080.009

এমতাবস্থায় যে, সে ভয় করে,
And is afraid (of Allâh and His Punishment),

وَهُوَ يَخْشَى
Wahuwa yakhsha

YUSUFALI: And with fear (in his heart),
PICKTHAL: And hath fear,
SHAKIR: And he fears,
KHALIFA: And is really reverent.

৮। কিন্তু যে আকুল আগ্রহে তোমার নিকটে ছুটে এলো,

৯। [ হৃদয়ে ] ভয় এবং শংকা নিয়ে ৫৯৫৪,

১০। তুমি তার প্রতি অমনোযোগী হলে।

৫৯৫৪। এখানে, ” ভয় এবং শংকা ‘ শব্দটি দ্বারা গরীব লোকটির অন্তরের চিত্র আঁকা হয়েছে। তাঁর মনের অবস্থা ছিলো দ্বিবিধ। ১) তিনি ছিলেন বিনয়ী, নম্র, এবং আল্লাহ্‌র ভয়ে ভীত। কোন অহংকার বা উদ্ধতপনার স্থান তাঁর হৃদয়ে ছিলো না। ২) দরিদ্র ও অন্ধ হওয়ার কারণে তিনি থাকতেন ভীত, যে, এত মহান নবীর দরবারে তাঁর মত লোক কিভাবে প্রবেশ করবেন ? কিন্তু আল্লাহ্‌র অমিয় বাণী কোরাণ শেখার ঐকান্তিক ইচ্ছায় তিনি সকল শঙ্কা,দ্বিধা,ভয় ত্যাগ করে সাহসের সাথে রাসুলের (সা) দরবারে গমন করেন। যদিও মনে হয় তাঁর আগমন ঘটেছিলো অসময়ে, যে কারণে রাসুল (সা) বিরক্ত হয়েছিলেন, তবুও তা ছিলো যোগ্য সাহসের কাজ। কারণ তার অন্তরের বিশুদ্ধতাই ছিলো আল্লাহ্‌র কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য বিষয়।

উপদেশ : প্রতিটি মোমেন মুসলমানের এই সূরা ও উদাহরণের মাধ্যমে শেখার বিষয় হচ্ছে, বাইরের ভনিতা, বা পার্থিব কোন বস্তুই আত্মিক সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন নাই। শুধু প্রয়োজন আল্লাহ্‌র ভালোবাসা হারানোর ভয়ে ভীত ব্যকুল হৃদয়। সেই হচ্ছে প্রকৃত মোমেন ও মুত্তাকী।

 

আয়াতঃ 080.010

আপনি তাকে অবজ্ঞা করলেন।
Of him you are neglectful and divert your attention to another,

فَأَنتَ عَنْهُ تَلَهَّى
Faanta AAanhu talahha

YUSUFALI: Of him wast thou unmindful.
PICKTHAL: From him thou art distracted.
SHAKIR: From him will you divert yourself.
KHALIFA: You ignored him.

৮। কিন্তু যে আকুল আগ্রহে তোমার নিকটে ছুটে এলো,

৯। [ হৃদয়ে ] ভয় এবং শংকা নিয়ে ৫৯৫৪,

১০। তুমি তার প্রতি অমনোযোগী হলে।

৫৯৫৪। এখানে, ” ভয় এবং শংকা ‘ শব্দটি দ্বারা গরীব লোকটির অন্তরের চিত্র আঁকা হয়েছে। তাঁর মনের অবস্থা ছিলো দ্বিবিধ। ১) তিনি ছিলেন বিনয়ী, নম্র, এবং আল্লাহ্‌র ভয়ে ভীত। কোন অহংকার বা উদ্ধতপনার স্থান তাঁর হৃদয়ে ছিলো না। ২) দরিদ্র ও অন্ধ হওয়ার কারণে তিনি থাকতেন ভীত, যে, এত মহান নবীর দরবারে তাঁর মত লোক কিভাবে প্রবেশ করবেন ? কিন্তু আল্লাহ্‌র অমিয় বাণী কোরাণ শেখার ঐকান্তিক ইচ্ছায় তিনি সকল শঙ্কা,দ্বিধা,ভয় ত্যাগ করে সাহসের সাথে রাসুলের (সা) দরবারে গমন করেন। যদিও মনে হয় তাঁর আগমন ঘটেছিলো অসময়ে, যে কারণে রাসুল (সা) বিরক্ত হয়েছিলেন, তবুও তা ছিলো যোগ্য সাহসের কাজ। কারণ তার অন্তরের বিশুদ্ধতাই ছিলো আল্লাহ্‌র কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য বিষয়।

উপদেশ : প্রতিটি মোমেন মুসলমানের এই সূরা ও উদাহরণের মাধ্যমে শেখার বিষয় হচ্ছে, বাইরের ভনিতা, বা পার্থিব কোন বস্তুই আত্মিক সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন নাই। শুধু প্রয়োজন আল্লাহ্‌র ভালোবাসা হারানোর ভয়ে ভীত ব্যকুল হৃদয়। সেই হচ্ছে প্রকৃত মোমেন ও মুত্তাকী।

 

আয়াতঃ 080.011

কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশবানী।
Nay, (do not do like this), indeed it (these Verses of this Qur’ân) are an admonition,

كَلَّا إِنَّهَا تَذْكِرَةٌ
Kalla innaha tathkiratun

YUSUFALI: By no means (should it be so)! For it is indeed a Message of instruction:
PICKTHAL: Nay, but verily it is an Admonishment,
SHAKIR: Nay! surely it is an admonishment.
KHALIFA: Indeed, this is a reminder.

১১। না, এই আচরণ ঠিক নয়, নিশ্চয়ই ইহা এক উপদেশবাণী। ৫৯৫৫

১২। অতএব, যে ইচ্ছা করবে সে ইহা স্মরণ করবে।

৫৯৫৫। “এই আচরণ” অর্থাৎ পূর্বোক্ত আয়াতের বর্ণিত আচরণ। আল্লাহ্‌ সম্পুর্ণ ঘটনাটিকে বলেছেন উপদেশ বাণী। কারণ আল্লাহ্‌র বাণীর অমিয় ধারা,ধনী গরীব, উচ্চ,নীচ বিদ্বান, মুর্খ সকলের জন্য সমভাবে প্রবাহিত। যদি কারও হৃদয় এই ধারাতে অবগাহনের জন্য ব্যকুল হয়, তবে তাঁকে আল্লাহ্‌ যোগ্য সম্মান দান করেন এবং শ্রেষ্ঠত্ব দান করেন।

 

আয়াতঃ 080.012

অতএব, যে ইচ্ছা করবে, সে একে গ্রহণ করবে।
So whoever wills, let him pay attention to it.

فَمَن شَاء ذَكَرَهُ
Faman shaa thakarahu

YUSUFALI: Therefore let whoso will, keep it in remembrance.
PICKTHAL: So let whosoever will pay heed to it,
SHAKIR: So let him who pleases mind it.
KHALIFA: Whoever wills shall take heed.

১১। না, এই আচরণ ঠিক নয়, নিশ্চয়ই ইহা এক উপদেশবাণী। ৫৯৫৫

১২। অতএব, যে ইচ্ছা করবে সে ইহা স্মরণ করবে।

৫৯৫৫। “এই আচরণ” অর্থাৎ পূর্বোক্ত আয়াতের বর্ণিত আচরণ। আল্লাহ্‌ সম্পুর্ণ ঘটনাটিকে বলেছেন উপদেশ বাণী। কারণ আল্লাহ্‌র বাণীর অমিয় ধারা,ধনী গরীব, উচ্চ,নীচ বিদ্বান, মুর্খ সকলের জন্য সমভাবে প্রবাহিত। যদি কারও হৃদয় এই ধারাতে অবগাহনের জন্য ব্যকুল হয়, তবে তাঁকে আল্লাহ্‌ যোগ্য সম্মান দান করেন এবং শ্রেষ্ঠত্ব দান করেন।

 

আয়াতঃ 080.013

এটা লিখিত আছে সম্মানিত,
(It is) in Records held (greatly) in honour (Al-Lauh Al-Mahfûz).

فِي صُحُفٍ مُّكَرَّمَةٍ
Fee suhufin mukarramatin

YUSUFALI: (It is) in Books held (greatly) in honour,
PICKTHAL: On honoured leaves
SHAKIR: In honored books,
KHALIFA: In honorable scriptures.

১৩। [ ইহা ৫৯৫৬ ] লিখিত আছে মহা সম্মানীয় কিতাবের পাতায়,

৫৯৫৬। “কিতাবের পাতায় ” অর্থাৎ পূর্ববর্তী সূরা সমূহ। যখন এই সূরাটি অবতীর্ণ হয়, সে সময়ে মুসলমানদের হাতে সর্বমোট সূরার সংখ্যা ছিলো ৪২ থেকে ৪৫ টি। তবে সংখ্যার স্বল্পত্ব কোন ব্যাপার ছিলো না ; কারণ সূরাগুলি ছিলো আধ্যাত্মিক উপদেশে সমৃদ্ধ। সে সব উপদেশ এই সূরাটির জন্যও প্রযোজ্য হতে পারে। এই সূরাগুলি মুসলমানদের অন্তরের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছিলো। তা ছিলো তাদের হৃদয়ে উচ্চ ও মহিমান্বিত সর্বোচ্চ সম্মানের বস্তু। কারণ তা হচ্ছে আল্লাহ্‌র পবিত্র বাণী। ইসলামের প্রথম যুগে যারা আল্লাহ্‌র বাণী বা সূরা সমূহ লিখে রাখতেন তাঁরা ছিলেন পূণ্যাত্মা, ন্যায়বান ও সম্মানীয়। অনেকে বলেন যে, প্রাথমিক সূরাগুলি লেখার ও সংরক্ষণ করার সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করা হয় নাই। তাদের এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা।

প্রথম ও তৃতীয় খলিফার সময়ে যে সংশোধনী আনা হয়, তা ছিলো কোরাণের বিশুদ্ধতা সংরক্ষণের জন্য এবং সুবিন্যস্ত করার নিরাপদ কৌশল হিসেবে। কারণ সে সময়ে ইসলাম আরবের সীমান্ত অতিক্রম করে আরবীতে কথা বলেন না তাদের মাঝেও প্রসার লাভ করেছে। সুতারাং সেই বিশাল বিস্তৃতির মাঝে কোরাণের প্রচার ও প্রসারের জন্য সাবধানতার প্রয়োজন ছিলো বৈকি।

 

আয়াতঃ 080.014

উচ্চ পবিত্র পত্রসমূহে,
Exalted (in dignity), purified,

مَّرْفُوعَةٍ مُّطَهَّرَةٍ
MarfooAAatin mutahharatin

YUSUFALI: Exalted (in dignity), kept pure and holy,
PICKTHAL: Exalted, purified,
SHAKIR: Exalted, purified,
KHALIFA: Exalted and pure.

১৪। [ যা সম্মানে ] উন্নত, পূত পবিত্র,

১৫। [ লিখিত হয়েছে ] সেই লিপিকরদের দ্বারা,

১৬। যারা সম্মানীয় এবং পূণ্যবান ও ন্যায়বান।

১৭। দুর্ভাগ্য মানুষের ! কেন সে আল্লাহকে প্রত্যাখান করে ?

১৮। তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন ?

১৯। এক বিন্দু বীর্য থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন ৫৯৫৭, এবং তারপরে তাকে সঠিক অনুপাতে গঠন করেছেন,

৫৯৫৭। দেখুন [ ৭৬ : ২ ] আয়াত ও টিকা ৫৮৩২। মানুষের সৃষ্টি হয়েছে প্রাণীর সৃষ্টির ন্যায় অতি নগন্য পদার্থ থেকে। কিন্তু মানুষ প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ। তার এই শ্রেষ্ঠত্বের কারণ হচ্ছে আল্লাহ্‌ তাঁকে বিশেষ বুদ্ধিমত্তা ও বিশেষ বিশেষ মানসিক দক্ষতা দান করেছেন। তাঁর এই নশ্বর দেহের মাঝে বাস করে রূহু বা আত্মা। মানুষকে আল্লাহ্‌ ঐশ্বরিক অনুগ্রহ দান করেছেন, যে কারণে আল্লাহ্‌ তাঁকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন [ ২ : ৩০ ]। তাঁর আছে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি, আধ্যাত্মিক জগত, ভালোবাসার ক্ষমতা, যে ভালোবাসাকে সে বিশ্ব মানবতার মাঝে সম্প্রসারিত করতে সক্ষম। সীমিত ভাবে হলেও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সে রাখে। প্রাকৃতিক শক্তিকে সে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে সক্ষম। সেই সাথে তাঁকে দেয়া হয়েছে বিচার ক্ষমতা বা বিবেক ফলে সে কখনও সীমা ছাড়িয়ে যায় না, সর্বদা মধ্য পথ অবলম্বন করে। এ ভাবেই মানব জীবনে চলার পথের যে বিভিন্ন ধারা তা মানুষের জন্য সহজ করে দিয়েছেন, ” অতঃপর উহার জন্য পথ সহজ করে দেন।”

 

আয়াতঃ 080.015

লিপিকারের হস্তে,
In the hands of scribes (angels).

بِأَيْدِي سَفَرَةٍ
Bi-aydee safaratin

YUSUFALI: (Written) by the hands of scribes-
PICKTHAL: (Set down) by scribes
SHAKIR: In the hands of scribes
KHALIFA: (Written) by the hands of messengers.

১৪। [ যা সম্মানে ] উন্নত, পূত পবিত্র,

১৫। [ লিখিত হয়েছে ] সেই লিপিকরদের দ্বারা,

১৬। যারা সম্মানীয় এবং পূণ্যবান ও ন্যায়বান।

১৭। দুর্ভাগ্য মানুষের ! কেন সে আল্লাহকে প্রত্যাখান করে ?

১৮। তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন ?

১৯। এক বিন্দু বীর্য থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন ৫৯৫৭, এবং তারপরে তাকে সঠিক অনুপাতে গঠন করেছেন,

৫৯৫৭। দেখুন [ ৭৬ : ২ ] আয়াত ও টিকা ৫৮৩২। মানুষের সৃষ্টি হয়েছে প্রাণীর সৃষ্টির ন্যায় অতি নগন্য পদার্থ থেকে। কিন্তু মানুষ প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ। তার এই শ্রেষ্ঠত্বের কারণ হচ্ছে আল্লাহ্‌ তাঁকে বিশেষ বুদ্ধিমত্তা ও বিশেষ বিশেষ মানসিক দক্ষতা দান করেছেন। তাঁর এই নশ্বর দেহের মাঝে বাস করে রূহু বা আত্মা। মানুষকে আল্লাহ্‌ ঐশ্বরিক অনুগ্রহ দান করেছেন, যে কারণে আল্লাহ্‌ তাঁকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন [ ২ : ৩০ ]। তাঁর আছে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি, আধ্যাত্মিক জগত, ভালোবাসার ক্ষমতা, যে ভালোবাসাকে সে বিশ্ব মানবতার মাঝে সম্প্রসারিত করতে সক্ষম। সীমিত ভাবে হলেও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সে রাখে। প্রাকৃতিক শক্তিকে সে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে সক্ষম। সেই সাথে তাঁকে দেয়া হয়েছে বিচার ক্ষমতা বা বিবেক ফলে সে কখনও সীমা ছাড়িয়ে যায় না, সর্বদা মধ্য পথ অবলম্বন করে। এ ভাবেই মানব জীবনে চলার পথের যে বিভিন্ন ধারা তা মানুষের জন্য সহজ করে দিয়েছেন, ” অতঃপর উহার জন্য পথ সহজ করে দেন।”

 

আয়াতঃ 080.016

যারা মহৎ, পূত চরিত্র।
Honourable and obedient.

كِرَامٍ بَرَرَةٍ
Kiramin bararatin
YUSUFALI: Honourable and Pious and Just.
PICKTHAL: Noble and righteous.
SHAKIR: Noble, virtuous.
KHALIFA: Who are honorable and righteous.

১৪। [ যা সম্মানে ] উন্নত, পূত পবিত্র,

১৫। [ লিখিত হয়েছে ] সেই লিপিকরদের দ্বারা,

১৬। যারা সম্মানীয় এবং পূণ্যবান ও ন্যায়বান।

১৭। দুর্ভাগ্য মানুষের ! কেন সে আল্লাহকে প্রত্যাখান করে ?

১৮। তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন ?

১৯। এক বিন্দু বীর্য থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন ৫৯৫৭, এবং তারপরে তাকে সঠিক অনুপাতে গঠন করেছেন,

৫৯৫৭। দেখুন [ ৭৬ : ২ ] আয়াত ও টিকা ৫৮৩২। মানুষের সৃষ্টি হয়েছে প্রাণীর সৃষ্টির ন্যায় অতি নগন্য পদার্থ থেকে। কিন্তু মানুষ প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ। তার এই শ্রেষ্ঠত্বের কারণ হচ্ছে আল্লাহ্‌ তাঁকে বিশেষ বুদ্ধিমত্তা ও বিশেষ বিশেষ মানসিক দক্ষতা দান করেছেন। তাঁর এই নশ্বর দেহের মাঝে বাস করে রূহু বা আত্মা। মানুষকে আল্লাহ্‌ ঐশ্বরিক অনুগ্রহ দান করেছেন, যে কারণে আল্লাহ্‌ তাঁকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন [ ২ : ৩০ ]। তাঁর আছে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি, আধ্যাত্মিক জগত, ভালোবাসার ক্ষমতা, যে ভালোবাসাকে সে বিশ্ব মানবতার মাঝে সম্প্রসারিত করতে সক্ষম। সীমিত ভাবে হলেও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সে রাখে। প্রাকৃতিক শক্তিকে সে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে সক্ষম। সেই সাথে তাঁকে দেয়া হয়েছে বিচার ক্ষমতা বা বিবেক ফলে সে কখনও সীমা ছাড়িয়ে যায় না, সর্বদা মধ্য পথ অবলম্বন করে। এ ভাবেই মানব জীবনে চলার পথের যে বিভিন্ন ধারা তা মানুষের জন্য সহজ করে দিয়েছেন, ” অতঃপর উহার জন্য পথ সহজ করে দেন।”

 

আয়াতঃ 080.017

মানুষ ধ্বংস হোক, সে কত অকৃতজ্ঞ!
Be cursed (the disbelieving) man! How ungrateful he is!

قُتِلَ الْإِنسَانُ مَا أَكْفَرَهُ
Qutila al-insanu ma akfarahu

YUSUFALI: Woe to man! What hath made him reject Allah;
PICKTHAL: Man is (self-)destroyed: how ungrateful!
SHAKIR: Cursed be man! how ungrateful is he!
KHALIFA: Woe to the human being; he is so unappreciative!

১৪। [ যা সম্মানে ] উন্নত, পূত পবিত্র,

১৫। [ লিখিত হয়েছে ] সেই লিপিকরদের দ্বারা,

১৬। যারা সম্মানীয় এবং পূণ্যবান ও ন্যায়বান।

১৭। দুর্ভাগ্য মানুষের ! কেন সে আল্লাহকে প্রত্যাখান করে ?

১৮। তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন ?

১৯। এক বিন্দু বীর্য থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন ৫৯৫৭, এবং তারপরে তাকে সঠিক অনুপাতে গঠন করেছেন,

৫৯৫৭। দেখুন [ ৭৬ : ২ ] আয়াত ও টিকা ৫৮৩২। মানুষের সৃষ্টি হয়েছে প্রাণীর সৃষ্টির ন্যায় অতি নগন্য পদার্থ থেকে। কিন্তু মানুষ প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ। তার এই শ্রেষ্ঠত্বের কারণ হচ্ছে আল্লাহ্‌ তাঁকে বিশেষ বুদ্ধিমত্তা ও বিশেষ বিশেষ মানসিক দক্ষতা দান করেছেন। তাঁর এই নশ্বর দেহের মাঝে বাস করে রূহু বা আত্মা। মানুষকে আল্লাহ্‌ ঐশ্বরিক অনুগ্রহ দান করেছেন, যে কারণে আল্লাহ্‌ তাঁকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন [ ২ : ৩০ ]। তাঁর আছে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি, আধ্যাত্মিক জগত, ভালোবাসার ক্ষমতা, যে ভালোবাসাকে সে বিশ্ব মানবতার মাঝে সম্প্রসারিত করতে সক্ষম। সীমিত ভাবে হলেও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সে রাখে। প্রাকৃতিক শক্তিকে সে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে সক্ষম। সেই সাথে তাঁকে দেয়া হয়েছে বিচার ক্ষমতা বা বিবেক ফলে সে কখনও সীমা ছাড়িয়ে যায় না, সর্বদা মধ্য পথ অবলম্বন করে। এ ভাবেই মানব জীবনে চলার পথের যে বিভিন্ন ধারা তা মানুষের জন্য সহজ করে দিয়েছেন, ” অতঃপর উহার জন্য পথ সহজ করে দেন।”

 

আয়াতঃ 080.018

তিনি তাকে কি বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন?
From what thing did He create him?

مِنْ أَيِّ شَيْءٍ خَلَقَهُ
Min ayyi shay-in khalaqahu

YUSUFALI: From what stuff hath He created him?
PICKTHAL: From what thing doth He create him?
SHAKIR: Of what thing did He create him?
KHALIFA: What did He create him from?

১৪। [ যা সম্মানে ] উন্নত, পূত পবিত্র,

১৫। [ লিখিত হয়েছে ] সেই লিপিকরদের দ্বারা,

১৬। যারা সম্মানীয় এবং পূণ্যবান ও ন্যায়বান।

১৭। দুর্ভাগ্য মানুষের ! কেন সে আল্লাহকে প্রত্যাখান করে ?

১৮। তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন ?

১৯। এক বিন্দু বীর্য থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন ৫৯৫৭, এবং তারপরে তাকে সঠিক অনুপাতে গঠন করেছেন,

৫৯৫৭। দেখুন [ ৭৬ : ২ ] আয়াত ও টিকা ৫৮৩২। মানুষের সৃষ্টি হয়েছে প্রাণীর সৃষ্টির ন্যায় অতি নগন্য পদার্থ থেকে। কিন্তু মানুষ প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ। তার এই শ্রেষ্ঠত্বের কারণ হচ্ছে আল্লাহ্‌ তাঁকে বিশেষ বুদ্ধিমত্তা ও বিশেষ বিশেষ মানসিক দক্ষতা দান করেছেন। তাঁর এই নশ্বর দেহের মাঝে বাস করে রূহু বা আত্মা। মানুষকে আল্লাহ্‌ ঐশ্বরিক অনুগ্রহ দান করেছেন, যে কারণে আল্লাহ্‌ তাঁকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন [ ২ : ৩০ ]। তাঁর আছে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি, আধ্যাত্মিক জগত, ভালোবাসার ক্ষমতা, যে ভালোবাসাকে সে বিশ্ব মানবতার মাঝে সম্প্রসারিত করতে সক্ষম। সীমিত ভাবে হলেও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সে রাখে। প্রাকৃতিক শক্তিকে সে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে সক্ষম। সেই সাথে তাঁকে দেয়া হয়েছে বিচার ক্ষমতা বা বিবেক ফলে সে কখনও সীমা ছাড়িয়ে যায় না, সর্বদা মধ্য পথ অবলম্বন করে। এ ভাবেই মানব জীবনে চলার পথের যে বিভিন্ন ধারা তা মানুষের জন্য সহজ করে দিয়েছেন, ” অতঃপর উহার জন্য পথ সহজ করে দেন।”

 

আয়াতঃ 080.019

শুক্র থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে সুপরিমিত করেছেন।
From Nutfah (male and female semen drops) He created him, and then set him in due proportion;

مِن نُّطْفَةٍ خَلَقَهُ فَقَدَّرَهُ
Min nutfatin khalaqahu faqaddarahu

YUSUFALI: From a sperm-drop: He hath created him, and then mouldeth him in due proportions;
PICKTHAL: From a drop of seed. He createth him and proportioneth him,
SHAKIR: Of a small seed; He created him, then He made him according to a measure,
KHALIFA: From a tiny drop, He creates him and designs him.

১৪। [ যা সম্মানে ] উন্নত, পূত পবিত্র,

১৫। [ লিখিত হয়েছে ] সেই লিপিকরদের দ্বারা,

১৬। যারা সম্মানীয় এবং পূণ্যবান ও ন্যায়বান।

১৭। দুর্ভাগ্য মানুষের ! কেন সে আল্লাহকে প্রত্যাখান করে ?

১৮। তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন ?

১৯। এক বিন্দু বীর্য থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন ৫৯৫৭, এবং তারপরে তাকে সঠিক অনুপাতে গঠন করেছেন,

৫৯৫৭। দেখুন [ ৭৬ : ২ ] আয়াত ও টিকা ৫৮৩২। মানুষের সৃষ্টি হয়েছে প্রাণীর সৃষ্টির ন্যায় অতি নগন্য পদার্থ থেকে। কিন্তু মানুষ প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ। তার এই শ্রেষ্ঠত্বের কারণ হচ্ছে আল্লাহ্‌ তাঁকে বিশেষ বুদ্ধিমত্তা ও বিশেষ বিশেষ মানসিক দক্ষতা দান করেছেন। তাঁর এই নশ্বর দেহের মাঝে বাস করে রূহু বা আত্মা। মানুষকে আল্লাহ্‌ ঐশ্বরিক অনুগ্রহ দান করেছেন, যে কারণে আল্লাহ্‌ তাঁকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন [ ২ : ৩০ ]। তাঁর আছে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি, আধ্যাত্মিক জগত, ভালোবাসার ক্ষমতা, যে ভালোবাসাকে সে বিশ্ব মানবতার মাঝে সম্প্রসারিত করতে সক্ষম। সীমিত ভাবে হলেও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সে রাখে। প্রাকৃতিক শক্তিকে সে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে সক্ষম। সেই সাথে তাঁকে দেয়া হয়েছে বিচার ক্ষমতা বা বিবেক ফলে সে কখনও সীমা ছাড়িয়ে যায় না, সর্বদা মধ্য পথ অবলম্বন করে। এ ভাবেই মানব জীবনে চলার পথের যে বিভিন্ন ধারা তা মানুষের জন্য সহজ করে দিয়েছেন, ” অতঃপর উহার জন্য পথ সহজ করে দেন।”

 

আয়াতঃ 080.020

অতঃপর তার পথ সহজ করেছেন,
Then He makes the Path easy for him;

ثُمَّ السَّبِيلَ يَسَّرَهُ
Thumma alssabeela yassarahu

YUSUFALI: Then doth He make His path smooth for him;
PICKTHAL: Then maketh the way easy for him,
SHAKIR: Then (as for) the way– He has made it easy (for him)
KHALIFA: Then He points out the path for him.

২০। অতঃপর তার জন্য তার পথকে সহজ করে দিয়েছেন ;

২১। তৎপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরের মাঝে রেখে দেন ; ৫৯৫৮

৫৯৫৮। দেখুন [ ২০ : ৫৫]। পৃথিবীর সংক্ষিপ্ত জীবন শেষ মৃত্যু অবধারিত সত্য। মৃত্যু সর্বদা ভয়ংকর নয়। পূণ্যাত্মাদের জন্য তা আল্লাহ্‌র আশীর্বাদ স্বরূপ – কারণ নশ্বর দেহের পিঞ্জর মুক্ত হয়ে আত্মা পৃথিবীর অসম্পূর্ণতা ও শিক্ষানবীশকালের দায়িত্ব মুক্ত হতে পারে এবং প্রকৃত সত্যের আলো, আত্মার মাঝে নূতন প্রভাতের সৃষ্টি করে। ‘কবর ‘ এ অবস্থানের সময় হচ্ছে দৈহিক মৃত্যু ও অনন্ত জীবনে প্রবেশের পূর্বের সময়কাল পর্যন্ত যেখানে কাটানো হয়। অর্থাৎ মৃত্যুর পর থেকে রোজ হাশরের পূর্ব পর্যন্ত যে সময়কাল সেই মধ্যবর্তী সময়কাল। মুত্যুর পরে যে ভাবেই দেহকে সমাহিত করা হোক না কেন এই সময়কালকেই বলা হয়েছে, “কবরস্থ করেন।” এই মধ্যবর্তী সময়কাল হচ্ছে ‘Barzakh’ বা মধ্যবর্তী দেয়াল। দেখুন এ সম্বন্ধে [ ২৩ : ১০০ ] আয়াতের টিকা ২৯৪০।

 

আয়াতঃ 080.021

অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে।
Then He causes him to die, and puts him in his grave;

ثُمَّ أَمَاتَهُ فَأَقْبَرَهُ
Thumma amatahu faaqbarahu

YUSUFALI: Then He causeth him to die, and putteth him in his grave;
PICKTHAL: Then causeth him to die, and burieth him;
SHAKIR: Then He causes him to die, then assigns to him a grave,
KHALIFA: Then He puts him to death, and into the grave

২০। অতঃপর তার জন্য তার পথকে সহজ করে দিয়েছেন ;

২১। তৎপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরের মাঝে রেখে দেন ; ৫৯৫৮

৫৯৫৮। দেখুন [ ২০ : ৫৫]। পৃথিবীর সংক্ষিপ্ত জীবন শেষ মৃত্যু অবধারিত সত্য। মৃত্যু সর্বদা ভয়ংকর নয়। পূণ্যাত্মাদের জন্য তা আল্লাহ্‌র আশীর্বাদ স্বরূপ – কারণ নশ্বর দেহের পিঞ্জর মুক্ত হয়ে আত্মা পৃথিবীর অসম্পূর্ণতা ও শিক্ষানবীশকালের দায়িত্ব মুক্ত হতে পারে এবং প্রকৃত সত্যের আলো, আত্মার মাঝে নূতন প্রভাতের সৃষ্টি করে। ‘কবর ‘ এ অবস্থানের সময় হচ্ছে দৈহিক মৃত্যু ও অনন্ত জীবনে প্রবেশের পূর্বের সময়কাল পর্যন্ত যেখানে কাটানো হয়। অর্থাৎ মৃত্যুর পর থেকে রোজ হাশরের পূর্ব পর্যন্ত যে সময়কাল সেই মধ্যবর্তী সময়কাল। মুত্যুর পরে যে ভাবেই দেহকে সমাহিত করা হোক না কেন এই সময়কালকেই বলা হয়েছে, “কবরস্থ করেন।” এই মধ্যবর্তী সময়কাল হচ্ছে ‘Barzakh’ বা মধ্যবর্তী দেয়াল। দেখুন এ সম্বন্ধে [ ২৩ : ১০০ ] আয়াতের টিকা ২৯৪০।

 

আয়াতঃ 080.022

এরপর যখন ইচ্ছা করবেন তখন তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।
Then, when it is His Will, He will resurrect him (again).

ثُمَّ إِذَا شَاء أَنشَرَهُ
Thumma itha shaa ansharahu

YUSUFALI: Then, when it is His Will, He will raise him up (again).
PICKTHAL: Then, when He will, He bringeth him again to life.
SHAKIR: Then when He pleases, He will raise him to life again.
KHALIFA: When He wills, He resurrects him.

২২। তারপরে যখন আল্লাহ্‌র ইচ্ছা,তিনি তাকে [ পুণরায় ] উত্থিত করবেন।

২৩। না কখনও না, আল্লাহ্‌ তাকে [ মানুষকে] যা আদেশ করেছেন, সে এখনও তা পুরোপুরি পালন করে নাই। ৫৯৫৯

৫৯৫৯। যদিও আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ পূণ্যাত্মাদের জন্য আর্শীবাদ। কিন্তু যারা আধ্যাত্মিক ভাবে সমৃদ্ধি লাভ না করে, তারা আল্লাহ্‌র মানুষ সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য অনুধাবনে অক্ষম হয়, ফলে আল্লাহ্‌র আদেশ লংঘন করে।

 

আয়াতঃ 080.023

সে কখনও কৃতজ্ঞ হয়নি, তিনি তাকে যা আদেশ করেছেন, সে তা পূর্ণ করেনি।
Nay, but (man) has not done what He commanded him.

كَلَّا لَمَّا يَقْضِ مَا أَمَرَهُ
Kalla lamma yaqdi ma amarahu

YUSUFALI: By no means hath he fulfilled what Allah hath commanded him.
PICKTHAL: Nay, but (man) hath not done what He commanded him.
SHAKIR: Nay; but he has not done what He bade him.
KHALIFA: He shall uphold His commandments.

২২। তারপরে যখন আল্লাহ্‌র ইচ্ছা,তিনি তাকে [ পুণরায় ] উত্থিত করবেন।

২৩। না কখনও না, আল্লাহ্‌ তাকে [ মানুষকে] যা আদেশ করেছেন, সে এখনও তা পুরোপুরি পালন করে নাই। ৫৯৫৯

৫৯৫৯। যদিও আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ পূণ্যাত্মাদের জন্য আর্শীবাদ। কিন্তু যারা আধ্যাত্মিক ভাবে সমৃদ্ধি লাভ না করে, তারা আল্লাহ্‌র মানুষ সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য অনুধাবনে অক্ষম হয়, ফলে আল্লাহ্‌র আদেশ লংঘন করে।

 

আয়াতঃ 080.024

মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক,
Then let man look at his food,

فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ إِلَى طَعَامِهِ
Falyanthuri al-insanu ila taAAamihi

YUSUFALI: Then let man look at his food, (and how We provide it):
PICKTHAL: Let man consider his food:
SHAKIR: Then let man look to his food,
KHALIFA: Let the human consider his food!

২৪। মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক [ কি ভাবে আমি তা সরবরাহ করি ] ? ৫৯৬০

৫৯৬০। মানুষের আত্মার যে ইতিহাস তা বর্ণনার পর এবারে মানুষের দৈহিক ও পার্থিব জীবনের উল্লেখ করা হয়েছে। পৃথিবীর জীবনে আমাদের প্রয়োজনের শেষ নাই। প্রাত্যহিক আরাম আয়েশের জন্য ও জীবন ধারণের জন্য বহু উপকরণের প্রয়োজন হয়। এই আয়াতের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপকরণের উল্লেখ করা হয়েছে আর তা হচ্ছে খাদ্য। আল্লাহ্‌র হুকুমে আকাশ ও পৃথিবী এক হয়ে শষ্য উৎপাদনের শক্তি যোগায় যা মানুষ ও মানুষের উপরে নির্ভরশীল পশুর খাদ্য। ” ইহা তোমাদের ও তোমাদের গৃহ পালিত পশুদের ভোগের জন্য” [নীচের ৩২ নং আয়াত]। মানুষের একটিমাত্র প্রয়োজনীয় উপকরণ সম্বন্ধে চিন্তা করলে উপলব্ধি করা সম্ভব যে মানুষের কল্যাণের জন্য স্রষ্টার কি অফুরন্ত ভালোবাসা। মানুষের অফুরন্ত প্রয়োজন স্রষ্টা তাঁর সদয় তত্বাবধানের দ্বারা পূরণ করে থাকেন।

 

আয়াতঃ 080.025

আমি আশ্চর্য উপায়ে পানি বর্ষণ করেছি,
That We pour forth water in abundance,

أَنَّا صَبَبْنَا الْمَاء صَبًّا
Anna sababna almaa sabban

YUSUFALI: For that We pour forth water in abundance,
PICKTHAL: How We pour water in showers
SHAKIR: That We pour down the water, pouring (it) down in abundance,
KHALIFA: We pour the water generously.

২৫। নিশ্চয়ই আমিই প্রচুর বারি বর্ষণ করি

২৬। এবং ভূমিকে খন্ড খন্ড রূপে বিদীর্ণ করি ৫৯৬১,

৫৯৬১। আকাশ থেকে বৃষ্টি পাত হয়ে মাটিকে করে সিক্ত ও উর্বর। ফলে নরম মাটি কর্ষণযোগ্য হয়। কর্ষিত ভেজা মাটিতে বীজ বপনের ফলে উর্বর মাটি প্রচুর খাদ্য উৎপাদন করে। যেমন : খাদ্যশস্য, রসালো ফল, শাকশব্জি, শুকনো ফল, তৈল উৎপাদনকারী বীজ ইত্যাদি। পরবর্তী আয়াতে দ্রাক্ষা শব্দটি দ্বারা লতানো ফলের সকল গাছকে বুঝানো হয়েছে, শাক্‌ সব্‌জি দ্বারা সকল পুষ্টিদায়ক উপকারী উদ্ভিদকে বুঝানো হয়েছে। যয়তুন বা জলপাই ও খজ্জুর দ্বারা বুঝানো হয়েছে সেই সব ফলের সব গাছ যার ফলকে শুকিয়ে রাখা যায় ও যার থেকে তৈল উৎপাদন করা সম্ভব।

 

আয়াতঃ 080.026

এরপর আমি ভূমিকে বিদীর্ণ করেছি,
And We split the earth in clefts,

ثُمَّ شَقَقْنَا الْأَرْضَ شَقًّا
Thumma shaqaqna al-arda shaqqan

YUSUFALI: And We split the earth in fragments,
PICKTHAL: Then split the earth in clefts
SHAKIR: Then We cleave the earth, cleaving (it) asunder,
KHALIFA: Then we split the soil open.

২৫। নিশ্চয়ই আমিই প্রচুর বারি বর্ষণ করি

২৬। এবং ভূমিকে খন্ড খন্ড রূপে বিদীর্ণ করি ৫৯৬১,

৫৯৬১। আকাশ থেকে বৃষ্টি পাত হয়ে মাটিকে করে সিক্ত ও উর্বর। ফলে নরম মাটি কর্ষণযোগ্য হয়। কর্ষিত ভেজা মাটিতে বীজ বপনের ফলে উর্বর মাটি প্রচুর খাদ্য উৎপাদন করে। যেমন : খাদ্যশস্য, রসালো ফল, শাকশব্জি, শুকনো ফল, তৈল উৎপাদনকারী বীজ ইত্যাদি। পরবর্তী আয়াতে দ্রাক্ষা শব্দটি দ্বারা লতানো ফলের সকল গাছকে বুঝানো হয়েছে, শাক্‌ সব্‌জি দ্বারা সকল পুষ্টিদায়ক উপকারী উদ্ভিদকে বুঝানো হয়েছে। যয়তুন বা জলপাই ও খজ্জুর দ্বারা বুঝানো হয়েছে সেই সব ফলের সব গাছ যার ফলকে শুকিয়ে রাখা যায় ও যার থেকে তৈল উৎপাদন করা সম্ভব।

 

আয়াতঃ 080.027

অতঃপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য,
And We cause therein the grain to grow,

فَأَنبَتْنَا فِيهَا حَبًّا
Faanbatna feeha habban

YUSUFALI: And produce therein corn,
PICKTHAL: And cause the grain to grow therein
SHAKIR: Then We cause to grow therein the grain,
KHALIFA: We grow in it grains.

২৭। এবং সেখানে শষ্য উৎপন্ন করি, ৫৯৬২

৫৯৬২। ‘সেখানে ‘ শব্দটি দ্বারা পৃথিবী বা পৃথিবীর মাটিকে বুঝানো হয়েছে।

 

আয়াতঃ 080.028

আঙ্গুর, শাক-সব্জি,
And grapes and clover plants (i.e. green fodder for the cattle),

وَعِنَبًا وَقَضْبًا
WaAAinaban waqadban

YUSUFALI: And Grapes and nutritious plants,
PICKTHAL: And grapes and green fodder
SHAKIR: And grapes and clover,
KHALIFA: Grapes and pasture.

২৮। এবং আঙ্গুর এবং পুষ্টিকর উদ্ভিদ,

২৯। জলপাই ও খেজুর

৩০। এবং চতুর্দ্দিক ঘেরা ঘন গাছের বাগান ৫৯৬৩,

৫৯৬৩। টিকা নং ৫৯৬১ তে বর্ণিত শুধু খাদ্য উৎপাদনকারী উদ্ভিদও নয়, আল্লাহ্‌ আরও দান করেছেন নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত উদ্যানের উদ্ভিদ জগত, সুউচ্চ বৃক্ষ, যা সুস্বাদু ফল উৎপাদন করে থাকে বা অন্য প্রয়োজনীয় কাজে কাঠের ব্যবহার হয়। পশু জগতের জন্য দান করা হয়েছে বহু ধরণের ঘাস।

 

আয়াতঃ 080.029

যয়তুন, খর্জূর,
And olives and date-palms,

وَزَيْتُونًا وَنَخْلًا
Wazaytoonan wanakhlan

YUSUFALI: And Olives and Dates,
PICKTHAL: And olive-trees and palm-trees
SHAKIR: And the olive and the palm,
KHALIFA: Olives and palms.

২৮। এবং আঙ্গুর এবং পুষ্টিকর উদ্ভিদ,

২৯। জলপাই ও খেজুর

৩০। এবং চতুর্দ্দিক ঘেরা ঘন গাছের বাগান ৫৯৬৩,

৫৯৬৩। টিকা নং ৫৯৬১ তে বর্ণিত শুধু খাদ্য উৎপাদনকারী উদ্ভিদও নয়, আল্লাহ্‌ আরও দান করেছেন নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত উদ্যানের উদ্ভিদ জগত, সুউচ্চ বৃক্ষ, যা সুস্বাদু ফল উৎপাদন করে থাকে বা অন্য প্রয়োজনীয় কাজে কাঠের ব্যবহার হয়। পশু জগতের জন্য দান করা হয়েছে বহু ধরণের ঘাস।

 

আয়াতঃ 080.030

ঘন উদ্যান,
And gardens, dense with many trees,

وَحَدَائِقَ غُلْبًا
Wahada-iqa ghulban

YUSUFALI: And enclosed Gardens, dense with lofty trees,
PICKTHAL: And garden-closes of thick foliage
SHAKIR: And thick gardens,
KHALIFA: A variety of orchards.

২৮। এবং আঙ্গুর এবং পুষ্টিকর উদ্ভিদ,

২৯। জলপাই ও খেজুর

৩০। এবং চতুর্দ্দিক ঘেরা ঘন গাছের বাগান ৫৯৬৩,

৫৯৬৩। টিকা নং ৫৯৬১ তে বর্ণিত শুধু খাদ্য উৎপাদনকারী উদ্ভিদও নয়, আল্লাহ্‌ আরও দান করেছেন নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত উদ্যানের উদ্ভিদ জগত, সুউচ্চ বৃক্ষ, যা সুস্বাদু ফল উৎপাদন করে থাকে বা অন্য প্রয়োজনীয় কাজে কাঠের ব্যবহার হয়। পশু জগতের জন্য দান করা হয়েছে বহু ধরণের ঘাস।

 

আয়াতঃ 080.031

ফল এবং ঘাস
And fruits and Abba (herbage, etc.),

وَفَاكِهَةً وَأَبًّا
Wafakihatan waabban

YUSUFALI: And fruits and fodder,-
PICKTHAL: And fruits and grasses:
SHAKIR: And fruits and herbage
KHALIFA: Fruits and vegetables.

৩১। এবং ফলমূল এবং তৃণলতা,

৩২। তোমাদের ও তোমাদের গৃহপালিত পশুদের সুবিধার জন্য ৫৯৬৪।

৫৯৬৪। এই একই আয়াত আবৃত্তি করা হয়েছে সূরা [ ৭৯: ৩৩ ] আয়াতে। সেখানে টিকা নং ৫৯৪০ তে ব্যপক আলোচনা করা হয়েছে।

 

আয়াতঃ 080.032

তোমাদেরও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপাকারার্থে।
(To be) a provision and benefit for you and your cattle.

مَّتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
MataAAan lakum wali-anAAamikum

YUSUFALI: For use and convenience to you and your cattle.
PICKTHAL: Provision for you and your cattle.
SHAKIR: A provision for you and for your cattle.
KHALIFA: To provide life support for you and your animals.

৩১। এবং ফলমূল এবং তৃণলতা,

৩২। তোমাদের ও তোমাদের গৃহপালিত পশুদের সুবিধার জন্য ৫৯৬৪।

৫৯৬৪। এই একই আয়াত আবৃত্তি করা হয়েছে সূরা [ ৭৯: ৩৩ ] আয়াতে। সেখানে টিকা নং ৫৯৪০ তে ব্যপক আলোচনা করা হয়েছে।

 

আয়াতঃ 080.033

অতঃপর যেদিন কর্ণবিদারক নাদ আসবে,
Then, when there comes As-Sâkhkhah (the Day of Resurrection’s second blowing of Trumpet),

فَإِذَا جَاءتِ الصَّاخَّةُ
Fa-itha jaati alssakhkhatu

YUSUFALI: At length, when there comes the Deafening Noise,-
PICKTHAL: But when the Shout cometh
SHAKIR: But when the deafening cry comes,
KHALIFA: Then, when the blow comes to pass.

৩৩। অবশেষে যখন কর্ণবিদীর্ণকারী [ শিঙ্গার ] ভীষণ আওয়াজ উপস্থিত হবে ৫৯৬৫,

৫৯৬৫। ‘সাজ্জা ‘ এই শব্দটির আভিধানিক অর্থ মহানাদ, কিন্তু কোরাণ শরীফে এ শব্দটি কেয়ামত অর্থে ব্যবহৃত। কেয়ামত হচ্ছে শেষ বিচার সংঘটিত হওয়ার পূর্ব অবস্থা।

 

আয়াতঃ 080.034

সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে,
That Day shall a man flee from his brother,

يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ
Yawma yafirru almaro min akheehi

YUSUFALI: That Day shall a man flee from his own brother,
PICKTHAL: On the day when a man fleeth from his brother
SHAKIR: The day on which a man shall fly from his brother,
KHALIFA: That is the day when one flees from his brother.

৩৪। সেদিন মানুষ পলায়ন করবে আপন ভাই থেকে,

৩৫। এবং তার মাতা ও পিতা থেকে,

৩৬। এবং তার স্ত্রী এবং সন্তান -সন্ততি থেকে। ৫৯৬৬

৫৯৬৬। যাদের পৃথিবীর জীবনে অত্যন্ত আপন বলে মনে হবে, কেয়ামতের বিভিষিকায় সেদিন কেউ কাউকে চিনতে পারবে না। কেউ কারও সাহাযার্থে এগিয়ে আসবে না। এমনকি সেদিন কেউ কারও দুঃখ, ব্যথা বা অপমানের সমবেদনা প্রকাশে আগ্রহী হবে না। কারণ প্রত্যেকেরই নিজ নিজ দুঃখ কষ্টের সীমা পরিসীমা থাকবে না। অপরপক্ষে যারা পূণ্যাত্মা তারা তাদের পূণ্যাত্মা পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ লাভ করবেন [৫২ : ২১ ] ; সেদিন পূণ্যাত্মাদের মুখ খুশী ও আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে [ ৮০ : ৩৮- ৩৯ ]।

 

আয়াতঃ 080.035

তার মাতা, তার পিতা,
And from his mother and his father,

وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ
Waommihi waabeehi

YUSUFALI: And from his mother and his father,
PICKTHAL: And his mother and his father
SHAKIR: And his mother and his father,
KHALIFA: From his mother and father.

৩৪। সেদিন মানুষ পলায়ন করবে আপন ভাই থেকে,

৩৫। এবং তার মাতা ও পিতা থেকে,

৩৬। এবং তার স্ত্রী এবং সন্তান -সন্ততি থেকে। ৫৯৬৬

৫৯৬৬। যাদের পৃথিবীর জীবনে অত্যন্ত আপন বলে মনে হবে, কেয়ামতের বিভিষিকায় সেদিন কেউ কাউকে চিনতে পারবে না। কেউ কারও সাহাযার্থে এগিয়ে আসবে না। এমনকি সেদিন কেউ কারও দুঃখ, ব্যথা বা অপমানের সমবেদনা প্রকাশে আগ্রহী হবে না। কারণ প্রত্যেকেরই নিজ নিজ দুঃখ কষ্টের সীমা পরিসীমা থাকবে না। অপরপক্ষে যারা পূণ্যাত্মা তারা তাদের পূণ্যাত্মা পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ লাভ করবেন [৫২ : ২১ ] ; সেদিন পূণ্যাত্মাদের মুখ খুশী ও আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে [ ৮০ : ৩৮- ৩৯ ]।

 

আয়াতঃ 080.036

তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে।
And from his wife and his children.

وَصَاحِبَتِهِ وَبَنِيهِ
Wasahibatihi wabaneehi

YUSUFALI: And from his wife and his children.
PICKTHAL: And his wife and his children,
SHAKIR: And his spouse and his son–
KHALIFA: From his spouse and children.

৩৪। সেদিন মানুষ পলায়ন করবে আপন ভাই থেকে,

৩৫। এবং তার মাতা ও পিতা থেকে,

৩৬। এবং তার স্ত্রী এবং সন্তান -সন্ততি থেকে। ৫৯৬৬

৫৯৬৬। যাদের পৃথিবীর জীবনে অত্যন্ত আপন বলে মনে হবে, কেয়ামতের বিভিষিকায় সেদিন কেউ কাউকে চিনতে পারবে না। কেউ কারও সাহাযার্থে এগিয়ে আসবে না। এমনকি সেদিন কেউ কারও দুঃখ, ব্যথা বা অপমানের সমবেদনা প্রকাশে আগ্রহী হবে না। কারণ প্রত্যেকেরই নিজ নিজ দুঃখ কষ্টের সীমা পরিসীমা থাকবে না। অপরপক্ষে যারা পূণ্যাত্মা তারা তাদের পূণ্যাত্মা পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ লাভ করবেন [৫২ : ২১ ] ; সেদিন পূণ্যাত্মাদের মুখ খুশী ও আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে [ ৮০ : ৩৮- ৩৯ ]।

আয়াতঃ 080.037

সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে।
Everyman, that Day, will have enough to make him careless of others.

لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ يَوْمَئِذٍ شَأْنٌ يُغْنِيهِ
Likulli imri-in minhum yawma-ithin sha/nun yughneehi

YUSUFALI: Each one of them, that Day, will have enough concern (of his own) to make him indifferent to the others.
PICKTHAL: Every man that day will have concern enough to make him heedless (of others).
SHAKIR: Every man of them shall on that day have an affair which will occupy him.
KHALIFA: Each one of them, on that day, worries about his own destiny.

৩৭। সেদিন প্রত্যেকে [নিজের সম্বন্ধে ] যথেষ্ট উদ্বিগ্ন থাকবে, [ ফলে ] তাকে অন্যদের সম্বন্ধে উদাসীন রাখবে ৫৯৬৭

৫৯৬৭। দেখুন [ ৭০ : ১০- ১৪ ] আয়াত। কোন বন্ধু বা সহৃদ সেদিন কারও সাথে কথা বলতে এগিয়ে আসবে না। পাপীরা সেদিন নিজ দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নিজ পরিবারকে উৎসর্গ করতে দ্বিধা বোধ করবে না।

 

আয়াতঃ 080.038

অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে উজ্জ্বল,
Some faces that Day, will be bright (true believers of Islâmic Monotheism).

وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ مُّسْفِرَةٌ
Wujoohun yawma-ithin musfiratun

YUSUFALI: Some faces that Day will be beaming,
PICKTHAL: On that day faces will be bright as dawn,
SHAKIR: (Many) faces on that day shall be bright,
KHALIFA: Some faces on that day will be happy.

৩৮। কিছু মুখ সেদিন হবে উজ্জ্বল দীপ্তিময়,

৩৯। হাসিখুশী ও আনন্দময়।

৪০। এবং সেদিন অন্য মুখ হবে ধূলো ধূসরিত ৫৯৬৮;

৪১। তাদের আচ্ছন্ন করবে কালিমা।

৪২। এরূপই হবে আল্লাহকে প্রত্যাখানকারী ও পাপীদের অবস্থা।

৫৯৬৮। এখানে পাপীদের বাহ্যিক বিবরণ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে তাদের মুখমন্ডল হবে ধূলিধূসর ও কালিমাতে আচ্ছন্ন। পূণ্যাত্মাদের উজ্জ্বল মুখমন্ডলের বিপরীতে পাপীদের ধূলায় ধূসরিত মুখমন্ডলকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার পূণ্যাত্মাদের হাস্যজ্জ্বল প্রফুল্ল মুখমন্ডলের বিপরীতে পাপীদের কালিমাতে আচ্ছন্ন মুখমন্ডলকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার অন্য ভাবে বলা যায় যে, পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র বিধানসমূহ অস্বীকার করার ফলে পাপীদের মানসিক দক্ষতা সমূহ [ যেমন সত্যকে দেখার ক্ষমতা, শোনার ক্ষমতা, বলার ক্ষমতা ] শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় চাপা পড়ে যায়, ধূলি ধূসরিত হয়ে কোন জিনিষ চাপা পড়ার ন্যায়। পৃথিবীতে পাপীরা অন্যায় দ্বারা ন্যায়কে কালিমালিপ্ত করেছে সুতারাং সেদিন তারা পবিত্রতার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হবে। আর একটি তুলনা হতে পারে এই যে, যারা পৃথিবীর জীবনে নগন্য ও বিনয়ী; পৃথিবীর জীবন তাদের জন্য ধূলায় ধূসরিত বস্তুর ন্যায় ধূসর ও বিবর্ণ অপরপক্ষে পাপীদের পার্থিব জীবন হচ্ছে সূর্যের আলোর ন্যায় ঔজ্জ্বল্যে ভরা। কিন্তু বিচার দিবসে এই চিত্র যাবে সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবে পাল্টে।

 

আয়াতঃ 080.039

সহাস্য ও প্রফুল্ল।
Laughing, rejoicing at good news (of Paradise).

ضَاحِكَةٌ مُّسْتَبْشِرَةٌ
Dahikatun mustabshiratun

YUSUFALI: Laughing, rejoicing.
PICKTHAL: Laughing, rejoicing at good news;
SHAKIR: Laughing, joyous.
KHALIFA: Laughing and joyful.

৩৮। কিছু মুখ সেদিন হবে উজ্জ্বল দীপ্তিময়,

৩৯। হাসিখুশী ও আনন্দময়।

৪০। এবং সেদিন অন্য মুখ হবে ধূলো ধূসরিত ৫৯৬৮;

৪১। তাদের আচ্ছন্ন করবে কালিমা।

৪২। এরূপই হবে আল্লাহকে প্রত্যাখানকারী ও পাপীদের অবস্থা।

৫৯৬৮। এখানে পাপীদের বাহ্যিক বিবরণ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে তাদের মুখমন্ডল হবে ধূলিধূসর ও কালিমাতে আচ্ছন্ন। পূণ্যাত্মাদের উজ্জ্বল মুখমন্ডলের বিপরীতে পাপীদের ধূলায় ধূসরিত মুখমন্ডলকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার পূণ্যাত্মাদের হাস্যজ্জ্বল প্রফুল্ল মুখমন্ডলের বিপরীতে পাপীদের কালিমাতে আচ্ছন্ন মুখমন্ডলকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার অন্য ভাবে বলা যায় যে, পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র বিধানসমূহ অস্বীকার করার ফলে পাপীদের মানসিক দক্ষতা সমূহ [ যেমন সত্যকে দেখার ক্ষমতা, শোনার ক্ষমতা, বলার ক্ষমতা ] শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় চাপা পড়ে যায়, ধূলি ধূসরিত হয়ে কোন জিনিষ চাপা পড়ার ন্যায়। পৃথিবীতে পাপীরা অন্যায় দ্বারা ন্যায়কে কালিমালিপ্ত করেছে সুতারাং সেদিন তারা পবিত্রতার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হবে। আর একটি তুলনা হতে পারে এই যে, যারা পৃথিবীর জীবনে নগন্য ও বিনয়ী; পৃথিবীর জীবন তাদের জন্য ধূলায় ধূসরিত বস্তুর ন্যায় ধূসর ও বিবর্ণ অপরপক্ষে পাপীদের পার্থিব জীবন হচ্ছে সূর্যের আলোর ন্যায় ঔজ্জ্বল্যে ভরা। কিন্তু বিচার দিবসে এই চিত্র যাবে সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবে পাল্টে।

 

আয়াতঃ 080.040

এবং অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে ধুলি ধূসরিত।
And other faces, that Day, will be dust-stained;

وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌ
Wawujoohun yawma-ithin AAalayha ghabaratun

YUSUFALI: And other faces that Day will be dust-stained,
PICKTHAL: And other faces, on that day, with dust upon them,
SHAKIR: And (many) faces on that day, on them shall be dust,
KHALIFA: Other faces, on that day, will be covered with misery.

৩৮। কিছু মুখ সেদিন হবে উজ্জ্বল দীপ্তিময়,

৩৯। হাসিখুশী ও আনন্দময়।

৪০। এবং সেদিন অন্য মুখ হবে ধূলো ধূসরিত ৫৯৬৮;

৪১। তাদের আচ্ছন্ন করবে কালিমা।

৪২। এরূপই হবে আল্লাহকে প্রত্যাখানকারী ও পাপীদের অবস্থা।

৫৯৬৮। এখানে পাপীদের বাহ্যিক বিবরণ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে তাদের মুখমন্ডল হবে ধূলিধূসর ও কালিমাতে আচ্ছন্ন। পূণ্যাত্মাদের উজ্জ্বল মুখমন্ডলের বিপরীতে পাপীদের ধূলায় ধূসরিত মুখমন্ডলকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার পূণ্যাত্মাদের হাস্যজ্জ্বল প্রফুল্ল মুখমন্ডলের বিপরীতে পাপীদের কালিমাতে আচ্ছন্ন মুখমন্ডলকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার অন্য ভাবে বলা যায় যে, পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র বিধানসমূহ অস্বীকার করার ফলে পাপীদের মানসিক দক্ষতা সমূহ [ যেমন সত্যকে দেখার ক্ষমতা, শোনার ক্ষমতা, বলার ক্ষমতা ] শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় চাপা পড়ে যায়, ধূলি ধূসরিত হয়ে কোন জিনিষ চাপা পড়ার ন্যায়। পৃথিবীতে পাপীরা অন্যায় দ্বারা ন্যায়কে কালিমালিপ্ত করেছে সুতারাং সেদিন তারা পবিত্রতার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হবে। আর একটি তুলনা হতে পারে এই যে, যারা পৃথিবীর জীবনে নগন্য ও বিনয়ী; পৃথিবীর জীবন তাদের জন্য ধূলায় ধূসরিত বস্তুর ন্যায় ধূসর ও বিবর্ণ অপরপক্ষে পাপীদের পার্থিব জীবন হচ্ছে সূর্যের আলোর ন্যায় ঔজ্জ্বল্যে ভরা। কিন্তু বিচার দিবসে এই চিত্র যাবে সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবে পাল্টে।

 

আয়াতঃ 080.041

তাদেরকে কালিমা আচ্ছন্ন করে রাখবে।
Darkness will cover them,

تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ
Tarhaquha qataratun

YUSUFALI: Blackness will cover them:
PICKTHAL: Veiled in darkness,
SHAKIR: Darkness shall cover them.
KHALIFA: Overwhelmed by remorse.

৩৮। কিছু মুখ সেদিন হবে উজ্জ্বল দীপ্তিময়,

৩৯। হাসিখুশী ও আনন্দময়।

৪০। এবং সেদিন অন্য মুখ হবে ধূলো ধূসরিত ৫৯৬৮;

৪১। তাদের আচ্ছন্ন করবে কালিমা।

৪২। এরূপই হবে আল্লাহকে প্রত্যাখানকারী ও পাপীদের অবস্থা।

৫৯৬৮। এখানে পাপীদের বাহ্যিক বিবরণ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে তাদের মুখমন্ডল হবে ধূলিধূসর ও কালিমাতে আচ্ছন্ন। পূণ্যাত্মাদের উজ্জ্বল মুখমন্ডলের বিপরীতে পাপীদের ধূলায় ধূসরিত মুখমন্ডলকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার পূণ্যাত্মাদের হাস্যজ্জ্বল প্রফুল্ল মুখমন্ডলের বিপরীতে পাপীদের কালিমাতে আচ্ছন্ন মুখমন্ডলকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার অন্য ভাবে বলা যায় যে, পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র বিধানসমূহ অস্বীকার করার ফলে পাপীদের মানসিক দক্ষতা সমূহ [ যেমন সত্যকে দেখার ক্ষমতা, শোনার ক্ষমতা, বলার ক্ষমতা ] শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় চাপা পড়ে যায়, ধূলি ধূসরিত হয়ে কোন জিনিষ চাপা পড়ার ন্যায়। পৃথিবীতে পাপীরা অন্যায় দ্বারা ন্যায়কে কালিমালিপ্ত করেছে সুতারাং সেদিন তারা পবিত্রতার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হবে। আর একটি তুলনা হতে পারে এই যে, যারা পৃথিবীর জীবনে নগন্য ও বিনয়ী; পৃথিবীর জীবন তাদের জন্য ধূলায় ধূসরিত বস্তুর ন্যায় ধূসর ও বিবর্ণ অপরপক্ষে পাপীদের পার্থিব জীবন হচ্ছে সূর্যের আলোর ন্যায় ঔজ্জ্বল্যে ভরা। কিন্তু বিচার দিবসে এই চিত্র যাবে সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবে পাল্টে।

 

আয়াতঃ 080.042

তারাই কাফের পাপিষ্ঠের দল।
Such will be the Kafarah (disbelievers in Allâh, in His Oneness, and in His Messenger Muhammad (Peace be upon him), etc.), the Fajarah (wicked evil doers).

أُوْلَئِكَ هُمُ الْكَفَرَةُ الْفَجَرَةُ
Ola-ika humu alkafaratu alfajaratu

YUSUFALI: Such will be the Rejecters of Allah, the doers of iniquity.
PICKTHAL: Those are the disbelievers, the wicked.
SHAKIR: These are they who are unbelievers, the wicked.
KHALIFA: These are the wicked disbelievers.

৩৮। কিছু মুখ সেদিন হবে উজ্জ্বল দীপ্তিময়,

৩৯। হাসিখুশী ও আনন্দময়।

৪০। এবং সেদিন অন্য মুখ হবে ধূলো ধূসরিত ৫৯৬৮;

৪১। তাদের আচ্ছন্ন করবে কালিমা।

৪২। এরূপই হবে আল্লাহকে প্রত্যাখানকারী ও পাপীদের অবস্থা।

৫৯৬৮। এখানে পাপীদের বাহ্যিক বিবরণ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে তাদের মুখমন্ডল হবে ধূলিধূসর ও কালিমাতে আচ্ছন্ন। পূণ্যাত্মাদের উজ্জ্বল মুখমন্ডলের বিপরীতে পাপীদের ধূলায় ধূসরিত মুখমন্ডলকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার পূণ্যাত্মাদের হাস্যজ্জ্বল প্রফুল্ল মুখমন্ডলের বিপরীতে পাপীদের কালিমাতে আচ্ছন্ন মুখমন্ডলকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার অন্য ভাবে বলা যায় যে, পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র বিধানসমূহ অস্বীকার করার ফলে পাপীদের মানসিক দক্ষতা সমূহ [ যেমন সত্যকে দেখার ক্ষমতা, শোনার ক্ষমতা, বলার ক্ষমতা ] শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় চাপা পড়ে যায়, ধূলি ধূসরিত হয়ে কোন জিনিষ চাপা পড়ার ন্যায়। পৃথিবীতে পাপীরা অন্যায় দ্বারা ন্যায়কে কালিমালিপ্ত করেছে সুতারাং সেদিন তারা পবিত্রতার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হবে। আর একটি তুলনা হতে পারে এই যে, যারা পৃথিবীর জীবনে নগন্য ও বিনয়ী; পৃথিবীর জীবন তাদের জন্য ধূলায় ধূসরিত বস্তুর ন্যায় ধূসর ও বিবর্ণ অপরপক্ষে পাপীদের পার্থিব জীবন হচ্ছে সূর্যের আলোর ন্যায় ঔজ্জ্বল্যে ভরা। কিন্তু বিচার দিবসে এই চিত্র যাবে সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবে পাল্টে।

Exit mobile version