Site icon BnBoi.Com

পৃথিবীর ইতিহাস – দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়

পৃথিবীর ইতিহাস-দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়

১. সূর্য আর পৃথিবী

রাত পোয়াতে-না-পোয়াতে স্বর্গের  রাজহাঁস আকাশের গায়ে একটি সোনার ডিম পাড়ে। ডিমটি ফুটে যে-বাচ্চা বেরোয় সেই আমাদের সূর্য। এই ভাবে প্রতিদিনই সকালে একটি করে সোনার সূর্যের জন্ম, রাত্রির অন্ধকারে প্রতিদিনই তার মৃত্যু। পরদিন সকালের স্বর্গের সেই রাজহাঁস আর-একটি সোনার ডিম পাড়বে, ডিম ফুটে বেরুবে আর-একোটি নতুন সূর্য…

কাদের কল্পনা? কতোদিন আগেকার কল্পনা?

হাজার কয়েক বছর আগে মিশরের পুরোহিতেরা বুঝি এই ভাবেই সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের রহস্য বোঝবার চেষ্টা করেছিলো। আর তখনকার কালে তারাই নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো জ্ঞানী!

গত কয়েক হাজার বছরের মধ্যে মানুষের জ্ঞান কী অসম্ভবই না বেড়ে গিয়েছে! আজকের দিনে ইস্কুলের কচি কচি ছেলেমেয়েরাও সেকালের ওই সবচেয়ে বড়ো বড়ো জ্ঞানীদের কথা শুনলে খিলখিল করে হেসে উঠবে। কেননা, ওরা জানে ভোর আকাশে আমরা ওই যে সোনার থালার মত জিনিসটিকে উঠে আসতে দেখি ওটি আসলে হলো প্রকাণ্ড বড়ো একটি আগুনের গোলা—এতো বড়ো যে তার মধ্যে আমাদের এই পৃথিবীর মতো তেরো-লক্ষ-ন-হাজারটি পৃথিবীর জায়গা হতে পারে। তবুও আকশে সূর্যকে দেখতে অতোটুকু মনে হয়, কেননা সূর্য রয়েছে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে—প্রায় ন-কোটি-তিরিশ-লক্ষ মাইল দূরে। তার মানে, ট্রেনে চেপে পৃথিবী থেকে সূর্যে যাবার যদি কোনো ব্যবস্থা করা যেতো আর সে-ট্রেন যদি দিনরাত অবিরাম ঘণ্টায় ষাট মাইল বেগে ছুটতে পারতো—তাহলে পৃথিবী ছেড়ে সূর্য পর্যন্ত পৌঁছুতে সময় লাগতো প্রায় আড়াই শো বছর।

 ২. সূর্য থেকে পৃথিবীর জন্ম

 

Exit mobile version