Site icon BnBoi.Com

সূরা দাহর বাংলা

সূরা দাহর

সূরা দাহর

 

আয়াতঃ 076.001

মানুষের উপর এমন কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না।
Has there not been over man a period of time, when he was nothing to be mentioned?

هَلْ أَتَى عَلَى الْإِنسَانِ حِينٌ مِّنَ الدَّهْرِ لَمْ يَكُن شَيْئًا مَّذْكُورًا
Hal ata AAala al-insani heenun mina alddahri lam yakun shay-an mathkooran

YUSUFALI: Has there not been over Man a long period of Time, when he was nothing – (not even) mentioned?
PICKTHAL: Hath there come upon man (ever) any period of time in which he was a thing unremembered?
SHAKIR: There surely came over man a period of time when he was a thing not worth mentioning.
KHALIFA: Is it not a fact that there was a time when the human being was nothing to be mentioned?

১। কালের প্রবাহে মানুষের জন্য এমন এক সময় কি ছিলো না যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিলো না ৫৮৩০, ৫৮৩১ ?

৫৮৩০। ‘দহর ‘ বা কাল প্রবাহ যার অর্থ হচ্ছে আদি ও অন্তহীন সময়ের ধারণা।

৫৮৩১। এ কথা সত্য যে মানুষের পৃথিবীতে আগমনের বহু পূর্বেই এই বিশ্বভূবনের সৃষ্টি হয়েছে। ভূতাত্বিক গবেষণায় এ কথার সত্যতা প্রমাণ করে। দেখুন সূরা [ ২ : ৩০- ৩১ ] আয়াত যেখানে বর্ণনা করা হয়েছে মানুষ সৃষ্টির পূর্বাভাষ। ” স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বলিলেন, ” আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি”, তারা বললো, ” আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে অশান্তি ঘটাবে ও রক্তপাত করবে ? আমরাই তো আপনার সপ্রশংস স্তুতিগান ও পবিত্রতা ঘোষণা করি।” ফেরেশতাদের এই বক্তব্য থেকে এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে মানুষের পৃথিবীতে আগমনের পূর্বেও পৃথিবীতে এমন সব প্রাণী বিদ্যমান ছিলো যারা অশান্তি ও রক্তপাত ঘটাতো। কারণ অনাগত মানুষের ভবিষ্যত দেখার ক্ষমতা ফেরেশতাদের ছিলো না, পৃথিবীতে সে সময়ে যারা [ ডাইনোসর ] অবস্থান করছিলো তাদেরই প্রেক্ষাপটে মানুষ সৃষ্টি সম্বন্ধে ফেরেশতারা উপরিউক্ত উক্তি প্রয়োগ করে। বিজ্ঞান বলে মানুষ সৃষ্টির বহু পূর্ব থেকেই পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিলো।

 

আয়াতঃ 076.002

আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, এভাবে যে, তাকে পরীক্ষা করব অতঃপর তাকে করে দিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন।
Verily, We have created man from Nutfah drops of mixed semen (discharge of man and woman), in order to try him, so We made him hearer, seer.

إِنَّا خَلَقْنَا الْإِنسَانَ مِن نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَّبْتَلِيهِ فَجَعَلْنَاهُ سَمِيعًا بَصِيرًا
Inna khalaqna al-insana min nutfatin amshajin nabtaleehi fajaAAalnahu sameeAAan baseeran

YUSUFALI: Verily We created Man from a drop of mingled sperm, in order to try him: So We gave him (the gifts), of Hearing and Sight.
PICKTHAL: Lo! We create man from a drop of thickened fluid to test him; so We make him hearing, knowing.
SHAKIR: Surely We have created man from a small life-germ uniting (itself): We mean to try him, so We have made him hearing, seeing.
KHALIFA: We created the human from a liquid mixture, from two parents, in order to test him. Thus, we made him a hearer and a seer.

২। আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি একবিন্দু মিলিত শুক্রবিন্দু থেকে, যেনো তাকে আমি পরীক্ষা করতে পারি। সুতারাং আমি তাকে দান করেছিলাম শোনার ও দেখার ক্ষমতা। ৫৮৩২

৫৮৩২। ‘ মিলিত শুক্র বিন্দু ‘ – নূতন প্রাণ সৃষ্টির পূর্বে ডিম্ব কোষকে শুক্রনুদ্বারা নিষিক্ত হওয়া প্রয়োজন। এ কথা বিশ্বের সকল প্রাণীর জন্য যেরূপ প্রযোজ্য, মানুষের জন্যও সমভাবে প্রযোজ্য। তবে মানুষের বেলায় পার্থক্য হচ্ছে, মানুষের এই নশ্বর দেহ ধারণ করে অতীন্দ্রিয় আত্মা, যার ফলে তাঁকে দান করা হয়েছে কতকগুলি মানসিক দক্ষতা যা ঐশ্বরিক গুণাবলী ধারণ করতে সক্ষম। যে কোন নির্দ্দেশ সে গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে [ যা প্রকাশ করা হয়েছে শ্রবণশক্তি দ্বারা ]। মানুষের আছে বুদ্ধিমত্তা এবং আধ্যাত্মিক অর্ন্তদৃষ্টি ও বিবেক [যা প্রকাশ করা হয়েছে দৃষ্টি শক্তি দ্বারা ]। এ ভাবেই মানুষকে সৃষ্টির অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করা হয়েছে।

মানুষকে দান করা হয়েছে ” সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি “। এসব মানসিক দক্ষতার কারণেই সে পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র প্রতিনিধি [ ২ : ৩০ ]। আল্লাহ্‌র দেয়া এই সব মানসিক ক্ষমতার সে সঠিক সদ্ব্যবহার করেছে কি না সেই জবাবদিহিতাই হবে মানুষের মনুষ্য জন্মের প্রধান সমস্যা। সুতারাং তাঁকে আল্লাহ্‌ যেমন পথের দিক্‌নির্দ্দেশনা দান করবেন, ঠিক সেরূপ ভাবে পরীক্ষাও করে নেবেন।

 

আয়াতঃ 076.003

আমি তাকে পথ দেখিয়ে দিয়েছি। এখন সে হয় কৃতজ্ঞ হয়, না হয় অকৃতজ্ঞ হয়।
Verily, We showed him the way, whether he be grateful or ungrateful.

إِنَّا هَدَيْنَاهُ السَّبِيلَ إِمَّا شَاكِرًا وَإِمَّا كَفُورًا
Inna hadaynahu alssabeela imma shakiran wa-imma kafooran

YUSUFALI: We showed him the Way: whether he be grateful or ungrateful (rests on his will).
PICKTHAL: Lo! We have shown him the way, whether he be grateful or disbelieving.
SHAKIR: Surely We have shown him the way: he may be thankful or unthankful.
KHALIFA: We showed him the two paths, then he is either appreciative, or unappreciative.

৩। আমি তাকে পথের নির্দ্দেশ দেখিয়েছিলাম, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় অকৃতজ্ঞ হবে [ যা হবে তার ইচ্ছার উপরে নির্ভরশীল ] ৫৮৩৩

৫৮৩৩। আল্লাহ্‌ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন বিশেষ মানসিক দক্ষতা দ্বারা। সঠিক ব্যবহারের ফলে এ সব মানসিক দক্ষতা সমূহ ঐশ্বরিক গুণাবলী আত্মার মাঝে ধারণ করতে সক্ষম হয়। শুধু তাই-ই নয়, এ সব দক্ষতাকে সঠিক পথে প্রয়োগের জন্য পথ নির্দ্দেশ দান করেছেন প্রত্যাদেশের মাধ্যমে এবং পথের দিশারী হিসেবে নবী রসুলদের প্রেরণ করেছেfন। যদি মানুষ কৃতজ্ঞ হয়, তবে সে আল্লাহ্‌র নির্দ্দেশিত পথকে গ্রহণ করে নিজেকে মোমেন বান্দারূপে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং পূণ্যাত্মাদের অন্তর্ভূক্ত হবে। যদি সে কৃতজ্ঞ না হয় তবে সে আল্লাহ্‌র নির্দ্দেশিত পথকে পরিত্যাগ করবে। যার ফলে তার সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অপব্যবহারের ফলে সে ন্যায়কে ত্যাগ করে অন্যায়কে গ্রহণ করবে, সত্য ও ভালো তার নিকট হবে অবহেলিত এবং সে মিথ্যা ও মন্দকে জীবনে ওতপ্রেতভাবে গ্রহণ করবে। এ ভাবেই সে মিথ্যা, অন্যায় ও অসত্যের বেড়াজালে বন্দী হয়ে পড়বে। পাপের ভারে তার স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি হয়ে পড়বে নুব্জ, কুব্জ – সে হারাবে আত্মার ভালোকে গ্রহণ করার আত্মিক স্বাধীনতা। তার বিবেক হবে তমসাচ্ছন্ন যা তাকে ন্যায় ও সত্যের পথে চালিত করতে পারতো। ফলে সে দোযখের শাস্তির আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে। দেখুন পরবর্তী আয়াত। ভালো ও মন্দ কে গ্রহণ করার স্বাধীনতা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ ভাবে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির উপরে।

 

আয়াতঃ 076.004

আমি অবিশ্বাসীদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছি শিকল, বেড়ি ও প্রজ্বলিত অগ্নি।
Verily, We have prepared for the disbelievers iron chains, iron collars, and a blazing Fire.

إِنَّا أَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ سَلَاسِلَا وَأَغْلَالًا وَسَعِيرًا
Inna aAAtadna lilkafireena salasila waaghlalan wasaAAeeran

YUSUFALI: For the Rejecters we have prepared chains, yokes, and a blazing Fire.
PICKTHAL: Lo! We have prepared for disbelievers manacles and carcans and a raging fire.
SHAKIR: Surely We have prepared for the unbelievers chains and shackles and a burning fire.
KHALIFA: We prepared for the disbelievers chains, shackles, and a blazing Hell.

৪। প্রত্যাখানকারীদের জন্য আমি প্রস্তুত রেখেছি শৃঙ্খল,বেড়ি,ও লেলিহান অগ্নি। ৫৮৩৪

৫৮৩৪। দেখুন সূরা [ ১৩ : ৫ ] ; [ ৩৪ : ৩৩ ] ; [ ৪০ : ৭১ ]। এই আয়াতটি গভীর অর্থবোধক এবং প্রতীকধর্মী। পাপের পরিণাম পাপীর আত্মাতে অষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলে। পাপের কারণে সত্যের আলোর প্রদীপ বা বিবেকের আলো তার আত্মার মাঝে নির্বাপিত হয়ে যায়। ফলে সে প্রকৃত সত্যকে চিনতে পারে না। যার ফলে সে সংস্কার, অভ্যাস, কুসংস্কার, সামাজিক রীতিনীতর দাসে পরিণত হয়। একেই সে ধর্ম মনে করে। এগুলি তার বিবেককে শৃঙ্খলিত করে ফেলে – সংস্কারের জোয়াল তার আত্মাকে করে নীপিড়িত, আত্মার অবস্থান হয় শ্বাসরুদ্ধকর। ফলে আত্মার সুক্ষ অনুভূতির [fine instict ] মৃত্যু ঘটে। তার অনুভূতি হয় আবেগ তাড়িত পশুর ন্যায়। ঘৃণা-বিদ্বেষ, হিংসা, হতাশা তার সর্বসত্তাকে ঘিরে ফেলে যার থেকে সে মুক্তি পায় না। এগুলির উপমা হচ্ছে লৌহ বেড়ি। যদিও এ সব আত্মা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহের জন্য ব্যকুল হয়, তবুও সে তার পাপের জোয়াল থেকে মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হয় না। আল্লাহ্‌র অনুগ্রহের আলো, করুণাধারার, বারি একমাত্র পূণ্যাত্মাদের আত্মার মাঝেই প্রবেশ লাভ করে।

 

আয়াতঃ 076.005

নিশ্চয়ই সৎকর্মশীলরা পান করবে কাফুর মিশ্রিত পানপাত্র।
Verily, the Abrâr (pious, who fear Allâh and avoid evil), shall drink a cup (of wine) mixed with water from a spring in Paradise called Kâfûr.

إِنَّ الْأَبْرَارَ يَشْرَبُونَ مِن كَأْسٍ كَانَ مِزَاجُهَا كَافُورًا
Inna al-abrara yashraboona min ka/sin kana mizajuha kafooran

YUSUFALI: As to the Righteous, they shall drink of a Cup (of Wine) mixed with Kafur,-
PICKTHAL: Lo! the righteous shall drink of a cup whereof the mixture is of Kafur,
SHAKIR: Surely the righteous shall drink of a cup the admixture of which is camphor
KHALIFA: As for the virtuous, they will drink from cups spiced with nectar.

৫। পূণ্যাত্মারা পান করবে এমন পানীয় যাতে [ বেহেশতি ] কাফূর মিশ্রিত থাকবে, ৫৮৩৫

৬। এমন একটি প্রস্রবণ যেখান থেকে আল্লাহ্‌র ভক্ত বান্দাগণ পান করবে, এবং তা প্রবাহিত করতে পারবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

৫৮৪২। ” কাফূর ” – আক্ষরিক অর্থে এর অর্থ হচ্ছে কর্পূর। বেহেশতি শান্তির, ঝরণার এ হচ্ছে এক উপাদান। বেহেশতি পানীয় যা পবিত্র, সুস্বাদু, উপাদেয়, যাতে কাফূর মসলা যোগ করা হয়, সুগন্ধযুক্ত করার জন্য। যে পানীয় প্রমত্ততা আনায়ন করে না, বরং তা শক্তিদায়ক, সুস্বাদু স্বাস্থ্যকর ও উপযোগী। সাধারণতঃ প্রাচ্য দেশে কর্পূরকে এর সতেজ অনুভূতি ও শক্তিদায়ক উপযোগীতার জন্য ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

 

আয়াতঃ 076.006

এটা একটা ঝরণা, যা থেকে আল্লাহর বান্দাগণ পান করবে-তারা একে প্রবাহিত করবে।
A spring wherefrom the slaves of Allâh will drink, causing it to gush forth abundantly.

عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا عِبَادُ اللَّهِ يُفَجِّرُونَهَا تَفْجِيرًا
AAaynan yashrabu biha AAibadu Allahi yufajjiroonaha tafjeeran

YUSUFALI: A Fountain where the Devotees of Allah do drink, making it flow in unstinted abundance.
PICKTHAL: A spring wherefrom the slaves of Allah drink, making it gush forth abundantly,
SHAKIR: A fountain from which the servants of Allah shall drink; they make it to flow a (goodly) flowing forth.
KHALIFA: A spring that is reserved for GOD’s servants; it will gush out as they will.

৫। পূণ্যাত্মারা পান করবে এমন পানীয় যাতে [ বেহেশতি ] কাফূর মিশ্রিত থাকবে, ৫৮৩৫

৬। এমন একটি প্রস্রবণ যেখান থেকে আল্লাহ্‌র ভক্ত বান্দাগণ পান করবে, এবং তা প্রবাহিত করতে পারবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

৫৮৪২। ” কাফূর ” – আক্ষরিক অর্থে এর অর্থ হচ্ছে কর্পূর। বেহেশতি শান্তির, ঝরণার এ হচ্ছে এক উপাদান। বেহেশতি পানীয় যা পবিত্র, সুস্বাদু, উপাদেয়, যাতে কাফূর মসলা যোগ করা হয়, সুগন্ধযুক্ত করার জন্য। যে পানীয় প্রমত্ততা আনায়ন করে না, বরং তা শক্তিদায়ক, সুস্বাদু স্বাস্থ্যকর ও উপযোগী। সাধারণতঃ প্রাচ্য দেশে কর্পূরকে এর সতেজ অনুভূতি ও শক্তিদায়ক উপযোগীতার জন্য ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

 

আয়াতঃ 076.007

তারা মান্নত পূর্ণ করে এবং সেদিনকে ভয় করে, যেদিনের অনিষ্ট হবে সুদূরপ্রসারী।
They (are those who) fulfill (their) vows, and they fear a Day whose evil will be wide-spreading.

يُوفُونَ بِالنَّذْرِ وَيَخَافُونَ يَوْمًا كَانَ شَرُّهُ مُسْتَطِيرًا
Yoofoona bialnnathri wayakhafoona yawman kana sharruhu mustateeran

YUSUFALI: They perform (their) vows, and they fear a Day whose evil flies far and wide.
PICKTHAL: (Because) they perform the vow and fear a day whereof the evil is wide-spreading,
SHAKIR: They fulfill vows and fear a day the evil of which shall be spreading far and wide.
KHALIFA: They fulfill their pledges, and reverence a day that is extremely difficult.

৭। তারা ৫৮৩৬, [ তাদের ] প্রতিজ্ঞা পালন করে এবং সেদিনকে ভয় করে ৫৮৩৭, যে দিনের অনিষ্ট ছড়িয়ে পড়বে ব্যপক ভাবে। ৫৮৩৮

৫৮৩ ৬। ‘ তারা ‘ অর্থাৎ পূণ্যাত্মাগণ। পূণাত্মাদের চেনা যাবে তাদের গুণাবলীর দ্বারা। এসব গুণাবলীর বিবরণ আছে আয়াত [ ৭ – ১০ ] পর্যন্ত। এ সব পূণ্যাত্মারা পরলোকের জীবনে সীমাহীন প্রশান্তি সুখ ভোগ করবেন যার বর্ণনা আছে আয়াতে [ ১১ – ১২ ] পর্যন্ত।

৫৮৩৭। দেখুন [ ২২ : ২৯ ] আয়াত। এই আয়াত দ্বারা যে সব কর্তব্যকে বুঝানো হয়েছে তা হচ্ছে আধ্যাত্মিক কর্তব্য বা আল্লাহ্‌র প্রতি মানুষের কর্তব্য। পরবর্তী আয়াতে এই কর্তব্যের রূপরেখা বর্ণনা করা হয়েছে। এসব হচ্ছে মানবতার জন্য কাজ করা অথবা মানুষের প্রতি মানুষের কর্তব্য। যারা তা করেন তারাই আল্লাহ্‌র সাথে কৃত সকল অঙ্গীকার বা ওয়াদা পালন করেন [ ৫: ১ আয়াত এবং টিকা ৬৮২ ]। এই অঙ্গীকার হচ্ছে আল্লাহ্‌র প্রতিনিধি হিসেবে, আল্লাহ্‌র সৃষ্ট জীবের প্রতি বা পৃথিবীর সকল সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসেবে মানুষের কর্তব্য। এই কর্তব্যই হচ্ছে মানুষের অঙ্গীকার আল্লাহ্‌র সাথে।

৫৮৩৮। পূণ্যাত্মারা ভয় করেন শেষ বিচারের দিনের। যেদিন পার্থিব পাপের পরিণতি হবে ভয়াবহ যা চিন্তার অতীত। এবং যেদিন পার্থিব সকল কাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে।

 

আয়াতঃ 076.008

তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে।
And they give food, inspite of their love for it (or for the love of Him), to Miskin (poor), the orphan, and the captive,

وَيُطْعِمُونَ الطَّعَامَ عَلَى حُبِّهِ مِسْكِينًا وَيَتِيمًا وَأَسِيرًا
WayutAAimona alttaAAama AAala hubbihi miskeenan wayateeman waaseeran

YUSUFALI: And they feed, for the love of Allah, the indigent, the orphan, and the captive,-
PICKTHAL: And feed with food the needy wretch, the orphan and the prisoner, for love of Him,
SHAKIR: And they give food out of love for Him to the poor and the orphan and the captive:
KHALIFA: They donate their favorite food to the poor, the orphan, and the captive.

৮। আল্লাহ্‌র প্রতি ভালোবাসা [ প্রকাশের জন্য ] তারা অভাবগ্রস্থ,এতিম, এবং বন্দীদের আহার করায় ৫৮৩৯।

৫৮৩৯। ‘বন্দী’ শব্দটি দ্বারা সে যুগের যুদ্ধবন্দীদের বুঝানো হয়েছে। ইসলাম পূর্ব যুগে ও ইসলামের যুগে যুদ্ধ বন্দীদের নিজেদের খাদ্যের সংস্থান নিজেদেরই করতে হতো এবং নিজেদের মুক্তিপণ নিজেদেরই সংগ্রহ করতে হতো। এমন কি সাধারণ অপরাধী যারা জেলখানাতে থাকতো, তাদেরও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করতো তাদের আত্মীয় স্বজন বা বন্ধু বান্ধব অথবা বন্দীদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে সেই খরচ বহন করা হতো। তবে ‘বন্দী’ শব্দটি সংকীর্ণাথে ব্যবহার না করে ব্যপক অর্থে ব্যবহার করা প্রয়োজন।

মানুষ শুধু যে কারাগারেই বন্দী থাকে তা সত্য নয়। বন্দী এই শব্দটি প্রতীকধর্মী যা বৃহত্তর মানবগোষ্ঠির জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। যেমন আধ্যাত্মিক ভাবে বন্দী যাদের নৈতিক বা আধ্যাত্মিক মুক্তি ঘটে নাই। কিন্তু যারা মুক্তির জন্য ব্যকুল। এরূপ ক্ষেত্রে পূণ্যাত্মাদের দায়িত্ব তাদের আত্মিক মুক্তির জন্য সাহায্য করা। ‘বন্দী’ শব্দটি ব্যপক অর্থে মূক প্রাণীজগতকেও বুঝানো যায় যারা মানুষের দয়ার উপরে নির্ভরশীল। এরূপক্ষেত্রে এদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব মানুষের। এ ভাবেই প্রকৃতিকে সংরক্ষণের দায়িত্ব এসে যায় মানুষের উপরে। দেখুন [ ৯০ : ১৩] আয়াত ও টিকা ৬১৪০।

 

আয়াতঃ 076.009

তারা বলেঃ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।
(Saying): ”We feed you seeking Allâh’s Countenance only. We wish for no reward, nor thanks from you.

إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللَّهِ لَا نُرِيدُ مِنكُمْ جَزَاء وَلَا شُكُورًا
Innama nutAAimukum liwajhi Allahi la nureedu minkum jazaan wala shukooran

YUSUFALI: (Saying),”We feed you for the sake of Allah alone: no reward do we desire from you, nor thanks.
PICKTHAL: (Saying): We feed you, for the sake of Allah only. We wish for no reward nor thanks from you;
SHAKIR: We only feed you for Allah’s sake; we desire from you neither reward nor thanks:
KHALIFA: “We feed you for the sake of GOD; we expect no reward from you, nor thanks.

৯। [ এই বলে ], ” শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমরা তোমাদের আহার্য দান করি। তোমাদের নিকট থেকে প্রতিদান চাই না, কৃতজ্ঞতাও চাই না। ৫৮৪০

৫৮৪০। এই আয়াতের যে ভাষ্য তা দাতা কর্তৃক সরবে উচ্চারণ করার প্রয়োজন নাই। এই আয়াতের যে বক্তব্য তা হবে দাতা ব্যক্তিদের মনের কথা এবং দানের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও মানসিকতা।

 

আয়াতঃ 076.010

আমরা আমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের ভয় রাখি।
”Verily, We fear from our Lord a Day, hard and distressful, that will make the faces look horrible (from extreme dislikeness to it).”

إِنَّا نَخَافُ مِن رَّبِّنَا يَوْمًا عَبُوسًا قَمْطَرِيرًا
Inna nakhafu min rabbina yawman AAaboosan qamtareeran

YUSUFALI: “We only fear a Day of distressful Wrath from the side of our Lord.”
PICKTHAL: Lo! we fear from our Lord a day of frowning and of fate.
SHAKIR: Surely we fear from our Lord a stern, distressful day.
KHALIFA: “We fear from our Lord a day that is full of misery and trouble.”

১০। ” আমরা আমাদের প্রভুর নিকট থেকে এক বিপর্যয়কারী ক্রোধের আশংকা করি।” ৫৮৪১

৫৮৪১। এই আয়াতের যে ভয়ংকর দিনের কথা বলা হয়েছে সেই দিন হচ্ছে পাপীদের জন্য পাপের পরিণতি দিবস। তবে এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, পৃথিবীতে আমরা কেউই সম্পূর্ণ পাপমুক্ত নই। সুতারাং প্রকৃত মুক্তিলাভের জন্য আমাদের প্রয়োজন আল্লাহ্‌র ক্ষমা ও করুণা। সুতারাং পূণ্যাত্মাদের অন্তর থাকে ভয়ে ও শঙ্কায় পরিপূর্ণ। কারণ তারা জানে যে তারা সাধারণ মানুষ, সুতারাং তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্বেও তারা আল্লাহ্‌র প্রতি কর্তব্য সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে সক্ষম হন নাই। সুতারাং আল্লাহ্‌র ক্ষমা ও করুণার আশাই সর্বোচ্চ আশা এবং পাপের পরিণাম থেকে মুক্তিলাভের উপায়।

 

আয়াতঃ 076.011

অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে সেদিনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন এবং তাদেরকে দিবেন সজীবতা ও আনন্দ।
So Allâh saved them from the evil of that Day, and gave them Nadratan (a light of beauty) and joy.

فَوَقَاهُمُ اللَّهُ شَرَّ ذَلِكَ الْيَوْمِ وَلَقَّاهُمْ نَضْرَةً وَسُرُورًا
Fawaqahumu Allahu sharra thalika alyawmi walaqqahum nadratan wasurooran

YUSUFALI: But Allah will deliver them from the evil of that Day, and will shed over them a Light of Beauty and (blissful) Joy.
PICKTHAL: Therefor Allah hath warded off from them the evil of that day, and hath made them find brightness and joy;
SHAKIR: Therefore Allah win guard them from the evil of that day and cause them to meet with ease and happiness;
KHALIFA: Consequently, GOD protects them from the evils of that day, and rewards them with joy and contentment.

১১। কিন্তু আল্লাহ্‌ তাদের রক্ষা করবেন সেদিনের অনিষ্ট থেকে, এবং তাদের উপরে বর্ষণ করবেন, সৌন্দর্যের আলো ৫৮৪২, এবং [ নির্মল ] আনন্দ।

৫৮৪২। দেখুন [ ৭৫ : ২২ – ২৩ ] আয়াত।

 

আয়াতঃ 076.012

এবং তাদের সবরের প্রতিদানে তাদেরকে দিবেন জান্নাত ও রেশমী পোশাক।
And their recompense shall be Paradise, and silken garments, because they were patient.

وَجَزَاهُم بِمَا صَبَرُوا جَنَّةً وَحَرِيرًا
Wajazahum bima sabaroo jannatan wahareeran

YUSUFALI: And because they were patient and constant, He will reward them with a Garden and (garments of) silk.
PICKTHAL: And hath awarded them for all that they endured, a Garden and silk attire;
SHAKIR: And reward them, because they were patient, with garden and silk,
KHALIFA: He rewards them for their steadfastness with Paradise, and silk.

১২। এবং যেহেতু তারা ধৈর্য্যশীল এবং দৃঢ়চেতা, তিনি তাদের পুরস্কৃত করবেন উদ্যান ও রেশমের বস্ত্র দ্বারা ৫৮৪৩।

৫৮৪৩। দেখুন [ ২২ : ২৩ ] আয়াত।

 

আয়াতঃ 076.013

তারা সেখানে সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। সেখানে রৌদ্র ও শৈত্য অনুভব করবে না।
Reclining therein on raised thrones, they will see there neither the excessive heat of the sun, nor the excessive bitter cold, (as in Paradise there is no sun and no moon).

مُتَّكِئِينَ فِيهَا عَلَى الْأَرَائِكِ لَا يَرَوْنَ فِيهَا شَمْسًا وَلَا زَمْهَرِيرًا
Muttaki-eena feeha AAala al-ara-iki la yarawna feeha shamsan wala zamhareeran

YUSUFALI: Reclining in the (Garden) on raised thrones, they will see there neither the sun’s (excessive heat) nor (the moon’s) excessive cold.
PICKTHAL: Reclining therein upon couches, they will find there neither (heat of) a sun nor bitter cold.
SHAKIR: Reclining therein on raised couches, they shall find therein neither (the severe heat of) the sun nor intense cold.
KHALIFA: They relax therein on luxurious furnishings. They suffer neither the heat of the sun, nor any cold.

১৩। [ সেখানে ] তারা হেলান দিয়ে সমাসীন হবে উচ্চ সিংহাসনে, ৫৮৪৪ সেখানে তারা সূর্যের [ প্রখর তাপ ] দেখতে পাবে না, তীব্র শীতও অনুভব করবে না। ৫৮৪৫

৫৮৪৪। দেখুন [ ১৮ : ৩১ ] আয়াত।

৫৮৪৫। পরলোকের অভিজ্ঞতা পৃথিবীর জীবন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। কারণ সে পৃথিবী হবে সম্পূর্ণ নূতন পৃথিবী যার সাথে আমাদের এই চেনা জানা পৃথিবীর কোনও সামঞ্জস্যই থাকবে না। দৈহিক আরামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পরিবেশের তাপমাত্রা। দেহ অত্যাধিক উষ্ণতা বা শীতলতা কোনটাই সহ্য করার ক্ষমতা রাখে না। আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য যে তাপমাত্রা সুখপ্রদ সেটাতেই আমরা আরাম পাই। এই সুখের অনুভূতিকেই এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

আয়াতঃ 076.014

তার বৃক্ষছায়া তাদের উপর ঝুঁকে থাকবে এবং তার ফলসমূহ তাদের আয়ত্তাধীন রাখা হবে।
And the shade thereof is close upon them, and the bunches of fruit thereof will hang low within their reach.

وَدَانِيَةً عَلَيْهِمْ ظِلَالُهَا وَذُلِّلَتْ قُطُوفُهَا تَذْلِيلًا
Wadaniyatan AAalayhim thilaluha wathullilat qutoofuha tathleelan

YUSUFALI: And the shades of the (Garden) will come low over them, and the bunches (of fruit), there, will hang low in humility.
PICKTHAL: The shade thereof is close upon them and the clustered fruits thereof bow down.
SHAKIR: And close down upon them (shall be) its shadows, and its fruits shall be made near (to them), being easy to reach.
KHALIFA: The shade covers them therein, and the fruits are brought within reach.

১৪। তাদের উপরে নীচু হয়ে থাকবে [ বৃক্ষের সুশীতল ] ছায়া এবং গুচ্ছ গুচ্ছ ফল অবনত হয়ে ঝুলে থাকবে। ৫৮৪৬

৫৮৪৬। বৃক্ষের ছায়া ও ফলমূল দ্বারা আরাম আয়েশের অনুভূতিকে বুঝানো হয়েছে। এসব বর্ণনার মাধ্যমে ইন্দ্রিয়গত সুখের অনুভূতিকেই বুঝানো হয়েছে।

 

আয়াতঃ 076.015

তাদেরকে পরিবেশন করা হবে রূপার পাত্রে এবং স্ফটিকের মত পানপাত্রে।
And amongst them will be passed round vessels of silver and cups of crystal,

وَيُطَافُ عَلَيْهِم بِآنِيَةٍ مِّن فِضَّةٍ وَأَكْوَابٍ كَانَتْ قَوَارِيرَا
Wayutafu AAalayhim bi-aniyatin min fiddatin waakwabin kanat qawareera

YUSUFALI: And amongst them will be passed round vessels of silver and goblets of crystal,-
PICKTHAL: Goblets of silver are brought round for them, and beakers (as) of glass
SHAKIR: And there shall be made to go round about them vessels of silver and goblets which are of glass,
KHALIFA: They are served drinks in silver containers and cups that are translucent.

১৫। তাদের পরিবেশন করা হবে, রূপার পাত্রে, এবং স্ফটিকের পানপাত্রে, – ৫৮৪৭

৫৮৪৭। দেখুন [ ৪৩ : ৭১ ] আয়াত। যেখানে বলা হয়েছে, ” তাদের পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পানপাত্রে।” এ সব বর্ণনা দ্বারা মহার্যতা, দুষ্প্রাপ্যতা, ও নিখাঁদ উজ্জ্বলতা প্রকাশ করা হয়েছে, যার কল্পনা করা পৃথিবীতে সম্ভব নয়।

 

আয়াতঃ 076.016

রূপালী স্ফটিক পাত্রে, পরিবেশনকারীরা তা পরিমাপ করে পূর্ণ করবে।
Crystal-clear, made of silver. They will determine the measure thereof according to their wishes.

قَوَارِيرَ مِن فِضَّةٍ قَدَّرُوهَا تَقْدِيرًا
Qawareera min fiddatin qaddarooha taqdeeran

YUSUFALI: Crystal-clear, made of silver: they will determine the measure thereof (according to their wishes).
PICKTHAL: (Bright as) glass but (made) of silver, which they (themselves) have measured to the measure (of their deeds).
SHAKIR: (Transparent as) glass, made of silver; they have measured them according to a measure.
KHALIFA: Translucent cups, though made of silver; they rightly deserved all this.

১৬। [ এবং ] স্ফটিকের ন্যায় স্বচ্ছ রৌপ্য পাত্রে। [ তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ] তারা তার পরিমাণ নির্ধারণ করবে। ৫৮৪৮

৫৮৪৮। রৌপ্যের ঔজ্জ্বল্য যা শ্বেত শুভ্র ও স্ফটিকের ন্যায় আলোক বিকিরণকারী পাত্র।

 

আয়াতঃ 076.017

তাদেরকে সেখানে পান করানো হবে ‘যানজাবীল’ মিশ্রিত পানপাত্র।
And they will be given to drink there a cup (of wine) mixed with Zanjabîl (ginger, etc.),

وَيُسْقَوْنَ فِيهَا كَأْسًا كَانَ مِزَاجُهَا زَنجَبِيلًا
Wayusqawna feeha ka/san kana mizajuha zanjabeelan

YUSUFALI: And they will be given to drink there of a Cup (of Wine) mixed with Zanjabil,-
PICKTHAL: There are they watered with a cup whereof the mixture is of Zanjabil,
SHAKIR: And they shall be made to drink therein a cup the admixture of which shall be ginger,
KHALIFA: They enjoy drinks of delicious flavors.

১৭। এবং তাদের পান করতে দেয়া হবে যান্‌জাবীল মিশ্রিত পানীয় – ৫৮৪৯

৫৮৪৯। উপরের [ ৭৬ : ৫ – ৬ ] নং‌ আয়াতে এবং ৫৮৩৫ টিকাতে ‘Kufur’ মিশ্রিত পানীয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ‘Kufur’ কে বলা হয়েছে পানীয়ের শীতলতা ও পানে সজীবতা উৎপাদনের ক্ষমতাকে বুঝানোর জন্য। এই পানীয় দেয়া হবে সেই সব পূণ্যাত্মাদের যাদের বিচারসভার শেষ বিচার কেবলমাত্র শেষ হয়েছে। এটা হবে পূণ্যাত্মাদের বেহেশতে প্রবেশের প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপ বর্ণনা করা হয়েছে [ ১২ – ১৪ ] আয়াতে, যখন তারা বেহেশতের উদ্যানে প্রবেশ করবেন সিল্কের পোষাকে পরিধান করে এবং দেখতে পাবেন যে পৃথিবীতে তাদের বিনয়ী চরিত্রের জন্য পরলোকে তাদের উচ্চ সম্মান দান করা হয়েছে নূতন পৃথিবীতে। তৃতীয় ধাপ বর্ণনা করা হয়েছে [ ১৫ – ২১ ] আয়াতে। তৃতীয় ধাপে তারা সিল্কের এবং ব্রোকেডের পোষাক অর্থাৎ সর্বোচ্চ দামী পোষাক পরিধান করে, রত্ন-পাথরের মুল্যবান, অলংকারে সুসজ্জিত হয়ে প্রশান্ত চিত্তে আসন গ্রহণ করবেন এবং ভোজের সামগ্রীর জন্য আদেশ দান করবেন এবং সেই সাথে থাকবে Zanjabil পানীয়। এই শব্দটির আক্ষরিক অর্থ আদা। প্রাচ্যে ঔষধে আদার ব্যবহার প্রচলিত। উপরের বর্ণনাটি রাজকীয় ভোজসভার দৃশ্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

 

আয়াতঃ 076.018

এটা জান্নাতস্থিত ‘সালসাবীল’ নামক একটি ঝরণা।
A spring there, called Salsabîl.

عَيْنًا فِيهَا تُسَمَّى سَلْسَبِيلًا
AAaynan feeha tusamma salsabeelan

YUSUFALI: A fountain there, called Salsabil.
PICKTHAL: (The water of) a spring therein, named Salsabil.
SHAKIR: (Of) a fountain therein which is named Salsabil.
KHALIFA: From a spring therein known as “Salsabeel.”

১৮। সালসাবীল নামক প্রস্রবণ থেকে ৫৮৫০।

৫৮৫০। ‘Salsabil’ – বেহেশতের একটি ঝরণা।

 

আয়াতঃ 076.019

তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোরগণ। আপনি তাদেরকে দেখে মনে করবেন যেন বিক্ষিপ্ত মনি-মুক্তা।
And round about them will (serve) boys of everlasting youth. If you see them, you would think them scattered pearls.

وَيَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُّخَلَّدُونَ إِذَا رَأَيْتَهُمْ حَسِبْتَهُمْ لُؤْلُؤًا مَّنثُورًا
Wayatoofu AAalayhim wildanun mukhalladoona itha raaytahum hasibtahum lu/lu-an manthooran

YUSUFALI: And round about them will (serve) youths of perpetual (freshness): If thou seest them, thou wouldst think them scattered Pearls.
PICKTHAL: There wait on them immortal youths, whom, when thou seest, thou wouldst take for scattered pearls.
SHAKIR: And round about them shall go youths never altering in age; when you see them you will think them to be scattered pearls.
KHALIFA: Serving them will be immortal servants. When you see them, they will look like scattered pearls.

১৯। তাদের ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করবে চিরকিশোরগণ ৫৮৫১। যখন তুমি তাদের দেখবে, তখন তোমার মনে হবে যে, ওরা যেনো ছড়ানো মুক্তা সদৃশ্য ৫৮৫২।

৫৮৫১। দেখুন [ ৫৬ : ১৭ ] আয়াত এবং টিকা ৫২৩১।

৫৮৫২। “ছড়ানো মুক্তা” – মুক্তাকে উপমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সৌন্দর্য্যের ঔজ্জ্বলতাকে প্রকাশ করার জন্য। বিক্ষিপ্ত কারণ তারা সর্বদা চলাচল করছেন।

 

আয়াতঃ 076.020

আপনি যখন সেখানে দেখবেন, তখন নেয়ামতরাজি ও বিশাল রাজ্য দেখতে পাবেন।
And when you look there (in Paradise), you will see a delight (that cannot be imagined), and a great dominion.

وَإِذَا رَأَيْتَ ثَمَّ رَأَيْتَ نَعِيمًا وَمُلْكًا كَبِيرًا
Wa-itha raayta thamma raayta naAAeeman wamulkan kabeeran

YUSUFALI: And when thou lookest, it is there thou wilt see a Bliss and a Realm Magnificent.
PICKTHAL: When thou seest, thou wilt see there bliss and high estate.
SHAKIR: And when you see there, you shall see blessings and a great kingdom.
KHALIFA: Wherever you look, you will see bliss, and a wonderful dominion.

২০। এবং যখন তুমি সেখানে দৃষ্টি দেবে, তুমি দেখতে পাবে প্রশান্তি ও আড়ম্বরের রাজত্ব।

২১। তাদের পোষাক হবে সুক্ষ সবুজ রংএর রেশমের এবং ভারী ব্রকেডের এবং তাদের সজ্জিত করা হবে রূপার কংকন দ্বারা ৫৮৫৩। আর তাদের প্রভু তাদের পান করতে দেবেন বিশুদ্ধ ও পবিত্র মদিরা ৫৮৫৪।

৫৮৫৩। দেখুন [ ১৮: ৩১ ] আয়াত যেখানে অলংকার বলা হয়েছে স্বর্ণনির্মিত।

৫৮৫৪। ” পান করতে দেবেন বিশুদ্ধ ও পবিত্র মদিরা।” – এই বাক্যটি দ্বারা পূণ্যাত্মাদের জন্য সম্মানের সর্বোচ্চ সীমাকে প্রকাশ করা হয়েছে। যে ঐশ্বরিক ভোজসভার বর্ণনা পূর্বে করা হয়েছে, সেই ভোজসভায় রাজকীয় সম্মানের সর্বোচ্চ প্রকাশ ঘটে এই পানীয় দ্বারা। পরের আয়াতের বক্তব্যে প্রকাশ করা হয়েছে যে, আল্লাহ্‌ এ সব অতিথিদের কর্ম প্রচেষ্টাকে স্বীকৃত দান করবেন এবং পুরষ্কার হিসেবে বেহেশতের নাগরিকত্ব দান করবেন।

 

আয়াতঃ 076.021

তাদের আবরণ হবে চিকন সবুজ রেশম ও মোটা সবুজ রেশম এবং তাদেরকে পরিধান করোনো হবে রৌপ্য নির্মিত কংকণ এবং তাদের পালনকর্তা তাদেরকে পান করাবেন ‘শরাবান-তহুরা’।
Their garments will be of fine green silk, and gold embroidery. They will be adorned with bracelets of silver, and their Lord will give them a pure drink.

عَالِيَهُمْ ثِيَابُ سُندُسٍ خُضْرٌ وَإِسْتَبْرَقٌ وَحُلُّوا أَسَاوِرَ مِن فِضَّةٍ وَسَقَاهُمْ رَبُّهُمْ شَرَابًا طَهُورًا
AAaliyahum thiyabu sundusin khudrun wa-istabraqun wahulloo asawira min fiddatin wasaqahum rabbuhum sharaban tahooran

YUSUFALI: Upon them will be green Garments of fine silk and heavy brocade, and they will be adorned with Bracelets of silver; and their Lord will give to them to drink of a Wine Pure and Holy.
PICKTHAL: Their raiment will be fine green silk and gold embroidery. Bracelets of silver will they wear. Their Lord will slake their thirst with a pure drink.
SHAKIR: Upon them shall be garments of fine green silk and thick silk interwoven with gold, and they shall be adorned with bracelets of silver, and their Lord shall make them drink a pure drink.
KHALIFA: On them will be clothes of green velvet, satin, and silver ornaments. Their Lord will provide them with pure drinks.

২০। এবং যখন তুমি সেখানে দৃষ্টি দেবে, তুমি দেখতে পাবে প্রশান্তি ও আড়ম্বরের রাজত্ব।

২১। তাদের পোষাক হবে সুক্ষ সবুজ রংএর রেশমের এবং ভারী ব্রকেডের এবং তাদের সজ্জিত করা হবে রূপার কংকন দ্বারা ৫৮৫৩। আর তাদের প্রভু তাদের পান করতে দেবেন বিশুদ্ধ ও পবিত্র মদিরা ৫৮৫৪।

৫৮৫৩। দেখুন [ ১৮: ৩১ ] আয়াত যেখানে অলংকার বলা হয়েছে স্বর্ণনির্মিত।

৫৮৫৪। ” পান করতে দেবেন বিশুদ্ধ ও পবিত্র মদিরা।” – এই বাক্যটি দ্বারা পূণ্যাত্মাদের জন্য সম্মানের সর্বোচ্চ সীমাকে প্রকাশ করা হয়েছে। যে ঐশ্বরিক ভোজসভার বর্ণনা পূর্বে করা হয়েছে, সেই ভোজসভায় রাজকীয় সম্মানের সর্বোচ্চ প্রকাশ ঘটে এই পানীয় দ্বারা। পরের আয়াতের বক্তব্যে প্রকাশ করা হয়েছে যে, আল্লাহ্‌ এ সব অতিথিদের কর্ম প্রচেষ্টাকে স্বীকৃত দান করবেন এবং পুরষ্কার হিসেবে বেহেশতের নাগরিকত্ব দান করবেন।

 

আয়াতঃ 076.022

এটা তোমাদের প্রতিদান। তোমাদের প্রচেষ্টা স্বীকৃতি লাভ করেছে।
(And it will be said to them): ”Verily, this is a reward for you, and your endeavour has been accepted.”

إِنَّ هَذَا كَانَ لَكُمْ جَزَاء وَكَانَ سَعْيُكُم مَّشْكُورًا
Inna hatha kana lakum jazaan wakana saAAyukum mashkooran

YUSUFALI: “Verily this is a Reward for you, and your Endeavour is accepted and recognised.”
PICKTHAL: (And it will be said unto them): Lo! this is a reward for you. Your endeavour (upon earth) hath found acceptance.
SHAKIR: Surely this is a reward for you, and your striving shall be recompensed.
KHALIFA: This is the reward that awaits you, for your efforts have been appreciated.

২২। অবশ্যই ইহা তোমাদের [ কর্মচেষ্টার ] পুরষ্কার এবং তোমাদের পরিশ্রমকে [আল্লাহ্‌ ] গ্রহণ করেছেন এবং স্বীকৃতি দিয়েছেন।

 

আয়াতঃ 076.023

আমি আপনার প্রতি পর্যায়ক্রমে কোরআন নাযিল করেছি।
Verily! It is We Who have sent down the Qur’ân to you (O Muhammad SAW) by stages.

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْقُرْآنَ تَنزِيلًا
Inna nahnu nazzalna AAalayka alqur-ana tanzeelan

YUSUFALI: It is We Who have sent down the Qur’an to thee by stages.
PICKTHAL: Lo! We, even We, have revealed unto thee the Qur’an, a revelation;
SHAKIR: Surely We Ourselves have revealed the Quran to you revealing (it) in portions.
KHALIFA: We have revealed to you this Quran; a special revelation from us.

রুকু – ২

২৩। তিনিই তোমার প্রতি কুর-আন অবতীর্ণ করেছেন ধাপে ধাপে। ৫৮৫৫

২৪। সুতারাং তোমার প্রভুর আদেশের প্রতি দৃঢ়তার সাথে ধৈর্য্যশীল হও, এবং তাদের মধ্যে যারা পাপিষ্ঠ অথবা অকৃতজ্ঞ তাদের আনুগত্য করো না।

৫৮৫৫। কোরাণ ধীরে ধীরে সুদীর্ঘ ২৩ বৎসর ব্যপী সময়ে পৃথিবীতে অবতীর্ণ করা হয়, সময়, পরিবেশ এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। এই সূরাটি যখন অবতীর্ণ হয়, তখন ছিলো ইসলামের প্রথম অবস্থা। সে সময়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীর উপরে অত্যাচার, নির্যাতন, মিথ্যা দোষারোপের ঝড় বয়ে যায়; কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে তাঁর প্রতি আরোপিত আল্লাহ্‌র কর্তব্য অবিচলিতভাবে পালন করে যান। পরের আয়াতে দেখুন নবীর প্রতি আল্লাহ্‌র নির্দ্দেশ হচ্ছে ধৈর্য্যের সাথে দৃঢ় ও অবিচলিতভাবে আল্লাহ্‌র আদেশের প্রতীক্ষ করা এবং পাপিষ্ঠদের আনুগত্য না করা। নবীর (সা) প্রতি আল্লাহ্‌র এই আদেশ আমাদের মত সাধারণ মানুষেরও জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়, সেটাই এই আয়াতের উপদেশ।

 

আয়াতঃ 076.024

অতএব, আপনি আপনার পালনকর্তার আদেশের জন্যে ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করুন এবং ওদের মধ্যকার কোন পাপিষ্ঠ কাফেরের আনুগত্য করবেন না।
Therefore be patient (O Muhammad SAW) and submit to the Command of your Lord (Allâh, by doing your duty to Him and by conveying His Message to mankind), and obey neither a sinner nor a disbeliever among them.

فَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَلَا تُطِعْ مِنْهُمْ آثِمًا أَوْ كَفُورًا
Faisbir lihukmi rabbika wala tutiAA minhum athiman aw kafooran

YUSUFALI: Therefore be patient with constancy to the Command of thy Lord, and hearken not to the sinner or the ingrate among them.
PICKTHAL: So submit patiently to thy Lord’s command, and obey not of them any guilty one or disbeliever.
SHAKIR: Therefore wait patiently for the command of your Lord, and obey not from among them a sinner or an ungrateful one.
KHALIFA: You shall steadfastly carry out your Lord’s commandments, and do not obey any sinful disbeliever among them.

রুকু – ২

২৩। তিনিই তোমার প্রতি কুর-আন অবতীর্ণ করেছেন ধাপে ধাপে। ৫৮৫৫

২৪। সুতারাং তোমার প্রভুর আদেশের প্রতি দৃঢ়তার সাথে ধৈর্য্যশীল হও, এবং তাদের মধ্যে যারা পাপিষ্ঠ অথবা অকৃতজ্ঞ তাদের আনুগত্য করো না।

৫৮৫৫। কোরাণ ধীরে ধীরে সুদীর্ঘ ২৩ বৎসর ব্যপী সময়ে পৃথিবীতে অবতীর্ণ করা হয়, সময়, পরিবেশ এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। এই সূরাটি যখন অবতীর্ণ হয়, তখন ছিলো ইসলামের প্রথম অবস্থা। সে সময়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীর উপরে অত্যাচার, নির্যাতন, মিথ্যা দোষারোপের ঝড় বয়ে যায়; কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে তাঁর প্রতি আরোপিত আল্লাহ্‌র কর্তব্য অবিচলিতভাবে পালন করে যান। পরের আয়াতে দেখুন নবীর প্রতি আল্লাহ্‌র নির্দ্দেশ হচ্ছে ধৈর্য্যের সাথে দৃঢ় ও অবিচলিতভাবে আল্লাহ্‌র আদেশের প্রতীক্ষ করা এবং পাপিষ্ঠদের আনুগত্য না করা। নবীর (সা) প্রতি আল্লাহ্‌র এই আদেশ আমাদের মত সাধারণ মানুষেরও জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়, সেটাই এই আয়াতের উপদেশ।

 

আয়াতঃ 076.025

এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপন পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন।
And remember the Name of your Lord every morning and afternoon [i.e. offering of the Morning (Fajr), Zuhr, and ’Asr prayers].

وَاذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ بُكْرَةً وَأَصِيلًا
Waothkuri isma rabbika bukratan waaseelan

YUSUFALI: And celebrate the name or thy Lord morning and evening,
PICKTHAL: Remember the name of thy Lord at morn and evening.
SHAKIR: And glorify the name of your Lord morning and evening.
KHALIFA: And commemorate the name of your Lord day and night.

২৫। এবং তোমার প্রতিপালকের নাম স্মরণ কর সকালে ও সন্ধ্যায়। ৫৮৫৬

৫৮৫৬। আল্লাহ্‌র নিকট প্রার্থনা ও আনুগত্য প্রকাশ করার তিনটি উপায় এখানে বর্ণনা করা হয়েছে : ১) সর্বদা একান্তভাবে আল্লাহ্‌র পবিত্র নাম স্মরণ করা। ২ ) রাত্রির কিয়দংশ আল্লাহ্‌র এবাদতে সিজ্‌দাতে নিমগ্ন থাকা ; ৩) রাত্রির দীর্ঘ সময় আল্লাহ্‌র মাহাত্ম্য প্রকাশ করা। ১) এই আয়াতের ‘সকাল-সন্ধ্যায় ” বাক্যটির দ্বারা সর্বদা অর্থাৎ শয়নে স্বপনে জাগরণে সর্বদা বোঝানো হয়েছে। বিশেষ ভাবে ঊষাকালে এবং গোধূলী লগ্নে পৃথিবীর আলো – আঁধারের সন্ধিক্ষণে প্রকৃতির মাঝে আসে পরিবর্তন যার প্রভাব পরিলক্ষিত হয় মানুষের আধ্যাত্মিক জগতের উপরে, মানুষের মনের উপরে। সে কারণে সকাল -সন্ধ্যার উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ্‌র নিরানব্বইটি নাম মানুষের প্রতি আল্লাহ্‌র বিশেষ রহমতের প্রকাশ। এ সবই হচ্ছে আল্লাহ্‌র রহমতের প্রতীক। আল্লাহ্‌র আরোপিত নাম সমূহের উপমা হচ্ছে একটি তালাবদ্ধ স্বর্ণ ঝাঁপি যার মাঝে আছে আল্লাহ্‌ নামের অমুল্য রত্ন সমূহ। সকলের জন্য এই ঝাঁপিকে করা হয়েছে সহজলভ্য কিন্তু এর তালা খুলে আল্লাহ্‌র নামের রত্ন আহরণ করা সকলের পক্ষে সমান সহজ নাও হতে পারে। সকলেই এই রত্নের যোগ্য নাও হতে পারে। যদি সে আল্লাহ্‌ নামের রত্নরাজি থেকে লাভবান নাও হতে পারে,তবুও সে এই রত্নের ঝাঁপি বহন করার অধিকার লাভ করবে। এমনও তো হতে পারে যে তাঁর অযোগ্যতা সত্বেও ঝাঁপির চাবি সে জীবনের কোন এক শুভ মূহুর্তে লাভ করতে পারে। ফলে তাঁর সম্মূখে আল্লাহ্‌র রহমতের নাম সমূহের গুঢ় অর্থ উম্মোচন হয়ে পড়বে এবং তার বিশ্বচরাচর ডুবে যাবে স্বর্গীয় রহমতের সমুদ্রে। সুতারাং যে শিক্ষানবীশ বা কেবলমাত্র ধর্মের পথে অগ্রসরমান হয়তো কোন শুভ মূহুর্তে সে আল্লাহ্‌র আশীর্বাদে ধন্য হতেও পারে। আল্লাহ্‌র রহমতের ধারায় আপ্লুত হয়ে, হঠাৎ আলোর বন্যার ন্যায় আধ্যাত্মিক জীবনের গুঢ় রহস্য আল্লাহ্‌ তাঁর সম্মুখে উম্মোচন করে দেবেন ফলে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য সে আত্মার মাঝে অনুভবে সক্ষম হবে। সে হবে ধন্য, ( ২ ) এবং ( ৩ ) এর জন্য দেখুন পরবর্তী টিকা।

 

আয়াতঃ 076.026

রাত্রির কিছু অংশে তাঁর উদ্দেশে সিজদা করুন এবং রাত্রির দীর্ঘ সময় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন।
And during night, prostrate yourself to Him (i.e. the offering of Maghrib and ’Ishâ’ prayers), and glorify Him a long night through (i.e. Tahajjud prayer).

وَمِنَ اللَّيْلِ فَاسْجُدْ لَهُ وَسَبِّحْهُ لَيْلًا طَوِيلًا
Wamina allayli faosjud lahu wasabbihhu laylan taweelan

YUSUFALI: And part of the night, prostrate thyself to Him; and glorify Him a long night through.
PICKTHAL: And worship Him (a portion) of the night. And glorify Him through the livelong night.
SHAKIR: And during part of the night adore Him, and give glory to Him (a) long (part of the) night.
KHALIFA: During the night, fall prostrate before Him, and glorify Him many a long night.

২৬। এবং রাত্রির কিছু অংশ তাঁর প্রতি সিজ্‌দাবনত হও এবং তাঁকে মহিমান্বিত কর রাত্রির দীর্ঘ সময় ধরে ৫৮৫৭।

৫৮৫৭। দেখুন উপরের টিকা ( ২) ‘সিজ্‌দা ‘ হচ্ছে দৈহিক বা শারীরিক ভাবে আল্লাহ্‌র নিকট বিনয়ের সাথে আনুগত্য প্রকাশ করার উপায় যা দৃশ্যমান বা চোখে দেখা যায়। এই আয়াতে বলা হয়েছে যে সিজদা করার সর্বশ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে রাত্রিকাল। সিজদা হচ্ছে দৈহিক এবাদত, যা এই নশ্বর দেহকে অতিক্রম করে আধ্যাত্মিক জগতকে আলোকিত করে থাকে। সিজদার প্রকৃষ্ট সময় হচ্ছে নিশিত রাত্রি। কারণ দিবসের কর্ম কোলাহল ও কর্মব্যস্ততা আমাদের আল্লাহ্‌র প্রতি একাগ্র ভাবকে লক্ষ্যচ্যুত করে থাকে। নিশিত রাত্রির নিঃস্তব্ধতা, যখন সারা পৃথিবী সুপ্তির কোলে ঢলে পড়ে, এই হচ্ছে একাগ্রভাবে আল্লাহ্‌র সম্মুখে দাড়াবার সময় বা বিনয়ে আপ্লুত হয়ে সেজদার সময়। কারণ এ সময়েই আত্মা রাত্রির নিঃস্তব্ধতার মাঝে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য লাভের সুযোগ লাভ করে। ৩) দিবসের ক্লান্তি রাত্রিকে ক্লান্তিকর করে তুলতে পারে না, বরং তা হয়ে উঠবে অর্থবহ আনন্দদায়ক যদি আমরা রাত্রির নিরবতাকে বিশ্বপ্রকৃতির ধ্যানমগ্নতার সাথে একাতত্বা করে অনুভব করতে পারি। দেখুন [ ৫৭ : ১ ] আয়াত যেখানে বলা হয়েছে, ” নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আসে, সবই আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করে।” বিশ্বপ্রকৃতির এবাদতের সাথে মানুষ নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারলেই তাঁর এবাদত সার্থক ও আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। “তাঁকে মহিমান্বিত কর রাত্রির দীর্ঘ সময় ধরে”।

 

আয়াতঃ 076.027

নিশ্চয় এরা পার্থিব জীবনকে ভালবাসে এবং এক কঠিন দিবসকে পশ্চাতে ফেলে রাখে।
Verily! These (disbelievers) love the present life of this world, and put behind them a heavy Day (that will be hard).

إِنَّ هَؤُلَاء يُحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ وَيَذَرُونَ وَرَاءهُمْ يَوْمًا ثَقِيلًا
Inna haola-i yuhibboona alAAajilata wayatharoona waraahum yawman thaqeelan

YUSUFALI: As to these, they love the fleeting life, and put away behind them a Day (that will be) hard.
PICKTHAL: Lo! these love fleeting life, and put behind them (the remembrance of) a grievous day.
SHAKIR: Surely these love the transitory and neglect a grievous day before them.
KHALIFA: These people are preoccupied with this fleeting life, while disregarding – just ahead of them – a heavy day.

২৭। তারা [ দুনিয়ার ] অপসৃয়মান জীবনকে ভালোবাসে, এবং পিছনে রেখে দেয় সেই কঠিন দিনকে [ যা ভবিষ্যতে আসবে ] ৫৮৫৮।

৫৮৫৮। ‘পার্থিব জীবন’ হচ্চে ক্ষণস্থায়ী জীবন। দেখুন [ ৭৫ : ২০ ] আয়াত। এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয় মক্কার মোশরেক কোরেশদের উপলক্ষ্য করে। কিন্তু এর আবেদন বিশ্বজনীন যুগ কাল অতিক্রান্ত। যুগে যুগে যারা পরলোকের জীবনে প্রকৃত বিশ্বাসী হবে না তাদের নিকট পৃথিবীর জীবনই হবে সর্বশ্রেষ্ঠ কাম্য বস্তু। পৃথিবীর ভোগ বিলাস আরাম আয়েশ হবে তাদের নিকট সর্বশ্রেষ্ঠ কাম্য। সুতারাং তারা পরলোকের জীবনের ধারণাকে প্রত্যাখান করে থাকবে।

 

আয়াতঃ 076.028

আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এবং মজবুত করেছি তাদের গঠন। আমি যখন ইচ্ছা করব, তখন তাদের পরিবর্তে তাদের অনুরূপ লোক আনব।
It is We Who created them, and We have made them of strong built. And when We will, We can replace them with others like them with a complete replacement.

نَحْنُ خَلَقْنَاهُمْ وَشَدَدْنَا أَسْرَهُمْ وَإِذَا شِئْنَا بَدَّلْنَا أَمْثَالَهُمْ تَبْدِيلًا
Nahnu khalaqnahum washadadna asrahum wa-itha shi/na baddalna amthalahum tabdeelan

YUSUFALI: It is We Who created them, and We have made their joints strong; but, when We will, We can substitute the like of them by a complete change.
PICKTHAL: We, even We, created them, and strengthened their frame. And when We will, We can replace them, bringing others like them in their stead.
SHAKIR: We created them and made firm their make, and when We please We will bring in their place the likes of them by a change.
KHALIFA: We created them, and established them, and, whenever we will, we can substitute others in their place.

২৮। আমিই তাদের সৃষ্টি করেছি, এবং তাদের গাইটগুলিকে মজবুত করেছি ৫৮৫৯ ; আমি যখন ইচ্ছা করবো, তাদের সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে তাদের অনুরূপ অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি ৫৮৬০।

৫৮৫৯। “গাইটগুলিকে মজবুত করেছি ” – আল্লাহ্‌ মানুষকে শুধু সৃষ্টিই করেন নাই, তাদের গঠনও করেছেন সুদৃঢ় বা মজবুত। অর্থাৎ তিনি তাদের দিয়েছেন প্রকৃতিকে জয় করার ক্ষমতা, শক্তি এবং সেই সাথে পাপের প্রলোভনকে জয় করার মত মনোবল এবং ন্যায় ও সত্যের পথে অবিচল থাকার মত দৃঢ়তা।

৫৮৬০। যদি কেউ বা কোন জাতি আল্লাহ্‌র করুণা, দয়া ও সদয় তত্বাবধানের পরেও ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্‌র আনুগত্য না করে, অকৃতজ্ঞের মত আল্লাহ্‌র বিধানকে প্রত্যাখান করে, তবে আল্লাহ্‌র আইন হচ্ছে সে বা তারা আল্লাহ্‌র করুণা লাভের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে, এবং আল্লাহ্‌ তাদের পরিবর্তে অন্যকে তার করুণাধারাতে সিক্ত করবেন ফলে তাঁরা হয়ে উঠবে পার্থিব জীবনে ক্ষমতাশালী। আল্লাহ্‌র সীমাহীন নেয়ামত সকলের জন্য সমভাবে বিতরণ করা হয়েছে। তবে তারাই এ থেকে উপকৃত হবে যারা আল্লাহ্‌র নেয়ামতের নৈতিক দায়ভার বহনে সম্মত হয়। এ কথা যেনো কেউ না ভাবে যে, আল্লাহ্‌র নেয়ামতকে কুক্ষিগত করা যায় বা যথেচ্ছ অপব্যবহার করা চলে। কারণ সকল নেয়ামত দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ্‌। সুতারাং যারা আল্লাহ্‌তে বিশ্বাসী ও আল্লাহ্‌র রাস্তায় কাজ করেন। যদি সমস্ত পৃথিবীও তাদের বিশ্বাসের বিপক্ষে চলে যায় তবুও তারা হতাশ বা নিরাশ হবেন না। কারণ আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করলে যে কোনও মূহুর্তে ঘটনা প্রবাহের ধারা ঘুরিয়ে দিতে পারেন। আল্লাহ্‌র ইচ্ছা হলে চরম শত্রুও পরম বন্ধুতে পরিণত হতে পারে, অথবা এক নূতন প্রজন্মের জন্ম হবে যারা আল্লাহ্‌র পতাকা বা ন্যায়ের পতাকা উড্ডীয়মান করে সমাজকে কলুষমুক্ত করবে এবং আল্লাহ্‌র ইচ্ছাকে জয়যুক্ত করবে। আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ও পরিকল্পনা সকলের অগোচরে নিরবে নিভৃতে কাজ করে চলে।

 

আয়াতঃ 076.029

এটা উপদেশ, অতএব যার ইচ্ছা হয় সে তার পালনকর্তার পথ অবলম্বন করুক।
Verily! This (Verses of the Qur’ân) is an admonition, so whosoever wills, let him take a Path to his Lord (Allâh).

إِنَّ هَذِهِ تَذْكِرَةٌ فَمَن شَاء اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ سَبِيلًا
Inna hathihi tathkiratun faman shaa ittakhatha ila rabbihi sabeelan

YUSUFALI: This is an admonition: Whosoever will, let him take a (straight) Path to his Lord.
PICKTHAL: Lo! this is an Admonishment, that whosoever will may choose a way unto his Lord.
SHAKIR: Surely this is a reminder, so whoever pleases takes to his Lord a way.
KHALIFA: This is a reminder: whoever wills shall choose the path to his Lord.

২৯। এটা একটা সতর্কবাণী। অতএব যার ই‌চ্ছা সে তার প্রভুর দিকে [ সরল ] পথ অবলম্বন করুক।

৩০। আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ব্যতীত তোমরা তা করবে না ৫৮৬১। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ।

৫৮৬১। মানুষ জন্মগতভাবেই চরিত্রগত দুর্বল। অতি সহজেই সে শয়তানের কুমন্ত্রণার কাছে পরাজিত হয়। শয়তানের প্রলোভন থেকে আত্মরক্ষার জন্য তাঁর বর্মের প্রয়োজন, আর সে বর্ম হচ্ছে আল্লাহ্‌র করুণার বর্ম। আল্লাহ্‌র করুণা ব্যতীত তাঁর কিছুই করার ক্ষমতা নাই। আল্লাহ্‌র করুণা লাভ করলে সে অসাধ্য সাধন করতে পারে। কারণ আল্লাহ্‌ সকল ক্ষমতার অধিকারী,তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা সকল কিছুকে পরিবৃত করে রাখে। যে নিজ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র করুণা লাভে সক্ষম, আল্লাহ্‌র “ইচ্ছা” তাকে সৎপথে চালিত করে থাকে। আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ব্যতীত এই পথ তাঁর নিকট, দুর্গম বোধ হবে। আধ্যাত্মিক জীবনের যে নৈতিক আইন বা বিধান, ‘ইচ্ছা ‘ শব্দটি দ্বারা সেই আইনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

 

আয়াতঃ 076.030

আল্লাহর অভিপ্রায় ব্যতিরেকে তোমরা অন্য কোন অভিপ্রায় পোষণ করবে না। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।
But you cannot will, unless Allâh wills. Verily, Allâh is Ever All-Knowing, All-Wise.

وَمَا تَشَاؤُونَ إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
Wama tashaoona illa an yashaa Allahu inna Allaha kana AAaleeman hakeeman

YUSUFALI: But ye will not, except as Allah wills; for Allah is full of Knowledge and Wisdom.
PICKTHAL: Yet ye will not, unless Allah willeth. Lo! Allah is Knower, Wise.
SHAKIR: And you do not please except that Allah please, surely Allah is Knowing, Wise;
KHALIFA: Whatever you will is in accordance with GOD’s will. GOD is Omniscient, Wise.

২৯। এটা একটা সতর্কবাণী। অতএব যার ই‌চ্ছা সে তার প্রভুর দিকে [ সরল ] পথ অবলম্বন করুক।

৩০। আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ব্যতীত তোমরা তা করবে না ৫৮৬১। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ।

৫৮৬১। মানুষ জন্মগতভাবেই চরিত্রগত দুর্বল। অতি সহজেই সে শয়তানের কুমন্ত্রণার কাছে পরাজিত হয়। শয়তানের প্রলোভন থেকে আত্মরক্ষার জন্য তাঁর বর্মের প্রয়োজন, আর সে বর্ম হচ্ছে আল্লাহ্‌র করুণার বর্ম। আল্লাহ্‌র করুণা ব্যতীত তাঁর কিছুই করার ক্ষমতা নাই। আল্লাহ্‌র করুণা লাভ করলে সে অসাধ্য সাধন করতে পারে। কারণ আল্লাহ্‌ সকল ক্ষমতার অধিকারী,তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা সকল কিছুকে পরিবৃত করে রাখে। যে নিজ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র করুণা লাভে সক্ষম, আল্লাহ্‌র “ইচ্ছা” তাকে সৎপথে চালিত করে থাকে। আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ব্যতীত এই পথ তাঁর নিকট, দুর্গম বোধ হবে। আধ্যাত্মিক জীবনের যে নৈতিক আইন বা বিধান, ‘ইচ্ছা ‘ শব্দটি দ্বারা সেই আইনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

 

আয়াতঃ 076.031

তিনি যাকে ইচ্ছা তাঁর রহমতে দাখিল করেন। আর যালেমদের জন্যে তো প্রস্তুত রেখেছেন মর্মন্তুদ শাস্তি।
He will admit to His Mercy whom He will and as for the Zâlimûn, (polytheists, wrong-doers, etc.) He has prepared a painful torment.

يُدْخِلُ مَن يَشَاء فِي رَحْمَتِهِ وَالظَّالِمِينَ أَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
Yudkhilu man yashao fee rahmatihi waalththalimeena aAAadda lahum AAathaban aleeman

YUSUFALI: He will admit to His Mercy whom He will; But the wrong-doers,- for them has He prepared a grievous Penalty.
PICKTHAL: He maketh whom He will to enter His mercy, and for evil-doers hath prepared a painful doom.
SHAKIR: He makes whom He pleases to enter into His mercy; and (as for) the unjust, He has prepared for them a painful chastisement.
KHALIFA: He admits whomever He wills into His mercy. As for the transgressors, He has prepared for them a painful retribution.

৩১। তিনি যাকে খুশী নিজ অনুগ্রহের অর্ন্তর্ভূক্ত করেন ৫৮৬২ ; কিন্তু যারা পাপী – তাদের জন্য তিনি প্রস্তুত করেছেন ভয়াবহ শাস্তি।

৫৮৬২। আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ, তাঁর পরিকল্পনা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অনুযায়ী পৃথিবীকে বিতরণ করা হয়। যদি কারও কর্ম ও কর্মের নিয়ত, প্রচেষ্টা, আল্লাহ্‌র বিধান বা ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালিত হয় তবে সে আল্লাহ্‌র করুণা লাভে সক্ষম হবে। আল্লাহ্‌র ইচ্ছা তাকে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনে সফলতা দান করবে, অপরপক্ষে, যদি কেউ আল্লাহ্‌র বিধান বা ইচ্ছাকে প্রত্যাখান করে, তবে সে আল্লাহ্‌র রহমত বঞ্চিত হবে, পরিণতিতে তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করতে হবে। ” আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ব্যতীত তোমরা তা করবে না।” অর্থাৎ আল্লাহ্‌র মনোনীত আইনের বাইরে কেউ যাবে না।

Exit mobile version